Daily Frontier News
Daily Frontier News

বন্যপ্রাণী রক্ষায় সাত ছড়িতে সড়কে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী পালিত

 

 

আব্দুল জাহির মিয়া চুনারুঘাট প্রতিনিধি ঃ

 

সকলের অংশগ্রণ বন্যপ্রাণী হবে সংরক্ষণ এ স্লোগানকে ধারণ করে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের ভেতর দিয়ে যাওয়া  ঢাকা সিলেট পুড়াতন মহাসড়কে বন্যপ্রাণীর মৃত্যুরোধে ২০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চলাচলের জন্য সাতছড়ি উদ্যানস্থ সড়ক পথে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) দুপুর ১১ টায় সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের সড়কপথে সহ- ব্যবস্থাপনা কমিটি ও মৌলভীবাজার প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের আয়োজনে এ কর্মসূচী শুরু হয়। সাত ছড়ি সহ- ব্যবস্থা কমিটির ভারপ্রাপ্ত -সভাপতি সাংবাদিক মো: আবুল কালাম আজাদ এর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো: রেজাউল করিম চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ মৌলভীবাজারের সহকারী বন সংরক্ষক শ্যামল কুমার মিত্র । অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মো: কামরুল ইসলাম, চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, চুনারুঘাট সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক রাজু, সাংবাদিক আব্দুল জাহির, সাতছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো: আব্দুল্লাহ আল আমিন, সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বিট কর্মকর্তা মো: মামুনুর রশীদ, তেলমাছড়া বিট অফিসার মো: হাবিব উল্ল্যা, সাত ছড়ি জাতীয় উদ্যানের সহকারী হিসাব রক্ষক মো: জসিম উদ্দিন, সিএমসির ক্ষোষাধ্যক্ষ শিক্ষক সত্যন্দ্র দেব নাথ, সিপিজি সভাপতি চিত্তরঞ্জন দেববর্মা, সাতছড়ি পিপলস ফোরামের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম আবুল, সহ- সভাপতি মো: আহাদ মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মো: মোবাশ্বির আলী, ক্ষোষাধ্যক্ষ মোছা : রাবিয়া খাতুন, সদস্য কুহিনূর আক্তার, নাজমা আক্তার, ফাতেমা খাতুন, সংযুক্তা দেব বর্মা, শাহেনা খাতুন, নরুন নাহার, চন্দনা রায়, শিল্পী আক্তারসহ আরো অনেকেই। পরে প্রধান অতিথিসহ বন সদস্যরা প্রায় ৩ ঘন্টা ব্যাপী ঢাকা সিলেটের পুরাতন মহাসড়কের সাতছড়ি এলাকার আশপাশের ট্রাক, বাস, সিএনজিসহ সকল প্রকার যানবাহনের চালকদেরকে সচেতন করেন এবং বনের ভেতরে সর্বোচ্চ গতিসীমা ২০ রাখতে অনুরোধ করেন। সাতছড়ি আশপাশের স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিদিন সাতছড়ি ঢাকা সিলেট মহাসড়কে ভারী যানবাহন সহ অন্তত অর্ধশতাধিক গাড়ী দ্রুতগতিতে যাতায়াত করে। একই সঙ্গে পর্যটকবাহী গাড়িগুলোও দ্রুতগতিতে আসা-যাওয়া করে। সাতছড়ি যে পরিমাণ বাঁক রয়েছে, তাতে দ্রুতগতির যানবাহন কন্ট্রোল করতে গিয়েই এসব দুর্ঘটনা ঘটছে। বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের দেয়া তথ্যমতে, সাতছড়ি ভেতর দিয়ে প্রতিদিন ঢাকা-সিলেট অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। এতে হরিণসহ কয়েকটি প্রাণী এই উদ্যানের গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছে এবং অসংখ্য প্রাণী আহত হয়েছে। সর্বশেষ চলতি বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি অজ্ঞাত গাড়ি চাপা পড়ে একটি হরিণ মারা যায়। এ বিষয়ে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, সড়ক পথে বন্যপ্রাণী মৃত্যু ঠেকাতেই আমাদের এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্ত যানবাহনের চালকেরা তা না মেনেই দ্রুত গতিতে গাড়ি নিয়ে চলাফেরা করছে, সাতছড়ি বনের ভেতরে চলে যাওয়া সড়কে যদি ২০ কি.মি. গতিতে যানবাহন চলাচল করে তবে বন্যপ্রাণী রক্ষা পাবে।

Daily Frontier News