Daily Frontier News
Daily Frontier News

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড

 

৩টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুঁড়ে ছাঁই! সাড়ে ১৭লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি-ব্যবসায়ীর মাথায় হাত

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:-

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পানিউমদা ইউনিয়নের রইছগঞ্জ বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে৷ এতে ওই বাজারের ঐতিহ্যবাহী ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান ফাতেমা ইলেকট্রনিক এন্ড ভেরাইটিজ স্টোর সহ ৩টি দোকান ঘর পুঁড়ে ছাঁই হয়ে গেছে৷ দোকানে রক্ষিত ইলেকট্রনিক মালামাল সহ ৩টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মোট সাড়ে ১৭লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান৷ এ ঘটনাটি ঘটেছে গত ২১ জুন শুক্রবার বিকাল অনুমান ৩ ঘটিকার সময়। খবর পেয়ে বাহুবল ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনীর দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আপ্রাণ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন৷
এ ব্যাপারে অগ্নিকাণ্ডের শিকার ফাতেমা ইলেকট্রনিক এন্ড ভেরাইটিজ স্টোরের স্বত্বাধিকারী মোঃ জিয়াউর রহমান কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, ঘটনার সময় তিনি দোকানে ছিলেন। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই হঠাৎ দোকান ঘরের চারিদিকে আগুনের লেলিহান শিখা দেখে প্রাণপণ চেষ্টা করে তিনি জীবন ঝুঁকি নিয়ে ঘর থেকে বের হন। এসময় তিনির মাথার চুল পর্যন্ত জ্বলে যায়। তবে, ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে যান৷ তাৎক্ষণিক উপস্থিত লোকজন আপ্রাণ চেষ্টা করেও আগুন নেবাতে পারেন নি৷ পরে খবর পেয়ে বাহুবল ফায়ার সার্ভিসের দমকল বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে প্রাণপণ চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। ততক্ষণে পাশ্ববর্তী নির্মল দেবের জুয়েলার্সের দোকান, শাহ্ কামালের চা স্টল ও ভেরাইটিজ স্টোর পুঁড়ে ছাঁই হয়ে যায়৷ এতে ফাতেমা ইলেকট্রনিক এন্ড ভেরাইটিজ স্টোরের ৩৬০টি ফ্যান সহ ইলেকট্রনিক, সাপ্লাইেয়র মালামাল সহ প্রায ১৬ লক্ষ টাকার মালামাল পুঁড়ে যায়। নির্মল দেবের জুয়েলার্সের ৫০ হাজার টাকার মালামাল ও শাহ্ কামাল মিয়ার দোকান পুঁতে ১ লক্ষ টাকার মালামাল সহ ৩টি দোকানের মোট সাড়ে ১৭ লাখ টাকার মালামাল পুঁড়ে যায়৷
এ ঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার গোপলার বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেন৷ কিভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে তা ব্যবসায়ী সহ কেউই বলতে পারেননি৷ এদিকে, ফাতেমা ইলেকট্রনিক এন্ড ভেরাইটিজ স্টোরে প্রায় ১৬ লাখ টাকার মালামাল পুঁড়ে ছাঁই হওয়ায় ব্যবসায়ী জিয়াউর রহমানের মাথায় হাত দিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি বলেন, আমার উপার্জনের আর কোন পন্থা নেই। একমাত্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের উপর আমার পরিবারের ভরন পোষণ করতাম, এতে কোনো রকম সংসার চলতো, এখন আর কিছুই রইলোনা৷ এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি৷

 

Daily Frontier News