Daily Frontier News
Daily Frontier News

বিজয়নগরে সরকারী রাস্তা দখল করে বাউন্ডারী নির্মাণের অভিযোগ

 

আলমগীর হোসেন বিজয়নগর প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া:-

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সরকারী রাস্তা দখল করে বাউন্ডারী নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে।

শশই ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক হতে শামসু মেম্বারের বাড়ি পর্যন্ত সরকারী রাস্তাটির অনেকাংশ জায়গা দখল করে বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করেছেন বুধস্তী ইউনিয়নের শশই গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে মোঃ জামাল মিয়া ও তার ভাইয়েরা। এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর ৩০শে জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন একই এলাকার ভুক্তভোগী মোঃ সোলেমান মিয়ার ছেলে মোঃ মিজান সিকদার।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সরকারী রেকর্ডভুক্ত রাস্তাটি পাকাকরনের জন্য কাজ শুরু হলে মোঃ মিজান সিকদারের তার নিজস্ব জায়গার উপর দিয়ে ঠিকাদার রাস্তা নির্মাণ করলে রাস্তাটির সঠিক সীমানা নির্ধারনের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়।

 

অভিযোগকারী মোঃ মিজান সিকদার জানান, আমি এবং আমাদের চাচাত ভাইয়েরা ভোক্তভোগী। ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক থেকে রাস্তাটি পায়ে চলাচলের উপযোগী ও কাচা রাস্তা ছিল। সরকারীভাবে রাস্তাটি টেন্ডার হয়ে পূণঃনির্মাণ ও পাকাকরনের সিন্ধান্ত হয়ে কাজ চলমান হয়। যেহেতু রাস্তা স্থায়ীভাবে করা হবে এতে আমাদের জায়গার সঠিক সীমানা দেয়ার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলে স্থানীয়ভাবে আমরা ওয়ার্ডের মেম্বার ও এলাকার শালীশকারক ও সর্দারদের নিয়ে একাধিকবার বিচার শালিস বসে জায়গা পরিমাপ করে সীমানা দেয়। পরবর্তিতে শালিশ অমান্য করে সীমানা ফেলে দিয়ে প্রতিপক্ষ জামাল মিয়া গং। পরবর্তিতে আরও শালিশ দরবার করেও কোন সুরাহা পাইনি। শালিশকারকদের বিষয়টি জানালে তারা বলেন, তোমরা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ কর আমরা যা সত্য তাই বলব। মিজান আরও জানান, বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ করার সময় আমি বাড়ির বাইরে ও আমার চাচাত ভাইয়েরা প্রবাসে থাকায় বাড়িতে থাকা মহিলারা জামাল মিয়া ও তার ভাইদের বাধা প্রদান করলেও বাধা উপেক্ষা করে দেয়াল নির্মাণ করে। তারা তখন বলে আমরা সরকারী রাস্তায় বাউন্ডারি দিলে তোমরা বলার কে বললে আমাদেরকে সরকার বলবে। মিজান আরও বলেন, ভেকু দিয়ে কাজ করার সময় আমার একটি ফলন্ত বড় আমগাছ ফেলে দেয়।

ভূক্তভোগী মিজানের চাচাত ভাই প্রবাসী মোঃ সোহেল মিয়া জানান, আমি প্রবাসে থাকার সুযোগে জামাল মিয়া ও তার ভাইয়েরা জোর পূর্বক বাউন্ডারি দিয়ে দেয়। জামাল মিয়া তহসিল অফিসের পিয়ন ছিলেন এই সুবাদে সঠিক মাপঝোক তার জানা থাকা সত্বেও জায়গা দখলের লোভ সামলাতে না পেরে রাস্তার জায়গা দখল করেছে। এখন রাস্তা পাকাকরনের জন্য কাজ আসলে ঠিকাদার আমাদের নিজস্ব জায়গার উপর দিয়ে জোর করে রাস্তা নিতে চাচ্ছে। আমরা ইউএনও স্যারের পরামর্শে এসিল্যান্ড স্যারের বরাবর দরখাস্ত করেছি। ভারপ্রাপ্ত এসিল্যান্ড স্যার আমাদেরকে জেলা এলজিইডি অফিসারের কাছে দরখাস্ত করার কথা বলেছেন। আমরা এলজিইডি স্যারের কাছেও অভিযোগ জানাব। আমাদের দাবী সরকারী রাস্তা কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে পরিমাপ করে তাদের রাস্তা নিয়ে যাক এতে আমাদের কোন আপত্তি নেই। তবে আমাদেরকে নিরীহ মানুষ পেয়ে যেন আমাদের প্রতি কোন অবিচার করা না হয় বাংলাদেশের সরকার ও জনগনের প্রতি আমরা এই দাবী জানাচ্ছি।

ঠিকাদার দানা মিয়া বলেন, এটা নিয়ে কয়েকবার শালিশ হয়েছে কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। আমার কাজ করার দরকার তাই যত দ্রুত সমাধান হলে ভাল।

স্থানীয় মেম্বার মোঃ হাবীবুর রহমান বলেন, আমরা শালীশ করে সমাধানে গিয়েছি কিন্তু মিজান ও তার ভাইয়েরা শালিশ মানলেও প্রতিপক্ষ জামাল মিয়া ও তার ভাইয়েরা পরবর্তীতে রায় অমান্য করে।

শালিশকারক মোঃ দুধু মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, আমরা কয়েকবার শালিশ করেছি কিন্তু জামাল মিয়া শালিশ অমান্য করে।

আরেকজন শালিশকারক মোঃ হাজ্বী নান্নু মিয়া বলেন, আমরা রাস্তা ও এলাকার স্বার্থে দুই পক্ষের সুন্দর সমাধান দেবার পরেও জামাল মিয়া ও তার ভাইয়েরা রায় অমান্য করে বিশৃংখলা সৃষ্টি করতেছে।

মোঃ জামাল মিয়ার সাথে মোঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বলেন, আমি কোন রাস্তার জায়গা দখল করিনি, আরও একফুট জায়গা ছেড়ে আমি বাউন্ডারি দিয়েছি।

Daily Frontier News