Daily Frontier News
Daily Frontier News

খালের পাড় ভাংগার কারনে ক্ষতি হলো প্রায় একশো একর ফসলি জমি

 

রবিউল ইসলাম নালিতাবাড়ী প্রতিনিধি

শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও ঝিনাইগাতি উপজেলায় একটি খালের বাদ ভাংগার কারণে প্রায় ১০০ একর ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে।
গত ১২ আগষ্ট ২৬ আগষ্ট ও ২৩ সেপ্টেম্বর পর পর তিনবার দুই গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া মরগাঙ্গী খালের পাড় ভেঙে এ ক্ষতি সাধিত হয়।
নালিতাবাড়ী উপজেলার রাজনগর ইউনিয়নের মুনাকুষা গ্রাম ও ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরিপুর ইউনিয়নের বনগাঁও মুনাকুষা গ্রামের মাঝামাঝি দিয়ে বয়ে যাওয়া মরগাঙ্গীর খাল এর পাড় ভেঙে নষ্ট হয়েছে প্রায় ১০০ একর ধানের ফসলি জমি ।
স্থানীয়,কৃষকরা জানায়, তাদের উপার্জনের একমাত্র উপায় এই ধানের ফসল যা খালের পাড় ভাঙা ঢল এসে পর পর তিনবার নষ্ট করলো। বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা করে গত দুইবার উচ্চদামে চারা সংগ্রহ করে রুপন করলেও এবার আর রোপন করা কোন ভাবেই সম্ভব হবে না। কারণ একদিকে চারা পাওয়া যাবেনা অন্যদিকে রোপনের সময় চলে গেছে। এখন রোপন করলেও আর ফসল হবে না।এমতাবস্থায় দিশেহারা হয়ে পরেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।

স্থানীয় তরুণ কৃষক ইমরান হাসান বলেন, আমি ২০২৩ সালে আমণ ধান চাষ করতে গিয়ে পর পর তিনবার ক্ষতিগ্রস্থ হই।
প্রথম যখন ধানের চারা রোপণ করলাম কয়েকদিন পরেই বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টিতে গাঙ্গের(খালের) পাড় ভেঙ্গে ধান অর্ধেক নষ্ট হয়ে পরে, এরপর পানি চলে যাওয়ার পর আবার ক্ষতি হয়ে যাওয়া ধান ক্ষেত জায়গা জায়গায় নষ্ট হয়ে যাওয়া চারা আবার নতুন করে লাগিয়ে রাখি।
এর বেশ কয়েকদিন পরে আবার দ্বিতীয় বার সেই একই গাঙ্গের পার ভেঙ্গে আবার ধানের জমি প্লাবিত হয়ে যায়। দ্বিতীয় বন্যায় চারা গুলো একে বারেই নষ্ট হয়ে যায়।
এর পর সিদ্ধান্ত নেই যে দ্বিতীয় বার আবার ধান রোপণ করার।
পানি পুরোপুরি চলে যাওয়ার পরে দ্বিতীয় বার উচ্চ মূল্যে অনেক দূর থেকে ধানের চারা ক্রয় করে আবার দ্বিতীয় বার রোপন করি।
এর পর নতুন ইনভেস্ট নতুন স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম।
কিন্তু শেষ সপ্ন টুকু রক্ষা পেলো না ।
যখন ধান গুলো সুন্দর হতে শুরু করলো আবার সেই গাঙ্গ(খালের পাড়) ভেঙ্গে পুরো দুইটি ব্লকের স্বপ্নের ধানের জমি পানির নিচে।
এইবার আর রক্ষা হলো না।
কারণ যে ধান গুলো নষ্ট হয়েছে আর কয়েকদিন পারহলেই ধানের থোর(ধানের কোমল শীজ) বের হয়ে আসতো।
এখন না আছে ধানের রিকোভার হবার সময় না আছে নতুন করে আবার চারা রোপণের সময়।

Daily Frontier News