Daily Frontier News
Daily Frontier News

নাসিরনগরে বিটিসিএল গ্রাহকদের ভুতুড়ে বকেয় বিল

 

 

নাসিরনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধিঃ-

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে প্রায় ১২ বছর পূর্বের ভুতুড়ের বিলের চূড়ান্ত নোটিশ দেখে গ্রহকরা হতবাক। বকেয়া বিলের হয়রানি থেকে রক্ষার জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ভারপ্রাপ্ত) মোঃ মোনাববর হোসেনের গ্রহকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাহী কর্মকর্তা এ ব্যবপারে তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদান করার জন্য উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাসের নিকট প্রেরণ করেন। আজ মঙ্গলবার ২৮ জুন ২০২২ সকালে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানী লিমিটেড (বিটিসিএল) এর জেলা /উপজেলা প্রতিনিধি ও ভুতুড়ে বকেয়া বিলের চূড়ান্ত নোটিশ প্রাপ্ত গ্রাহকদের উপস্থিতিতে শুনানি কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি কার্যক্রমে দেখা যায়, গ্রাহকেরা মাসে মাসে যে বিল পেয়েছি তা পরিশোধ করেন নাসিরনগরে বিটিসিএল দায়িত্বে তাপশ ও জেলার দায়িত্বে বিধান নামে ব্যক্তির নিকট। বকেয়া টাকা পরিশোধ করার পর লাইনের সংয়োগ বিছিন্ন করা হয়। প্রায় দীর্ঘ ১২/ ১৩ বছর পর হঠাৎ ভুতুড়ে বকেয়া বিলের চূড়ান্ত নোটিশ প্রাপ্ত হয়ে গ্রাহকরা হতভম্ব। দেখা যায়, যেখানে বাড়িতে লাইন-ই নেয়নি সেখানে আবার বিল কিসের এমন প্রশ্ন উপজেলা সদরের মৃত আক্কেল মিয়া ছেলে মো. মামুন ভূইয়ার। তার মতো এমন অনেকেই আছেন যারা বাড়িতে টেলিফোন লাইন সংযোগ নেয়নি, কিন্তু তাদের নামে ১২ বছরের বকেয়া বিল ধরিয়ে দিয়েছে বাংরাদেশ টেলিকমিনেকিশন বিটিসিএল কোম্পানি নাসিরনগর অফিস।নাসিরনগর সরকারি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. আব্দুল হক বলেন, আমি ১২ বছর আগেই টেলিফোন লাইনের সকল বিল পরিশোধ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছি। কিন্তু কিছুদিন আগে আমার নামে ১২ বছরের বকেয়া বিল পরিশোধ করার চুড়ান্ত নোটিশ দিয়েছে। বিষয়টি আমার জন্য খুবই বিব্রতকর।উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অঞ্জন কুমার দেব জানান, আমি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার সময় সকল বিল পরিশোধ করে প্রত্যয়ন নিয়েছি, কিন্তু তার পরও আমার নামে ১২ বছরের বিল দেখানো হয়েছে। আমি বিলে পরিশোধের প্রত্যয়ন দেখানোর পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বলছে এ সব নাকি ভুয়া কাগজ। অভিযুক্ত বাংলাদেশ টেলিকমিনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) নাসিরনগর অফিসের কর্মচারী তাপস মুখার্জী জানান, আমি গ্রাহকের সকল টাকা সময়মতো জমা করেছি। কি কারণে এত বিল আসল বিষয়টি আমার জানা নেই।তদন্তকারী কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাস জানান, গ্রাহক ও বিটিসিএলের কর্মকর্তাদের সবার কথা শুনেছি। শুনে আমার আপাদত মনে হচ্ছে বিটিসিএল অফিসে গাফিলতি রয়েছে এবং নাসিরনগর অফিসের দুই কর্মচারী গ্রহকের বিলের টাকা জমা না করে আত্মসাৎ করেছে। আমি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার পর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

Daily Frontier News