চসিকের কোটি টাকার হাট ইজারাদার-ব্যবসায়ী সর্বশান্ত

সাহাবুউদ্দিন চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম নগরীর বিবির হাট (গরুর বাজার) নামে খ্যাত চসিকের অন্যতম কোটি টাকার হাট নিয়ে ইজারাদার ব্যবসায়ীদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ও মাথায় হাত।কাঙ্খিত লাভ-সুবিধাভোগীদের গলার কাঁটায় পরিণত হয়েছে। ইজারাদার ব্যবসায়ীরা আর্থিক অপরোনীয় ক্ষয়ক্ষতিতে চরম বিপাকে পড়ে আর্থিক সর্বশান্ত ক্ষতিগ্রস্তে দিশেহারা ইজারাদার ব্যবসায়ীরা।ক্ষতিগ্রস্তদের নানা প্রতিবন্ধীকতা, বাধা বিপত্তি ও অভিযোগ উঠেছে।

গরুর বাজার ইজারা নিয়ে বিপাকে ইজারাদার। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন থেকে প্রায় ৩ কোটি টাকার টেন্ডারের মাধ্যমে ইজারা নেয়ার পর সড়কের সংস্কার না হওয়ায় এবং চলাচলের রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় উক্ত বাজারে পশু ক্রয় বিক্রয় নিম্ন হওয়ার ক্ষতির সম্মুখিন হতে হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইজারাদার ও ব্যবসায়ীরা।

সিটি কর্পোরেশন নতুনভাবে দুই দুইবার টেন্ডার আহ্বান করলেও সড়কের সংস্কার না হওয়ায় এবং আগের মত এর রমরমা ব্যবসা বেচা বিক্রি লেনদেন না হওয়ায় লোকসানের ভয়ে কোন ঠিকাদার টেন্ডারে অংশ নেয়নি বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের রাজস্ব বিভাগের এস্টেট শাখার পক্ষ থেকে প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত বিবিরহাটের গরু বাজার ১৪২৯ বাংলা সনের ইরাজা নিয়ে এক পত্রে গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি প্রায় ৩ কোটি টাকা টেন্ডার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে।

আগামী ১৪৩০ বাংলা সনের ইজারার টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি আহ্বান করে গত ৮ফেব্রুয়ারি ও ২৩ফেব্রুয়ারি দুই দফায় ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে টেন্ডার আহ্বান করা হলেও কোন ঠিকাদার অংশ নেয়নি। গত রাস্তা জানুয়ারি মাসের ১৭ তারিখ থেকে বন্ধ করে চলছে সেনাবাহিনীর কর্তৃক নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ যা এখনো চলমান রয়েছে।

ভুক্তভোগী ঠিকাদার জানান-দীর্ঘদিন যাবত বাজারটি জনশূন্য রাস্তা বন্ধ থাকায় কোরবানির বেচা বিক্রিও খুব একটা করতে পারেনি। অন্যদিগে দীর্ঘ সাত মাস ধরে বেচা বিক্রি নাই বললেই চলে যার কারণে সিটি কর্পোরেশনের
বকেয়া পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে।পরিশোধ কৃত টাকাও উল্টো তাদের লোকসান গুনতে হয়েছে। উক্ত বিষয়ে অভিযোগ ক্ষতিপূরণ ও সমাধানে হাইকোর্টে রীট করেছেন।
এব্যাপারে মাহামান্য হাইকোর্ট এক সপ্তাহের মধ্যে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ সহ বিস্তারিত জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন

চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন বিবিরহাট গরুর বাজার ইজারাদার পেয়েছিলেন সৈয়দ মাহমুদুল হক নামের এক ইজারাদার।