Daily Frontier News
Daily Frontier News

শমশের নগর স্টেশন এর দুঃখ গাঁথা

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি।।

 

 

প্রকৃতির লীলাভূমি শমশের নগর। তার বিশাল বুক জুড়ে চা বাগান। চা বাগান বেষ্টিত পাহাড় ভূমি। সেই পাহাড়ের চারিদিকে সবুজের সমারোহ। উপরে উদার আকাশ। চোখ ও মনের দৃষ্টিতে এক দর্শনীয় স্থান।

কালনী, পাহাড়িকা, উদয়ন, উপবনের স্টপেজ রয়েছে এ স্টেশনে। অথচ যাত্রীদের জন্য না আসে সেভাবে বসার জায়গা, না আছে ওয়েটিং রুম। ব্রিটিশরা টিনের চাল দিয়ে যে বিল্ডিং করে রেখে গিয়েছিল সেটা এখনও জরাজীর্ণ ভাবে টিকে আছে। বৃষ্টির পানি প্লাটফর্ম এর ফুটো টিনের চাল দিয়ে বান ডাকে। মূল ভবনে গাদাগাদি করে একটি জায়গায় টিকেট বিক্রি চলে। প্লাটফর্ম এর বেশ কিছু জায়গায় পুরাতন কাঠের স্লিপার রেখে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। অথচ চাইলেই স্টেশনের লুপ লাইনের পাশে তা রাখা যেতো। সে জায়গায় সারিসারি বিভিন্ন ধরণের গাড়ী দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। বাহিরে থেকে স্টেশনে প্রবেশের হাস্যকর একটি গেট কাঁদো কাঁদো হয়ে বললো – আমি আর কবে নতুন হবো দাদা ভাই!!
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক বিশুদ্ধ পানি পানের জায়গা এখন পরিত্যক্ত। ট্যাপ সেই কবেই নাই হয়েছে, দেখে মনে হবে কোন মনুমেন্ট দাঁড়িয়ে আছে বা এটি কোন ময়লার ভাগাড়। একটি স্টেশন হিসেবে বা একজন যাত্রীর জন্য যতগুলো বিষয় প্রয়োজন তার সিকিভাগও এখানে নেই। নীতিনির্ধারকরা অপ্রয়োজনীয়ভাবে আলীশহর, লালমাই, ময়নামতি স্টেশনে কোটি কোটি টাকার শ্রাদ্ধ করে রেখেছে অথচ কোন আন্তঃনগর এর স্টপেজ নেই সেগুলো তে!! সিলেট সেকশনের এই স্টেশনগুলো তে নেকনজর পড়লে যাত্রীসেবা এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধা পেতো এদিককার যাত্রীরা। সুষম উন্নয়নের সব সুবিধা থেকে বঞ্চিত এ সেকশনের অধিকাংশ স্টেশন।

Daily Frontier News