Daily Frontier News
Daily Frontier News

নবীগঞ্জের জনতার বাজারে মাইকে ঘোষণা দিয়ে ৪ জন সাংবাদিকদের উপর হামলা! সর্ব মহলে নিন্দা

 

নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি :-

.    প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও প্রতি শনিবার হবিগঞ্জ জেলার নবিগঞ্জ উপজেলার ঢাকা- সিলেট মহা সড়কের জনতার বাজারে অবৈধ পশুর হাট পরিচালনার অভিযোগ উঠে। বাজার পরিচালনা কমিটি অবৈধভাবে রশিদ দিয়ে পশু বিক্রির নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার (২২ মার্চ) বিকালে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ৪ জন সাংবাদিক।

.   তারা হলেন, দৈনিক কালবেলার হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি ও গাজী টিভির হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি নূর উদ্দিন, এশিয়ান টেলিভিশনের হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সুরুজ আলী, মাই টিভির হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি নিরঞ্জন গোস্বামী শুভ ও দীপ্ত টেলিভিশনের হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি আখলাছ আহমদ প্রিয় কে মারধর করে তাদের ক্যামেরা ও ট্রাইপড ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় সর্ব মহলে নিন্দার ঝড় বইছে।

.   বিস্তস্থ সূত্রে আরো জানাযায়, উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ও জনতার বাজার পরিচালনা কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাউসার আহমেদের নেতৃত্বে এই হামলা চালানো হয়। অপরদিকে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্বিন্নে চলছে পশুর হাট। হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মো. ফরিদুর রহমান চলতি বছরের ৭ জানুয়ারি এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জনতার বাজার পশুর হাট অপসারণের নির্দেশ দেন। এতে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছিল যে, সরকারি অনুমতি ছাড়া কেউ হাট পরিচালনা করলে বা সহযোগিতা করলে তা হাট-বাজার আইন ২০২৩ ও মহাসড়ক আইন ২০২১ অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ বলে গণ্য হবে। কিন্তু প্রশাসনের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করেই ফেব্রুয়ারি মাস থেকে প্রতি শনিবার অবৈধ ভাবে হাট বাজার তারা চালিয়ে আসছে।

.   স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মচারীদের সহযোগিতায় স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এই হাট পরিচালনা করে আসছেন। যার ফলে সরকার রাজস্ব হারালেও কিছু ব্যক্তিগত স্বার্থান্বেষী মহল লাভবান হচ্ছে।

.   অপরদিকে, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে হওয়ায় প্রতি শনিবার পশুর হাট বসার কারণে জনদুর্ভোগ ও যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সাধারণ পথচারী ও যানবাহনের চালকরা চরম দুর্ভোগের পুহাতে হয়। সচেতন মহলের দাবি, প্রশাসন যদি দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা না নেন তাহলে এই সমস্যা গুলো আরও বৃদ্ধি পাবে।

.   স্থানীয়দের কাছে প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও উপজেলা প্রশাসন কোন কার্যকর ব্যবস্থা না নেয়ায় কারণে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনা ঝড়।

.   অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে তার অফিস সহকারীরা সঠিক তথ্য দিচ্ছেন না। এর ফলে তিনি কোনো কঠোর ব্যবস্থা পারছেন না।  স্থানীয়রা প্রশাসনের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এবং অবৈধ পশুর হাটের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় এ ধরনের হামলা ও অনিয়ম আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করছেন সচেতন মহলের লোকজন।

Daily Frontier News