কাউছার মিয়াঃ-
নরসিংদীতে দলিল রেজিস্ট্রি করতে ১ কোটি টাকা দাবি করে রায়পুরা উপজেলা সাবরেজিস্টার অফিস সহায়ক লিটন। শুধু এস এ খতিয়ান থাকায় ১ কোটি টাকা ঘুস দাবি করে অফিস সহায়কের এমনটাই দাবী।রায়পুরার সাবরেজিস্টার টাকার অংক বেশি চাওয়ায় দলিল দাতা ও দাত্রী মনোহরদী সাবরেজিস্টার এর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এস এ খতিয়ানেই ভূমি রেজিস্ট্রি করে। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে নরসিংদী সদর সাবরেজিস্টার অফিসে।
জানাযায়,নরসিংদী দত্তপাড়ার মৃত বেলায়েত হোসেনের ছেলে প্রবাসী নাজমুল হোসেন বাদল গং সাটিরপাড়া মৌজাস্থিত এস, এ ৭১১ খতিয়ানে সাবেক ৩১৪ নং দাগে ১৩২ শতাংশ ভূমির মালিক।তিনি তার সম্পত্তি বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিলে সাধন চন্দ্র সূত্র ধর গং ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয়। দামধর ঠিক হলে তিনি রায়পুরা উপজেলার সাবরেজিস্টার জবা মন্ডলের কাছে কথা বলে। তিনি তার পছন্দের লোক রায়পুরা সাবরেজিস্টার অফিস সহায়ক লিটনের সাথে কথা বলার জন্য বলেন। লিটন রায়পুরার দলিল লেখক মাইদুল কে সাধন বাবুর নরসিংদী বাজির মোড় অফিসে পাঠায়। মাইদুল সকল কাগজপত্র দেখে জানায় ১ কোটি টাকা লাগবে এই জমি রেজিস্ট্রি করতে। তখন সাধন বাবু ৩ লক্ষ টাকা দিতে চায়।সে মুঠো ফোনে লিটনের সাথে কথা বলে জানায় কম দিলে হবে না। এস এ খতিয়ান দিয়ে কম টাকায় কাজ করা যাবে না।
এ বিষয়ে সাধন বাবু জানায়,নরসিংদী সদরে নির্ধারিত সাবরেজিস্টার না থাকায় রায়পুরার সাবরেজিস্টার সাপ্তাহে দুইদিন সদরে অফিস করে, তাই অফিস সহায়ক লিটন ও দুইদিন সদরে কাজ করে। সেই সুবাদে লিটন দলিল লেখক মাইদুল কে আমার কাছে কাগজপত্র দেখতে পাঠায়। মাইদুল কাজগ দেখে মোবাইল ফোনে লিটনের সাথে কথা বলে আমার কাছে ১ কোটি টাকা ঘুস দাবি করে। সেই সময় উপস্থিত ছিলেন আবু সিদ্দিক, নয়ন দাস,শান্তি রঞ্জন রায় সহ আরো অনেকে। পরবর্তীতে আমরা মনোহরদীর সাবরেজিস্টার সিরাজুল ইসলাম সাহেব কে দিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি করি।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানাযায়, অফিস সহায়ক লিটনের যোগসাজশে রায়পুরা উপজেলার চরসুবুিদ্ধ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের জাল রসিদে খাজনা দেখিয়ে জমির দলিল রেজিষ্ট্রি করে দলিল লেখক আমির। এই খবর ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা ততক্ষণাত সাবরেজিস্টার জবা মন্ডল, এসিল্যান্ড শফিকুল ইসলাম ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানালে তারা লিটন কে তলব করলে সে জানায় সবকিছু ঠিক আছে। পরর্বতীতে ভূমি অফিসের কম্পিউটার চেক করে ভূয়া প্রমানিত হয়।
রায়পুরা উপজেলার সাধারণ জনগন জানায়, লিটন সরকারি রাজস্ব ফাকি দিয়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হইছে। দলিল প্রতি ৫ হাজার টাকা আাদায় করা, না দিলে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে দলিল রেজিস্ট্রি বন্ধ রাখা তার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যপার।
এ বিষয়ে অফিস সহায়ক লিটনের সাথে যোগাযোগ করে তার বক্তব্য নিতে গেলে তিনি কয়েকজন স্থানীয় সাংবাদিক ও দলিল লেখক নিয়ে আসে। তারা নিউজ না করার অনুরোধ করে এবং টাকা দিয়ে ম্যানেজ করার চেস্টা করে ।
দলিক লেখক মাইদুলের মুঠোফোনে বারবার কল দেওয়া সত্বেও তিনি ফোন রিসিভ করে নি।
নরসিংদীর বিভিন্ন ভূমি উপসহকারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা সবাই একই মত প্রকাশ করে যে,এস এ খতিয়ানে ভূমি রেজিস্ট্রি হয় না। এস এ এর সাথে আর এস খতিয়ান থাকতে হবে।
নরসিংদী জেলা সাবরেজিস্টার আবুল কালাম মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম জানায়,
এটা কোন সাব কবলা দলিল না এটা ঘোষণা পত্র দলিল।যে কেউ যেকোন বিষয়ে ঘোষনাপত্র দলিল করতে পারে।
উল্লেখ্য নরসিংদী সদর সাব রেজিস্টার অফিসে নির্ধারিত রেজিস্টার না থাকায় রায়পুরা সাব রেজিস্টার , মনোহরদী সাব রেজিস্টার ও শিবপুর সাব রেজিস্টার সদরে অফিস করে।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics