মোঃ আব্দুল হান্নানঃ- নাসিরনগর,(ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সংবাদদাতা
বন্যার পানিতে স্বপ্ন ভাঙ্গছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার পোল্ট্রি খামারিদের।সম্প্রতি বন্যার পানিতে উপজেলায় কমপক্ষে ৩০ হাজার হাঁস -মোরগ মারা গেছে ও নিখোঁজ রয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট খামার ব্যবসায়ী সুত্রে জানা গেছে।
একাধিক বিশস্ত সূত্র বলছে, উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের ১০ টি,গোয়ালনগর ইউনিয়নের ৬ টি,ভলাকুট ইউনিয়নের ৫ টি,কুন্ডা ইউনিয়নের ৪ টি,নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের ৩ টি,গোকর্ণ ইউনিয়নের ৪ টি,বুড়িশ্বর ইউনিয়নের ৪ টি,পূর্বভাগ ইউনিয়নের ২ টি,গুনিয়াউক ইউনিয়নের ২ টি ও হরিপুর ইউনিয়নের ১ টি খামার বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।যার ফলে অনেক পোল্ট্রি খামারের হাঁস- মোরগ মারা যাওয়ার ও খবর পাওয়া গেছে। বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় হাঁস মুরগির খামারি ও অসংখ্য পোল্ট্রি খ্যদ্যের ডিলার ব্যবসায়ীরা এখন চরম হতাশায় ভুগছেন। চাতলপাড় ইউনিয়নের পোল্ট্রি খামারি সাইফুল ইসলামের ৭ হাজার বয়লার মুরগির এগ্রোফার্ম ছাড়াও তিনি আরো ৭/৮ টি ফার্মের ডিলারশীপ। তিনি বলেন,বন্যার পানিতে ভাসছে খামারিদের স্বপ্ন। বন্যার পানিতে অর্ধশতধিক খামারির চোখে নেমে এসেছে অন্ধকার।
নাসিরনগর সদর ইউনিয়নের পোল্ট্রি খামারি বিকাশ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের দায়িত্বে থাকা কেউ এখন পর্যন্ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ খামার গুলো দেখতেও আসেননি। পোল্ট্রি খামারি বিকাশ চৌধুরী আরো বলেন,আর আধ হাত পানি বাড়লেই আমার ফার্মে বন্যার পানি ঢুকে পড়বে, এই মুহূর্তে ফার্মটিকে স্থানান্তর করতে না পারলে লক্ষ লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধিত হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নাসিরনগর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্ত সূত্র জানায়,আমরা ইমার্জেন্সি বন্যা নিয়ন্ত্রন কক্ষ চালু করেছি।
মানুষের মাঝে ত্রান সামগ্রী বিতরণের পাশাপাশি গবাদি পশু সমুহকেও খাদ্য সামগ্রী বিতরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।ইতিমধ্যে এই সেবা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্থ খামারিরা পেতে শুরু করেছে।এর আওতায় ফ্রি চিকিৎসা, ঔষধপত্র বিতরণও ভ্যাক্সিনেশন করা হচ্ছে।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics