Daily Frontier News
Daily Frontier News

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে প্রেম না কি যৌবন জ্বালায় ২সন্তান রেখে ১৬ বছর বয়সী ভাগিনার ঘরে মামী আমিরুন! এলাকায় মুখরোচক সমালোচনার ঝড়

 

বুলবুল আহমেদ, নবীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ- দুই সন্তানের জননী পরকীয়ায় লিপ্ত। দিন মজুর স্বামী পড়েছেন নানান দুঃচিন্তায়। সে প্রেমের টানে বার বার যায় না কি যৌবন জ্বালায় যায় তা বুঝে ওঠতে পারছেন না সাবেক স্বামী। সে কিভাবে পাষন্ডের মতো ২সন্তান রেখে ১৬ বছর বয়সী ভাগিনার হাত ধরে গেল? এনিয়ে এলাকায় কয়েকবার সামাজিক বিচার পঞ্চায়েত হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি।

সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের দেবপাড়া গ্রামের পশ্চিমে বিজনা নদীর পারে অবস্থিত অসহায় দিন মজুর আমিন মিয়ার বাড়ী৷ তিনি পেশায় একজন অটো রিস্কা শ্রমিক। সে বিগত ২০১১ সালে বিয়ে করেন আমিরুন আক্তারকে৷ তাদের দাম্পত্য জীবনে দুটি ঔরসজাত শিশু সন্তানও রয়েছে। এর মধ্যে বড় ছেলে ৯ বছরের কামরুল ও ছোট ছেলে ৭ বছরের সাইদুরকে নিয়ে মোটামুটি খুব সুখ শান্তিতেই কাটাচ্ছিল বলে আমিন মিয়া জানান। গত বছর ২০২১ ইংরেজী থেকে আমিরুন আক্তার তারই পাড়া প্রতিবেশী মৃত বাদশা মিয়ার পুুত্র তার সম্পর্কে ভাগিনা মকবুল নামের ১৬ বছর বয়সী যুবকের সাথে পরকীয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে পড়েন। এতে কয়েকবার ঘর থেকেও পালিয়ে যান মকবুলের হাত ধরে৷ তবে, গ্রামবাসী ও স্থানীয় সামাজিক বিচারের মাধ্যমে এমন অপকর্মে আর কখনো জড়িত হবে না মর্মে তাকে দিনমজুর শ্রমিক আমীনের ঘরে দেয়া হয়৷ কিন্তু কে শুনে কার কথা? এরই জের ধরে গত ১২ ফেব্রুয়ারী মাসে হবিগঞ্জ নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে হলফনামায় আমিরুন আক্তার তার স্বামীকে তালাক প্রদান করে গোপনে গোপনে মকবুলের সাথে আবারো পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে।

এ ঘটনার পর আবারো পাড়া প্রতিবেশী তাকে আমীনের সংসারে থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এবং মকবুলের সঙ্গ ত্যাগ করার জন্য বারবার অনুরোধ জানান৷ কিন্তু আমিরুন আক্তার সে তার সিদ্ধান্তে অটল তাঁকে। সে তার পরকীয়া প্রেমিক ভাগিনা মকবুলের হাত ধরে আবারো গত মঙ্গলবার দিনদুপুরে পালিয়ে মকবুলের বাড়িতে চলে যায়৷

এদিকে, মকবুলের পরিবার এই সম্পর্ক মেনে না নেওয়াতে স্থানীয় সংরক্ষিত ইউপি মহিলা সদস্য মায়ারুন বেগম সহ এলাকার সামাজিক বিচারকদের মাধ্যমে আমিরুন আক্তারকে তার পূর্বের স্বামীর ঘরে দিতে চাইলে সে তা অনীহা প্রকাশ করে বলে, মরতে হলে মকবুলের ঘরেই মরবো, তবুও আর কোথাও যাব না। যেহেতু আমি মকবুলকে ভালবেসে হাত ধরে এসেছি এখন শুধু মকবুলের কাছ স্ত্রী’র মর্যাদা পেলেই হলো।

অপরদিকে, মকবুলের অপ্রাপ্ত বয়স হওয়াতে সামাজিক বিচারকেরা পড়েছেন বেকায়দায়। বিচারকরা কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি বলেও অনেকেই বলেন৷

তবে, এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মকবুলের ঘরেই অবস্থান করছেন আমিরুন আক্তার। এ প্রতিনিধিকে তিনি জানিয়েছেন মকবুলকেই চান৷

অপরদিকে, পূর্বের স্বামী আমিন মিয়া তার দু’টি অবুঝ শিশু সন্তান নিয়ে পড়েছেন চরম বিপাকে৷ এ আরো জানান, একবার নয়, আমার স্ত্রী আমিরুন এনিয়ে ৩/৪ বারের মতো আমার ঘর থেকে পালিয়ে যায়। এবং আমার উপরে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে আমাকে তালাক প্রদান করলো। আমিও আমার সন্তানেরা এই আমিরুনকে আর চাইনা৷

এ ব্যাপারে স্থানীয় মহিলা ইউপি সদস্য মায়ারুন বেগমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, স্থানীয় ময়মুরুব্বিয়ান সহ গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের সহায়তায় রমজান মাসের পূর্বেও আরেকবার এ বিষয়টি সুরাহা করেছিলাম আমরা। তবুও আমিরুন আক্তার বার বার এমন অপকর্মে লিপ্ত থাকেন৷ যাহা সামাজিকভাবে কখনোই মেনে নেয়ার মতো নয়৷

এ বিষয়ে পরক্রিয়া প্রেমিক মকবুলের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তা সম্ভব হয়নি৷ সে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে গা ঢাকা দেয়৷ উক্ত ঘটনায় এলাকায় নানা ধরনের মুখরোচক আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনার ঝড় বইছে৷

Daily Frontier News