মোঃ আব্দুল হান্নান,নাসিরনগর,ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদদাতাঃ-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে শিক্ষক কাজী হয়ে দশম শ্রেণীর ছাত্রের সাথে ছাত্রীর বিয়ে সম্পন্ন করে দিয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ১৪ জুলাই ২০২২ রোজ বৃহস্পতিবার বার দিবাগত রাত অনুমজন ৩ঘটিকার সময় ছাত্রীর বাড়ি জেঠাগ্রামে।ঘটনার বিবরণে জানা গেছে উপজেলার গোর্কণ ইউনিয়নের জেঠাগ্রাম উচ্চ বিদ্যায়ের প্রতিষ্টাতা ও বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডঃ আব্বাস উদ্দিনের বড় ভাই ডাক্তার মোবারক হোসেন ইলিয়াছের ছেলে জেঠাগ্রাম বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ সজিব মিয়া বিকেলে তার সহপাটি দশম শ্রেণীর ছাত্রী ও প্রতিবেশী মৃত সুরুক মিয়ার বাসাতে নোট বই আনতে যায়।পরে ওই ছাত্রীর আত্মীয় স্বজন মিলে সজিবকে সুরুক মিয়ার ঘরে আটকিয়ে রেখে ওই ছাত্রীর সাথে সজিব অনৈতিক কাজে ধরা পড়েছে মর্মে প্রচার চালিয়ে সজিবের বাবা ডাক্তার মোবারক হোসেনকে খবর দিয়ে সেখানে নিয়ে অত্র বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক ও গোর্কণ ইউনিয়নের কাজী মাওলানা নজরুল ইসলাম প্রায় ৭ লক্ষ টাকা দেন মোহর সিদ্ধান্ত করে ওই ছাত্রীর সাথে সজিবের বিয়ে পরিয়ে দেন।
এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এডঃ মোঃ আব্বাস উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার স্কুলের শিক্ষক হয়ে আমাকে কিছু না জানিয়ে দুটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছাত্র/ছাত্রীকে এভাবে বিয়ে পড়িয়ে দিয়েছে যা সত্যিই লজ্জাজনক।আমি এ বিষয়ে আর কিছু বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শওকতুল ইসলাম বলেন বিষয়টি খুবই দুঃখ ও লজ্জাজনক।
এ বিষয়ে সহকারী শিক্ষক মাওলানা নজরুল ইসলামের সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে ছাত্র/ছাত্রীর বিয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,শুধু বিয়ে পড়ানো হয়েছে,এখনো কোন খাবিন রেজিষ্ট্রি করা হয়নি।ছেলে মেয়ে উভয়েরই লেখাপড়া করার সুযোগও রয়েছে বলে জানান ওই শিক্ষক।
এ বিষয়ে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোনাব্বর হোসেনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেননি বলে জানান।তবে তিনি বলেন আমি এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics