Daily Frontier News
Daily Frontier News

বুড়িচংয়ে হাসপাতালে গৃহবধুর লাশ রেখে স্বামী ও শাশুড়ি পলাতক

 

বুড়িচং প্রতিনিধি।।

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গৃহবধু মনি আক্তার(২৩) এর লাশ রেখে স্বামী ও শাশুড়ি পলাতক।
নিহত গৃহবধুর মা শাহিনা আক্তারের অভিযোগ নির্যাতনের পর হত্যা করে আত্মহত্যা প্রচারণা চালিয়ে আসল রহস্যকে ধামাচাপা চেষ্টা করছে স্বামী পরিবার।ঘটনাটি ঘটেছে (১২ জুন ২০২২) রোববার সকালে উপজেলার খাড়াতাইয়া গ্রামের বড় বাড়িতে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়,জেলার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের খাড়াতাইয়া বড় বাড়ির আবুল কাসেমের ছেলে মোঃ শাহ পরাণের সাথে পাশের উপজেলা ব্রাহ্মণপাড়ার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের জিরুইন গ্রামের মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়ার মেয়ে মনি আক্তারের সঙ্গে বিবাহ্ বন্ধনে আবদ্ধ হয়।তাদের সংসারে আড়াই বছরের একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানান,শাহ পরানের সাথে মনি আক্তারের বিবাহ্ হওয়ার পর থেকেই তাদের মধ্যে বনিবনা ছিলো না।স্বামী মাদকাসক্ত থাকায় স্ত্রীকে প্রায় সময় শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করতেন। স্বামীর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে মনি আক্তার ২০২০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বরে বাপের বাড়িতে চলে যায়। কয়েকমাস পর উভয়ে পরিবারের সাথে সামাজিকভাবে মিমাংসার মধ্য দিয়ে পুনরায় বাপের বাড়ি থেকে মনি আক্তারকে তার শশুড়-শাশুড়ি বাড়িতে নিয়ে আসে।

নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক একাধিক সূত্রে জানা যায়,মনি আক্তারকে পুনরায় বাড়িতে আনার পর প্রায় সময় স্বামী শাহ পরাণের কৃর্তৃক নির্যাতনের শিকার হতেন।ঘটনার আগের দিনেও গৃহবধূকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে বলে বাপের বাড়ির লোকজনের অভিযোগ রয়েছে।রোববার সাড়ে ৭টায় গৃহবধুর মনির আক্তারের লাশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পড়ে থাকার খবর পেয়ে এসআই মোঃ আব্দুল জব্বার সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিক সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে।তিনি জানান,নিহতের স্বামী ও শাশুড়ি সকালে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়।নিহত শশুড় বাড়ির ঘরের তীরের সাথে ঝুলন্ত একটি উড়না উদ্ধার করে। স্বামীর পরিবারের ভাষ্যমতে মনি আক্তার আত্মহত্যা করেছে।তবে স্থানীয়দের ভাষ্যমতে জানা যায়, গৃহবধূর মৃত্যুতে রহস্য রয়েছে। নিহত মনি আক্তারের মায়ের অভিযোগ অপরিকল্পিত ভাবে হত্যা করে মেয়ের লাশ হাসপাতালে রেখে স্বামীর পরিবার পালিয়েছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মৃত্যুর বিষয়টি নিয়ে চাঞ্চল্যকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।এখানে স্বামী ও শাশুড়, শাশুড়িকে পাওয়া যায়নি।

বুড়িচং থানার ওসি মারুফ রহমান জানান,খবর পেয়ে হাসপাতাল থেকে একটি গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেকে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে এবং ঘটনার কারণ ময়নাতদন্তের পর বলা যাবে।অভিযোগ পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Daily Frontier News