আহসান হাবীব স্টাফ রিপোর্টারঃ-
নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বর এবং কণে পক্ষের মধ্যে ধাওয়া, পাল্টা ধাওয়া ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে, এতে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীসহ উভয় পক্ষের ১৩ জন আহত হয়। গুরুতর আহত কয়েকজনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে যান। ৯৯৯ নাম্বারে ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ঘটনাটি ঘটে ২৫ মে (বু্ধবার) সুবর্ণচর উপজেলার ৫নং চরজুবলী ইউনিয়নের চর জিয়া উদ্দিন গ্রামের রিনার মাগো বাড়ীতে।
হামলায় আহত কণের ভগ্নীপতি গোলাম সারওয়ার বলেন, চর জিয়া উদ্দিন গ্রামের আব্দুল হালিম এর সাথে একই গ্রামের মৃত সফিক উল্যাহর মেয়ের বিয়ের দিন দার্য করা হয়। ২৫ তারিখ কণের বাড়ীতে বর যাত্রী নিয়ে আসেন বর পক্ষ। বিয়ের সকল অনুষ্ঠানিকতার শেষ পর্যায়ে এসে কাবিন রেজিষ্ট্রেশন ফি ৪ হাজার টাকা বিয়ের ফর্দনামায় ছেলে পক্ষ দিবে লেখা থাকলেও সেটি ছেলে পক্ষ দিতে অস্বিকৃতি জানায়, এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়।
এক পর্যায়ে ছেলের বাবা আব্দুল হালিম (৫৮), তার পুত্র নিজাম উদ্দিন রিয়াজ, একই গ্রামের মৃত ফারুকের ছেলে রুবেল (২৮), মৃত ছফর আলীর পুত্র আবুল বাসার (২৫), সোহাগ(৩৩), নুর ইসলাম (২০) লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত হামলা করে এতে কণে পক্ষের গোলাম সারওয়ার (৩৭), নুর আহম্মদের পুত্র ওসমান গণি (৪০), ইদ্রিস মিয়ার পুত্র ইউনুছ মাঝি (৪০, আবুল বাসারের স্ত্রী নুর নেছা বেগম(৩৫), গোলাম সারওয়ারের স্ত্রী নুর বানু আক্তার (৩০), ওসমান গণির স্ত্রী জুলেখা বেগম(৩৭)সহ দাওয়াত খেতে আসা ২ জন আহত হয়।
এসময় হামলা কারীরা ঘরের সিন্দুক ভেঙ্গে নগদ টাকা এবং বিয়ের জন্য রাখা কণের মায়ের কাছে থাকা সালামির নগদ টাকাসহ স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত আব্দুল হালিম, রুবেল এবং সোহাগ স্বর্ণালংকার নেয়ার বিষয়টি অস্বিকার করে বলেন, কাবিন রেজিঃ টাকা উভয় পক্ষ দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু গোলাম সারওয়ার ফর্দনামায় শুধু ছেলে পক্ষের নাম লিখে এতে আমাদের মাঝে মনমালিন্য হয়। তর্কাতর্কি শুরু হয়। পরে আমরা টাকা দিয়ে বিষয়টি সেখানে মিমাংসা করে চলে আসি। সন্ধ্যার একটু আগে জানতে পারি মেয়ে পক্ষের সারওযারসহ কয়েকজন আমাদের লোকজনকে মারধর করছে এবং ৪/৫ জন আহত হয়, তখন আমরা পূনরায় সে বাড়িতে গেলে তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়, তাদের হামলায় আমি, রুবেল, সোহাগ এবং সফর আলীর পুত্র আবুল বাসার, নুর ইসলাম, আকবর হোসেন এর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রুমি আক্তার (২৫), মৃত বাদশা মিয়ার পুত্র মোঃ হেলাল (২৭), ফয়েজ আহম্মদের পুত্র সাহেদ (৩২), রফিকের ছেলে আলা উদ্দিন (২৭) আহত হয়।
স্থানীয় চর জিয়া উদ্দিন ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার আক্তার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে আমরা একটি শালিসের তারিখ করেছি, বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে জানতে জানতে চাইলে চরজব্বর থানার এসআই সালেহ উদ্দিন বলেন, ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে, তবে তারা স্থানীয় আক্তার মেম্বারের মাধ্যেমে বিষয়টি সমাধানের প্রক্রিয়ায় আছে।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics