Daily Frontier News
Daily Frontier News

মেঘনার নদী গর্ভে বিলীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইলে আজবপুর মৌজাস্থিত আজবপুর বাজারের সন্নিকটে প্রায় ৫০০ মিটার এলাকা 

 

মো: আল আমীন বক্স সরাইল ব্রাহ্মণবাড়িয়া:-

 

.   জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলা চুন্টা ইউনিয়নের আজব পুর মৌজা মেঘনা নদীর কিনার ঘেষা প্রায় ৫০০ (পাঁচ শত) মিটার দীর্ঘ এলাকা ২রা এপ্রিল ২০২৫ইং হইতে মেঘনা নদী ভাঙ্গনের ফলে আনুমানিক মোট ৫,৪৮০০ একর ভূমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে বর্তমানে সিকন্তি ভূমিতে পরিনত হয়েছে। আরও বিলীন হওয়ার পথে ৬,৫৯০০ একর ভূমি ।

.   সূত্রে জানাযায়. আজবপুর মৌজাস্থিত নিম্ন তফসিল বর্ণিত দাগগুলো মেঘনা নদীর তীরে আজপুর বাজারের সন্নিকটে অবস্থিত। দাগগুলো সি.এস/এস.এ এবং বি.এস, মেঘনা নদী ভাঙ্গনের ফলে নীচের তফসিল বর্ণিত দাগ গুলোর আনুমানিক মোট ৫,৪৮০০ একর ভূমি নদী গর্ভে বিলীন হয়ে বর্তমানে সিকন্তি ভূমিতে পরিনত হয়েছে। যা সংযুক্ত কলমী নকশায় দেখানো হয়েছে।

.    সরেজমিনে পর্যবেক্ষণে আরও জানা যায়, (১) জনাব হাফিজ মোল্লা পিং- বন্দে আলী সাং- নরসিংহ পুর, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বি.এস ৭৪৫ দাগে একটি রেলডক এবং একটি আধাপাকা ঘর ছিল যা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
(২) জনাব মজনু মিয়া পিং- ছাদির মিয়া সাং- নরসিংহ পুর, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বি.এস ৭৪১ দাগে একটি রেলডক এবং একটি বসত ঘর ও একটি দোকান ঘর ছিল যা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।
(৩) জনাব জাহিদ মিয়া পিং- কিতাব আলী সাং- নরসিংহ পুর, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বি.এস ৭৪১ দাগে একটি আধাপাকা বসত ঘর ও একটি দোকান ঘর ছিল যা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।(৪) জনাব আনোয়ার পিং-দীন ইসলাম সাং- নরসিংহ পুর, সরাইল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া বি.এস ৭৪০ দাগে ভিটি ভূমি ছিল যা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।

.    রোজ সোমবার ৭ই এপ্রিল ২০২৫ইং বেলা প্রায় ১২:০০ ঘটিকার সময়, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড,জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর রহমান ও সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ মোশারফ হোসাইন,সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তাগণ,এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ জনপ্রতিনিধি,ভুক্তভোগী সহ শত শত জনতার উপস্থিতিতে ঘুরে ঘুরে দেখেন ।

.   এ বিষয়ে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সরাইল উপজেলা প্রশাসক জনাব মোঃ মোশারফ হোসাইন মিডিয়া প্রতিনিধি কে জানান,নির্বাহী প্রকৌশলী মনজুর রহমান বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কে সাথে নিয়ে ঘুরে দেখে আসলাম। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড সহ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। এলাকাবাসী কে ভাঙ্গনের বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য বলা হয়েছে। আমরা স্থানীয়ভাবে আপাতত জিও ব্যাগের মাধ্যমে নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কে বলা হয়েছে,উপজেলা প্রশাসনের ১% তহবিল থেকে বরাদ্দ দেওয়া হয়।

Daily Frontier News