Daily Frontier News
Daily Frontier News

বদলে গেছে বিমানের সিষ্টেম নেই হয়রানী ,লাগেজ চুরি ,ঘুষ বাণিজ্য।

 

নিজস্ব প্রতিনিধি ঃ মোঃ আনোয়ার হোসেন।

হঠাৎ করে বদলে গেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের পরিবেশ। নেই আগের মতো যাত্রী হয়ারনী ও লাঞ্ছনা, হচ্ছেনা লাগেজ কেটে মালালাল চুরি, ইমিগ্রেশন পুলিশের ঘুষ বাণিজ্য ও কাস্টম কর্মকর্তাদের পদে পদে হয়রানিসহ নানাবিধ যন্ত্রণা।
সবকিছুর অবসান ঘটিয়ে দীর্ঘদিন পর যাত্রীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। প্রশংসায় ভাসছে বিমানবন্দরে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সঠিক রক্ষণাবেক্ষণ ও তদারকীর অভাবে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টেলিফোন সেবা-হেল্পডেস্কটি দীর্ঘদিন বন্ধ ছিলো। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগিতায় সেগুলো চালু করা হয়েছে। সেখানে এখন মিলছে ফ্রি ওয়াইফাই সুবিধা। কিছুদিন আগেও দেখা যায় অব্যবস্থাপনা-অনিয়মই যেন হয়ে উঠেছিল শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিত্যদিনের চিত্র।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে যাওয়ার পর পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। বদলে গেছে যাত্রী সেবা ,বন্ধ হয়াছে কার পার্কিং এলাকার নৈরাজ্য, ভেঙেছে দর্শনার্থীদের টিকেট বিক্রির সিন্ডিকেট ও পাবলিক টয়লেটসহ নাগরিক সকল সেবা। বিমানবন্দরে পৌঁছে স্বজনদের সঙ্গে বিনামূল্যে কথা বলতে চালু করা হয়েছে ১০টি টেলিফোন বুথ। লাগেজ কাটা ও চুরি ঠেকাতে নেওয়া হয়েছে সতর্কতা। দ্রুত লাগেজ ছাড় পেয়ে স্বস্তি জানাচ্ছেন প্রবাসীরা।
সৌদিআরব রিয়াদ থেকে আসা কুমিল্লার ফারুক হোসেন জানান, আগের তুলনায় অনেক কম সময়ে মালামাল হাতে পেয়েছে। বিমানবন্দরের বর্তমান সেবা কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, হয়রানি মুক্ত সকল সেবা ছিলো খুব চমৎকার। ইটালী থেকে আসা ঢাকা উত্তরা বাসি আমাতুল রহমান হুমায়রা বলেন, বিমানবন্দরের এমন পরিচ্ছন্ন সেবা আগে কখনো দেখিনি। দুবাই থেকে ছুটিতে আসা নরসিংদীর ছিদ্দিকুর রহমান ও কটিয়াদি কিশোরগঞ্জের গোলাপ মিয়া বলেন, আমরা কোন ধরনের হয়রানি ছাড়াই সুন্দরভাবে ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে নিজেদের লাগেজ বুঝে পেয়েছি।
সউদী আরব থেকে আসা কুমিল্লা মিয়া বাজারসহ অন্যান্য যাত্রীরা বলছেন, আগে বিমানবন্দরে নানাভাবে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। হয়রানি ও ঘুষমুক্ত সেবা পেয়ে তারা অনেক খুশি।
এসময় বাংলাদেশি লোকজন ছাড়াও কথা হয় ভারত (কলকাতা) থেকে আসা আমিত বিনিক, মাতারানী ও তাদের পুত্র সরমা-এর সাথে। তারা বলেন, বর্তমান হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তাব্যবস্থা ও সেবা কার্যক্রম খুবই চমৎকার। কোন ধরনের হয়রানি ছাড়াই যাত্রীরা তাদের লাগেজ ও জরুরি মালামাল বুঝে পাচ্ছে।
এসময় সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ ও বিমানবন্দরে দায়িত্বরত বিমানবাহিনীর কর্মকর্তারা জানান, যাত্রীসেবায় কোনো আপোষ হবে না। পুরো বিমানবন্দরকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনায় লাগেজ কেটে মূল্যবান জিনিসপত্র চুরির ঘটনা আর ঘটবে না।

Daily Frontier News