স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাতক্ষীরা জেলা তালা উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার খালিষখালী পুলিশ ক্যাম্পে এ এসআই শামীম ও কনস্টেবল পুলক এর বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় এ এস আই শামীম গত এক মাসে প্রায় ৪/৫ লক্ষ টাকা ঘুষ বাণিজ্য করেছে
গত ৯ অক্টোবর খলিষখালীর কৃষ্ণনগর ব্রীজের উপর থেকে রবিন সরকার (২৪)সহ ৫জন কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের কে গ্রেফতার করে খলিশখালী পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে আসে এ এস আই শামীম পরে দর কাসাকাছি মধ্য দিয়ে ৯০ হাজার টাকার বিনিময় তাদেরকে ছেড়ে দেন মধ্যস্থকারী ইউপি সদস্য দিলীপ সরকার জানান। অনুসন্ধানে আরো জানা যায় টিকারামপুর গ্রামের মোঃ লতিফ সরদার (৩৫)পিতা নাছের উদ্দীনের পুত্রকে ধরে ২০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন এ এস আই শামীম ও কনস্টেবল পুলক।
এদিকে পাকসিয়া গ্রামের ইউনুস সরদার(৩৫) ও তার স্ত্রী কে গাজা সহ গ্রেফতার করেন। ইউনুসকে গাজা মামলা চালান করলেও তার স্ত্রীকে ২৮ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয় বলে জানা গেছে ।রনি সরকার (২০)পিতা নিত্তান্দ সরকার বাগডাঙ্গা কে সন্দো মূল ক ধরে নিয়ে আসে খলিষখালী পুলিশ ক্যাম্পে ইউপি সদস্য চায়না মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন ।গনেশ পুর গ্ৰামের চা ব্যাবসী কাদের সরদার(৩২) ও তার স্ত্রী মারুফা(২৬) কে গাজা সন্ধে ধরে নিয়ে আসে পরে কাদেরকে গাজা মামলায় চালান করলেও তার স্ত্রী মারূফাকে ৫৫০০ টাকায় বিনিময় ছেড়ে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গনেশপুর গ্রামের ইদ্রিস সেকের ছেলে আজিজুর( ২৩) কৃষক কে গাজার সন্দেহে ধরে নিয়ে আসে পরে ৯ হাজার টাকা অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেন। বরডাঙ্গা গ্রামের এরশাদুল ( ৪০)ভ্যানচালক তাকে ধরে নিয়ে ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেন। টিকারামপুর গ্রামের মনিরুল সরদার (৩৫) পিতা আমজাদ সরদার একজন ব্যবসায়ী তাকে ধরে ২ হাজার টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন। গণেশ পুর গ্রামের আব্দুল আলিম (২৫) পিতা মজিদ সরদার গাজা সন্দেহে ধরে নিয়ে আসেন পরে ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে তাকেও ছেড়ে দেন। বিশ্বনাথ কুন্ডু (৩৫) পিতা অশোক কুন্ডু বাজারে দোকান ব্যবসায়ী দোকান থেকে ধরে নিয়ে যায় গাজার সন্দেহ পরে ১৫ হাজার টাকার বিনিময় তাকে ছেড়ে দেন। এদিকে খলিষখালি ইউপি সদস্য উত্তম দে শফি মোল্লা তপন বাশার দিলীপ সরকার চায়না সরকার সবুজ সরদার এদের এই অপকর্মের প্রতি বিরুপ প্রকাশ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা সাব্বির হোসেন এই ধরনের অপকর্মকে বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন। এবিষয়ে এ এস আই শামীম কাছে জানতে চাইলে তিনি অংশীদার করে বলেন ওসি এসপি স্যারে কথামত আসামি ধরেছিও ছেড়েছি।আই সি আজিজুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানানা।ওসি কাঞ্চন কুমার রায় কাছে জানতে চাইলে তিনি -কিছুই জানেন না বলে জানান তবে ঘটনা সত্য হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খলিশখালী পুলিশ ক্যাম্প টাকে এ এস আই শামীম ও কনস্টেবল পুলক নিজেদের রাজত্ব হিসেবে গড়ে তুলেছে এই অপকর্মের হাত থেকে বাঁচার জন্য এলাকাবাসী এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ সুপার ডিআইজি মাননীয় পুলিশ মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
Copyright © 2024 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics