Daily Frontier News
Daily Frontier News

ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে গোমতীর পানি বাড়ছে! আতঙ্কে দুই পাড়ের বাসিন্দারা

 

মোঃ আবদুল্লাহ বুড়িচং।।

গত কয়েক দিনের টানা ভারী বর্ষণ ও প্রবল বৃষ্টিপাতের ফলে উজানের থেকে আসা ঢলের পানিতে কুমিল্লার গোমতী নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করেছে। ভারতের ত্রিপুরা থেকে খরস্রোতা পানিতে গোমতীর চরের ফসলী জমি ও বাড়ী ঘর ভেসে গেছে। এতে হাজার হাজার মানুষ তীরে অবস্থান করছে। ষোলনল ইউনিয়নের কিংবাজেহুড়া গ্রামের মানুষের ঘর বাড়ী পানির নিচে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় ব্যবসায়ী এনামুল হক শান্ত বলেন, সকাল ১১টায় বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের পালপাড়া থেকে নানুয়ার বাজার পর্যন্ত এলাকা ঘুরে দেখেছে কয়েকটি স্থান স্থানীয় লোকজন বস্তা ফেলে বাঁধ রক্ষার কাজ করছে। পানি নদীর আইল ( বেড়িবাঁধের) ৪ ফিট নিচে রয়েছে। বুড়িচং উপজেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের সমন্বয়ক তারিকুল ইসলাম পিয়াস বলেন,ভারত থেকে পানি এসে গোমতীর চর প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার কয়েকটি স্থানে অতিরিকৃত বৃষ্টির কারণে বেড়িবাঁধ কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। আমরা স্বেচ্ছাসেবি টিম তৈরী করতেছি। স্বেচ্ছাসেবি টিম নিয়ে গোমতী নদীর বেড়িবাঁধ রক্ষা এবং সাধারণ মানুষের সহযোগীতা করার কাজে নেমে পড়বো। বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহিদা আক্তার বলেন, আমি বুড়িচং উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। এতে গোমতীর বেড়িবাঁধের ৬ স্থানে অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পানি উন্নয়ণ বোর্ডের লোকজন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং স্থানীয় লোকজন মিলেমিশে বস্তা দিয়ে মেরামত করছে। তিনি আরো বলেন, বৃষ্টি পড়া বন্ধ হয়ে গেলে বিপদ কেটে যাবে। এখনো বড় ধরণের কোন বিপদ হয় নাই। বুড়িচং উপজেলার কংশনগর এলাকায় ২টি,গোবিন্দুপুর এলাকায় ২টি, কাহেতরা এলাকায় ১টি এবং ভান্তি এলাকায় ১টিসহ বেড়িবাঁধের ৬টি স্থানের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
বুড়িচং, ব্রাহ্মণাড়া এবং দেবিদ্বার উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর মেজর নাজিউর বলেন, এসব কাজগুলো সিভিল প্রশাসনের। সিভিল প্রশাসন থেকে আমাদের কাছে সহযোগীতা চাইলে আমরা তাদের কাজে সহযোগীতা করি।

Daily Frontier News