Daily Frontier News
Daily Frontier News

পানি বন্দি মানুষের পাশে প্রিন্সিপাল শামীম ইকবাল

 

 

সিলেট প্রতিনিধি ::-

সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২২ নং ওয়ার্ড শাহজালাল উপশহরে পানি বন্দি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ অটিজম গবেষণা ও প্রতিবন্ধী ইনস্টিটিউট (বার্ডস) এর প্রতিষ্ঠাতা ও উপশহর ব্যবসায়ী সমিতি (ইএফ) এর সভাপতি প্রিন্সিপাল শামীম ইকবাল।

তিনি নিজে ও তার টিম উপশহর এলাকায় পানি বন্দি মানুষের বাসায় বিশুদ্ধ খাবার পানি ও প্রাথমিক জরুরী চিকিৎসা সেবা দিয়ে নজির স্থাপন করে চলেছেন।

শামীম ইকবাল তার ব্যক্তিগত ফেইসবুক একাউন্ট থেকে ঘোষণা দেন ‘সম্মানিত ২২নং ওয়ার্ড, উপশহর বাসী আসসালামুয়ালাইকুম।
সম্প্রতি বন্যায় পানি বন্দি উপশহরের সর্বস্তরের জনসাধারণের জন্য বিনামূল্যে খাবার পানি ও জরুরী চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হচ্ছে। প্রয়োজনে ০১৭১১০৪৬১০০’ তিনি বলেন, তার এই ঘোষণায় সাড়া দিয়ে পানি বন্দি বিপদগ্রস্ত অনেকে ফোন দেন, সেই ফোন পেয়ে তিনি তাদেরকে খাবার পানি ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন।

শামীম ইকবাল আরো বলেন, বন্যা শুরু হওয়ায় মানুষ এখন দিশেহারা। বহু মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের খাবার নেই, থাকার জায়গা নেই। এর উপরে দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগব্যধি। এই মানুষগুলোর দিকে সবাই একটু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার চেষ্টা করুন। সরকারের পাশাপাশি ধনবান ব্যক্তিদের উচিৎ এই মানুষগুলোকে বিশুদ্ধ পানি, খাবার এবং চিকিৎসা সেবা দিয়ে সাহায্য করা।

সিলেটের বিভিন্ন স্থানে বহু মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছেন। অনেকে আশ্রয়কেন্দ্রে, অনেকে আবার নিজের ঘরেই বন্দি। অনেকে আবার দেখা যাচ্ছে গৃহ পালিত পশু নিয়ে একসঙ্গেই পানিতে ভাসছেন। খাবারের অভাবে দিন কাটাচ্ছেন বহু মানুষ। বন্যাদুর্গত এলাকায় বিশুদ্ধ পানি পাওয়াটাও দুষ্কর। মানুষ বিশুদ্ধ পানি এবং খাবার না পাওয়ায় বিভিন্ন রোগ ব্যধিতে আক্রান্ত হচ্ছেন।

শামীম ইকবালের এই মহতী উদ্যোগের চিকিৎসা সেবা টিমের ডা: শাহীন বলেন, ‘বন্যা উপদ্রুত এলাকায় বিভিন্ন অসুখ বিসুখের প্রকোপ দেখা দিতে পারে। যেমন- টাইফয়েড, প্যারা টাইফয়েড, জন্ডিস, আমাশয় বা ডায়রিয়া জনিত রোগ, পেটের পীড়া ইত্যাদি হতে পারে। এ ছাড়াও বুকে ভাইরাল ইনফেকশন হতে পারে। নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, হাপানি বাড়তে পারে।

এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, পানিবন্দি মানুষ এই সময়টায় নোংরা পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে তারা নানা রকম চর্মরোগেও ভুগতে পারে। চুলকানি, অ্যালার্জি এ ধরনের চর্মরোগ ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বন্যা পরিস্থিতিতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে শিশুরা। বয়স্ক মানুষ এবং গর্ভবতী মায়েদের ঝুঁকিটা আরও বেশি।
সরকারের পক্ষে পুরো বিষয়টা সামাল দেওয়া কষ্টসাধ্য। এজন্য আমাদের প্রত্যেকের উচিৎ যে যার মতো করে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানো। আমাদের একটু সাহায্য বিপর্যয়ের মাঝেও এই মানুষগুলোকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পারে।

Daily Frontier News