Daily Frontier News
Daily Frontier News

খুলনার ডুমুরিয়ায় যততত্র পার্কিংয়ে বাড়াচ্ছে ভোগান্তি। ট্রাফিক সার্জেন্ট যেন খাতা-কলমে সীমাবদ্ধ।

 

 

মোঃ আক্তারুজ্জামান লিটন // খুলনা ব্যুরো।।

 

খুলনার ডুমুরিয়ায় যত্রতত্র পার্কিংয়ে চরম ভোগান্তির শিকার পথচারীসহ সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। এই ভোগান্তি নিরসনে যাদের দায়িত্ব পালন করার কথা, তারা যেন নীরব ভূমিকায়। যে কারণে খুলনা/সাতক্ষীরা মহাসড়কে অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ অফিস আলাদত, সরকারি বেসরকারি ব্যাংক-বীমা অফিস, বিভিন্ন বাণিজ্যিক ভবন, বিপনীবিতান, শপিংমল, হোটেল রেস্তোরাঁ,প্রাইভেট হাসপাতাল, ডায়াগনষ্টিক সেন্টারসহ যত্রতত্র সড়কের উপর হুটহাট করে পার্কিং করছে হালকা হতে মাঝারী ধরণের যানবহন। নির্দিষ্ট পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় সড়কসহ যত্রতত্র এই সকল যানবাহন পার্কিং করা হচ্ছে বলে বলে রয়েছে নানা অভিযোগ। তবে নির্দিষ্ট বাহনের পার্কিং ব্যবস্থা থাকলেও যেন ব্যবহারে চরম উদাসীন সচেতন নামের অসচেতন মানুষ।
একাধিক সচেতন ব্যক্তিবর্গ জানিয়েছেন, অনেকেই আবার ১০ টাকায় কারণে নির্দিষ্ট স্থানে পার্কিংয়ের প্রতি অনাগ্রহী, তাই খোলা রাস্তার উপর যানবাহন রাখে, বিশেষ করে এই তালিকায় রয়েছে মোটরসাইকেলসহ প্রাইভেটকার, সিএনজি, মাহেন্দ্রাসহ ইজিবাইক। কারণ খোলা রাস্তার পাশে পার্র্কিং নিষিদ্ধ সত্ত্বেও রাখা হচ্ছে যানবাহন, কারণ এই সকল স্থানে ওই যানবহন রাখতে লাগছেনা কোনো ভ্যাট, ট্যাক্স বা পার্কিং চার্জ। তাই খুলনার /সাতক্ষীরা মহাসড়ক যেন ক্রঃমশই অবৈধ নিয়মে যানবহন রাখার নিরাপদ স্থান হিসাবে গড়ে উঠেছে। যার ভোগান্তি গুণতে হচ্ছে রাস্তায় চলাচলরত পথচারী স্কুল, কলেজ মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীসহ সর্বস্তরের মানুষকে। যততত্র এই পার্কিংয়ের ফলে প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে চরম যানজটের।
অথচ সড়কের উপর অবৈধ নিয়মে যানবাহন গাড়ি পার্কিং করে বন্ধুদের সাথে আড্ডায় ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটিয়ে দিচ্ছি, তখনো মনে থাকছেনা সড়কের উপর রাখা বাহনটির কারণে ঘটতে পারে দূর্ঘটনা! আর অসুবিধায় পড়তে পারে সড়কে চলাচলরত যাত্রী সাধারণ!
আমাদের চলাচলের মাধ্যম হিসাবে অন্যতম মোটরসাইকেল, বর্তমান সময়ে চলাচলরত মাহেন্দ্রা, ইজিবাইক, সিএনজি, ট্রাক-বাস, পিকআপ, প্রাইভেটকারসহ অন্যান্য ছোট-বড় যানবাহন। আমাদের কর্মব্যস্ত জীবনকে সহজলোভ্য করার জন্য যেমন এসব যানবাহনের প্রয়োজন রয়েছে, ঠিক তেমনি প্রয়োজন রয়েছে যথাযথ স্থানে পার্কিং করারও। সোমবার (২০ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়,গুরুত্বপূর্ণ সড়ক , ডুমুরিয়া বাজার, নতুন রাস্তা বাজার, খর্নিয়া বাজার, কাঠালতলা বাজার,চুকনগর বাজার,১৮ মাইল বাজারসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কের উপর দিনে রাতে অবাধে এই নিয়ম বর্হিভূত যানবাহন পার্কিং। সচেতন এলাকাবাসী বলছে এ বিষয়ে তেমন কোনো মাথা ব্যাথা যেন কেএমপি’র ট্রাফিকের নেই যে কারণে খুলনা/ সাতক্ষীরার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এখন অনিয়মতান্ত্রিক পার্কিংয়ে দরুন ক্রমঃশই দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে যানজট। ঘটছে দুর্ঘটনা, বাড়ছে ভোগান্তি।
কথা হয় ডুমুরিয়া উপজেলার খর্নিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় শিক্ষক জিন্নাত মোল্লার সাথে তিনি জানান, সড়কের প্রবেশ মুখে রাস্তার অর্ধেকাংশ জুড়ে অবৈধ ভাবে সারি সারি মোটরসাইকেল, রিক্সা, আর ভ্রাম্যমান দোকান রাস্তার অর্ধেক অংশ জুড়ে দখলে। এ অবস্থার মধ্যে দিয়ে অফিসে যাওয়া-আসায় চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
কথা হয় পথচারী শেখ জাহাবুরের সাথে তিনি বলেন, বর্ষাকাল শুরু হয়েছে। হুটহাট করে বর্ষা নামে। এমন ভাবে বর্ষা ছাড়লে দৌড়ে গিয়ে কোনো দোকানের নিচে গিয়ে আশ্রয় নেবো এমন উপায় নেই কারণ রাস্তার উপর গাড়ি থাকায় ঢোকা সম্ভব হয় না । কারণ সামনে সারি সারি গাড়ি দাঁড়ানো থাকে, ঘুরে আসতে গিয়ে এমনিতেই ভিজে যেতে হয়। পুলিশের সামনে রাখলেও কিছু বলে না। মনে হয় ওনারা ডিউটি করতে আসেননি।
এছাড়া যানচলাচলে দূর্ভোগ সৃষ্টি করে যত্রতত্র পার্কিংয়ের আমাদের আইনগত ব্যবস্থা নেই।
খর্ণিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ দিদারুল হোসেন দিদার ও ইউপি সদস্য মোল্যা আবুল কাশেম, মুজিবুর রহমান মোল্লা সহ অনেকে জানান, আমরা সাধারণ একজন নাগরিক। সচেতন নাগরিক হিসাবে জনদূর্ভোগ সৃৃষ্টি করা কারোই উচিৎ নয়। সুতরাং উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কের উপর যত্রতত্র পার্কিং করে যে দূর্ভোগের সৃষ্টি করা হচ্ছে এ ব্যাপারে ট্রাফিক বিভাগের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের পদক্ষেপ গ্রহন করা উচিত।

Daily Frontier News