Daily Frontier News
Daily Frontier News

টেন্ডার ছাড়াই রাস্তা নির্মাণ করলো নরসিংদীর সড়ক বিভাগ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে নির্মাণের অভিযোগ এলাকাবাসীর

 

 

 

নরসিংদী ক্রাইম রিপোর্টার :-

 

নরসিংদী সড়ক বিভাগ ( সওজ) এর কোন দরপত্র ছাড়াই প্রায় দুই কোটি টাকার কাজ নিজেরাই করছেন বলে জানা যায়। ঘটনাটি ঘটে নরসিংদী সড়ক বিভাগের আওতাধীন হাতিরদিয়া-পাতুরদিয়া-দশদোনা আঞ্চলিক সড়কে। নরসিংদী জেলার মনোহরদী উপজেলার হাতিরদিয়া-পাতুরদিয়া-দশদোনা আঞ্চলিক সড়কে কোন টেন্ডার বা দরপত্র ছাড়াই প্রায় দুই কোটি টাকার কাজ নরসিংদী সড়ক বিভাগ (সওজ) নিজেরাই করছেন বলে জানান। কাজের ধীরগতি ও নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের ফলে জনমনে চরম অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। অথচ টেন্ডার আহবান করে অদৃশ্য কারণে দরপত্র দাখিলের পর তা গ্রহন করে পুনরায় আবার টেন্ডারও আহবান করে কি কারণে তারা নিজেরাই কাজ করছেন এনিয়ে জনমনে চরম অসন্তোষ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কটি সরজমিনে পরিদর্শন করে দেখা যায়, ইতিমধ্যে প্রায় ৭০ ভাগ কাজ শেষ করা হয়েছে। কাজের গুণগতমান নিয়েও তুষ্ট নন ক্ষুদ স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ এলাকাবাসী। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, রাস্তার কাজের কোন টেন্ডার হয় নাই। টেন্ডার না হলে রাস্তার কোন কাজই হবেনা। আর ওনি তা দিতে পারেননা।অফিসিয়াল কাজ কিভাবে করছেন তা তারাই ভাল জানেন। পাঁচদোনা-চরসিন্দুর-দশদোনা লিংক রোডের এ সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দর থাকার ফলে স্থানীয় লোকজন চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। গত ৯ মার্চ ২০২২ অত্র রাস্তাটির উন্নয়ন কাজের জন্য সড়ক ভবন থেকে টেন্ডার বা দরপত্র আহবান করেন এবং দরপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিলো ৩১ মার্চ ২০২২ ইং। যাহার দরপত্র আইডি নং- ৬৭২২৬৩। সরকারিভাবে অত্র কাজের ব্যয় ধরা হয়েছিলো ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩০ টাকা। ১০% নিন্ম দরে নির্মাণ ব্যয় ১ কোটি ৭৮ লাখ ৫৯ হাজার ১৩২ টাকায় দাখিল করে ফাস্ট লয়েস্ট হয় মেসার্স ভূঁইয়া কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। অপরদিকে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৯০ হাজার টাকায় দরপত্র দাখিল করে সেকেন্ড লয়েস্ট হয় মেসার্স মোহাম্মদ ইউনুস এন্ড ব্রাদার্স লিমিটেড নামে আরেকটি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু দরপত্র দাখিলের কিছুদিন পরই উল্লেখিত সড়কে কাজও শুরু হয় দেদাচ্ছে। কিন্তু কারণে বা কার নির্দেশে গত ২৬ মে তা আবার রি-টেন্ডার করা হয়। যাহার আইডি নং- ৭০৪২২৫ এবং নোটিশে তাহা চলতি মাসের অর্থাত ১৩ জুন ২২ ইং তারিখে দরপত্র দাখিলের শেষদিন উল্লেখ করা হয়। নোটিশ দেখে স্থানীয় ঠিকাদার ও জনসাধারণের মনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। ফলে জনপ্রতিরোধের মুখে কাজ ফেলে চলে আসে অফিস। এতে করে জনদুর্ভোগ আরও বেড়ে যায়। স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, দুইমাস ধরে একটা কন্ট্রাক্টারের মাধ্যমে এ কাজ করা হচ্ছে। আর কারা করছে তা আমরা জানিনা। কাজের মান ভাল না। কাজও ভাল হচ্ছে না। নিন্মমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে জানার জন্য সড়ক বিভাগ (সওজ) শিবপুর জোনাল অফিসে গেলে সেখানে অফিসের দায়িত্বরত কোন কর্মকর্তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে শিবপুর জোনাল অফিসের উপপরিচালক ফিরোজ আলমের মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন। সড়ক ও জনপথ নরসিংদীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো.হামিদুল ইসলাম ডিসি অফিস ও মন্ত্রী মহোদয়ের উপর দায় চাপানোর চেষ্টা করে তিনি বলেন, কোনরকম টেন্ডার বা দরপত্র ছাড়াই আমরা কাজ করতে পারি। কাজ করতে তাদের কোন লিমিটেশন নাই। দীর্ঘদিন ধরে নরসিংদী সড়ক ভবনটি একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্রের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এ শক্তিশালী সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণের কারণে এমন হরিলুট হচ্ছে। এতে করে একদিকে যেমন জনদুর্ভোগ বাড়চে, অন্যদিকে সহ্য করতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্নীতি। আর সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব।জেলাবাসী এ দুর্ভোগ, দুর্নীতি ও অনিয়ম থেকে মুক্তি চায়।

Daily Frontier News