মাসুম মির্জা নবীনগর উপজেলা প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরের মৌচাক মার্কেটস্থ ১৭ নং দোকানে আপন বড় ভাই মানবাধিকার কর্মী মো. খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে টাকা-জমিজমা ও হয়রানির অভিযোগ করে তার ছোট ভাই কুয়েত প্রবাসী মো. মোরশেদ আলম (৪৫), মো. আলাউদ্দিন জমাদার (৩৮), মা আম্বিয়া বেগম (৬৫) ও মোরশেদ আলমের একমাত্র পুত্র সন্তান আব্দুর রহমান (১৬) সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে খোরশেদ আলমের মা আম্বিয়া বেগম খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে তাকে হজে পাঠানোর কথা বলে তার নামে থাকা জমি বিক্রি করিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করেন। এছাড়া খোরশেদ আলমের ছোট সৎ ভাই মো. আলাউদ্দিন জমাদার তাকে পৈতৃক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করাসহ লাওয়ারিশ সন্তান বলা ও নানা অপবাদের কথা উল্লেখ করেন।
মো. মোরশেদ আলম বলেন, আমি ১৯৯৫ সাল থেকে পর্যায়ক্রমে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে ২ কন্যা, ১ পুত্র ও স্ত্রীসহ কুয়েতে বসবাস করছেন। দেশের ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ নিজ এলাকায় তার ও ভাইদের জমি-জমা রয়েছে। সপরিবারে কুয়েত থেকে দেশে আসতে চাইলে তার আপন বড় ভাই খোরশেদ আলম নানা দেশে না আসতে নানা ধরনের কৌশল অবলম্বন করে বলে জানান। যাতে তাকে ও তার ছোট ভাইকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে সহজ হয়। পরে তিনি সপরিবারে দেশে আসলে তাকে ও তার পুত্র সন্তান আব্দুর রহমানকে সাজানো মামলায় ফাঁসিয়ে জেল খাটায় এবং ৭ দিনের জেল জীবন শেষে তিনি জামিনে আসেন। এছাড়া তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি ও চক্রান্ত শুরু করে। এখন তিনি পুরো পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তার সন্তানরা ভাল করে বাংলা বলতে পারেন না। তারা নাড়ীর টানে দেশে আপন লোকের কাছে হয়রানির শিকার হয়ে তারা বাকরুদ্ধ।
সংবাদ সম্মেলন থেকে জানা যায়, খোরশেদ আলম আইন ও মানবাধিকার বিষয়ক কমিটির নবীনগর উপজেলা শাখার সভাপতি। মানবাধিকারকর্মীর আড়ালে তিনি ঘরের মধ্যেই মানবাধিকার লঙ্ঘন, প্রতারণা ও হয়রানি করে যাচ্ছেন সংবাদ সম্মেলনকারীদের।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics