বিশেষ প্রতিনিধি।।
কুমিল্লার চান্দিনায় নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে বিষপানে শান্ত সরকার (১৭) নামে দশম শ্রেনীতে পৃৃড়ুয়া এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। শনিবার রাত (৩ সেপ্টেম্বর) আনুমানিক সাড়ে দশটার দিকে উপজেলার গল্লাই ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। সে উপজেলার বারেরা ইউনিয়নের ভাড়ভাঙ্গা গ্রামের রতন সরকারের ছেলে।শান্ত চান্দিনা সরকারি মডেল পাইলট স্কুলের ১০ম শ্রেনীতে পড়াশোনা করত।
নিহতের মামা শিমুল মল্লিক ও নানী রেখা রাণী বলেন, তাদের বাড়িতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের আয়োজন চলছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এক সপ্তাহ পূর্বে শান্ত বাবার বাড়ি থেকে নানার বাড়িতে আসেন। শনিবার সন্ধ্যায় বিয়ের অনুষ্ঠানে তার বন্ধুদের সঙ্গে গান বাজনায় হাঁসি খুশিতে বেশ ভালই ছিল।রাত ৮টায় হঠাৎ শান্ত বমি করলে মামা শিমুল এগিয়ে যায়। জানতে পারে বিষ খেয়ে ফেলায় বমির কারণ। বিষক্রিয়ার যন্ত্রনায় ছট-পট শুরু করলে স্বজনরা তাকে স্থানীয় কয়েকজনের সহযোগিতায় রায়পুরে একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ১ঘন্টা চিকিৎসা দেওয়ার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। ঢাকা নেয়ার পথিমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গৌরীপুর এলাকায় পৌঁছালে তার মৃত্যু ঘটে। তবে কি কারণে বিষ পান করেছে তা কেউ বলতে পারেনি!
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানায়,ওই দিন বাড়িতে অনুষ্ঠান থাকলেও শান্ত ও তার মামাদের মধ্যে ঝগড়া হতে দেখি।পরে শুনি রাতে শান্তকে হাসপাতাল নিয়ে গেছে।তবে আত্মহত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে ওই রাতেই তড়িৎ গতিতে মৃতদেহ সৎকার করে শান্তর পরিবার।
এ বিষয়ে নিহতের বাবা রতন সরকার মুঠোফোনে জানান, আমাদের বাড়েরা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কে বিষয়টি জানালে তিনি আমাদের নিয়ম অনুযায়ী দাফন অথবা পুড়িয়ে ফেলতে বলেন। তাই আমরা থানা পুলিশ কে না জানিয়ে মৃতদেহ সৎকার করি।
বারেরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আহসান হাবীব মুঠোফোনে জানান, নিহতের বাবা আমাকে ফোন করে জানান তার ছেলে মৃগী রোগে ছটফট করলে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়ার পথে মার গেছে। আমি তাকে তাদের নিয়ম অনুযায়ী লাশ দাফন অথবা পুড়িয়ে ফেলতে বলেছি। বিষ পানে মৃত্যুর কথা তারা আমাকে জানায়নি।
এবিষয়ে চান্দিনা থানার ইনজার্জ (ওসি) শাহাবুদ্দিন খান বলেন, এবিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি,চেয়ারম্যান একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে এভাবে বলতে পারেন না। তিনি যা বলেছেন তা ঠিক করেননি।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics