পাঁচদোনা স্যার কেজি গুপ্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী বখাটে নিয়ে উধাও অতঃপর বাল্য বিবাহ

আ: ছাত্তার মিয়া নরসিংদী:

নরসিংদী শীলমান্দীতে বাল্যবিবাহের হিরিক পড়ছে। পাঁচদোনা স্যার কেজি গুপ্ত উচ্চ বিদ্যালয় নবম শ্রেণীর ছাত্রী ছদ্মনাম অনামিকা(১৫) বখাটে একই এলাকার দ্বীন ইসলাম শ্রাবণ( ১৬) দক্ষিণ শীলমান্দি নরসিংদী সদর । খিদিরপুর পাকা রাস্তা হতে গত: ৮ ই সেপ্টেম্বর দুপুর আনুমানিক ১ ঘটিকার সময় ছদ্মনাম অনামিকাকে নিয়ে পালিয়ে যায় বলে মেয়ের মা মারুফা বেগম সহ এলাকাবাসী জানান। মেয়ের বাবা প্রবাসে থাকায় মেয়ের মা মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজির পর দক্ষিণ শীলমান্দী ছেলের বাড়িতে খোঁজ পায় তারপরে মেয়ের মা এলাকার কিছু মুরুব্বিদের কে নিয়ে ছেলের বাড়িতে গেলে ছেলে এবং ছেলের বন্ধুবান্ধব, এলাকার বখাটেরা এবং ছেলের বাবা ভয় ভীতি দেখাইয়া বের করে দেয় বলে এলাকাবাসীর একাধিক সূত্রে জানা যায। সূত্রে আরও জানা যায় মেয়ের বয়স ১৫ বছর আর ছেলের বয়স ১৬ বছর কোটের মাধ্যমে মেয়ে ২০ বছর আর ছেলে ২১ বছর বানিয়ে কোর্ট মেরেজ করে দুইদিন যাবত স্বামী স্ত্রী হিসেবে ঘর সংসার করছেন এটা আইন বা ইসলামের দৃষ্টিতে কতটুকু গ্রহণযোগ্য বা হালাল হলো, গ্রামবাসী জানতে চায়। এ বিষয়ে সচেতন এক ব্যক্তি ট্রিপল নাইন অর্থাৎ পুলিশ হেল্পলাইনে ফোন দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রশাসন আসে।জানা যায় বাবুরহাট ফাঁড়ির এসআই সাইদ আনোয়ার ঘটনাস্থলে এসে পরিদর্শন করে কিন্তু ওনাকে একাধিকবার ফোন দিলেও বিষয়টা নিয়ে কি হয়েছে একটুও জানাতে রাজি হননি অর্থাৎ ওনি আমাদের প্রতিবেদকের ফোন রিসিভ করেননি। এলাকার কিছু টাউট বাটপার মেয়ের মাকে ভয় দেখিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা করছে, বলে জানা গেছে। এ ব্যাপারে ছেলের বাবার সাথে ফোনে আলাপ করলে আমাদের প্রতিবেদকে ছেলের বাবা জানান ছেলেমেয়েরা মিলে সংসার করলে আমরা কি করব। গোপন সূত্রে আরও জানা যায় মেয়ে এবং ছেলের বয়স বাড়িয়ে কোর্ট থেকে নাকিঐকিল দিয়ে বিয়ে পরিয়ে নিয়ে আসছে।এ ব্যাপারে স্থানীয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ গিয়াস উদ্দিন মাস্টার সাহেবকে জানানো হয়েছে এবং পাঁচদোনা স্যার কেজি উচ্চবিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ মাসুম বিল্লাহ সাহেবের সাথে এ ব্যাপারে আমাদের প্রতিবেদক আলাপ করলে তিনি জানান আমার স্কুলে হাজার হাজার ছাত্র ছাত্রী রয়েছে। স্কুলের ভিতর থেকে পালিয়ে যাওয়ার কোন সুযোগ নাই আর বাহিরে থেকে গেলে এটা আমার কিছু আসে যায় না। আপনারা নিউজের মাধ্যমে প্রকাশ করেন এতে করে ছেলেমেয়েরাও সতর্ক হবে বলে তিনি পরামর্শ দেন । উক্ত ঘটনাটি মেয়ের মা মারুফা বেগম শেখেরচর ফাঁড়ি পুলিশকে জানালে তারা অজ্ঞত কারণে মেয়ের মাকে তেমন কোন সহযোগিতা করেনি বলে জানা যায়। উক্ত বিষয়টি নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার লোকজন কানা কুশা করছেন বাল্যবিয়ের স্থলে পুলিশ প্রশাসন এসেও কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারছেন না। আসলে এদের হাত কত লম্বা। উক্ত বিষয়টি তদন্তপূর্বক কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন ভুক্তভোগী পরিবারসহ এলাকাবাসী।