Daily Frontier News
Daily Frontier News

ক্রীড়া শিক্ষকের ভুলের কারনে টুর্ণামেন্ট থেকে ওসমানীনগর ফুটবল টীমের বিদায়

 

 

 

সিলেট প্রতিনিধি:-

 

ওসমানীগরে মঙ্গলচন্ডি নিশিকান্ত সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক মুহি উদ্দিন আকন্দ এর ভুলের কারণে জেলা লেভেল থেকে ট্রাই ব্রেকারে হারতে হয়েছে স্কুলের ফুটবল টীমকে।বিষয়টি গোটা উপজেলায় জানাজানি হলে ক্রীড়ামোদীদের মধ্যে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় বইছে।ক্রীড়া শিক্ষক এর ভুলের কারণে বড় ধরণের ক্ষতির শিকার হতে হয়েছে ওসমানীনগর বাসিকে।
জানা যায়,গত ১২ সেপ্টেম্বর সিলেট স্টেডিয়ামে জেলা পর্যায়ে গ্রীষ্মকালিন স্কুল মাদরাসা কারিগরি ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় জেলা পর্যায়ে মঙ্গলচন্ডি নিশিকান্ত সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় ফুটবল টীম সিলেট শাহ্ পরাণ উচ্চ বিদ্যালয় ফুটবল টীমের এর বিপক্ষে খেলতে মাঠে নামে।টুর্ণামেন্টে অংশ নিতে বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক মুহি উদ্দিন আকন্দ খেলোয়াড়দের নিয়ে সিলেট স্টেডিয়ামে যান।যথাযথ কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ফুটবলারদের অষ্টম শ্রেণির মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড সাথে নেওয়া বাধ্যতামূলক থাকলেও মঙ্গলচন্ডি নিশিকান্ত সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় টীম ১৪জনের মধ্যে ৭জনের মূল রেজিস্ট্রেশন কার্ড সাথে নেয়নি।এরপর টুর্ণামেন্টের নিয়মানুযায়ী বাধ্য হয়ে সিলেট শাহ্ পরাণ উচ্চ বিদ্যালয় ফুটবল টীমের এর বিপক্ষে মঙ্গলচন্ডি নিশিকান্ত সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় টীম ৭জন খেলোয়াড় নিয়ে পুরো সময় মাঠে খেলে। ৯০ মিনিটের মধ্যে উভয়পক্ষে কোন গোল না হলে খেলা ট্রাইব্রেকারে গিয়ে গড়ায়।এরপর ট্রাইব্রেকারের নির্দিষ্ট সময়ে কোন গোল না হলে আরো দুই শর্ট খেলতে দেওয়া হয়। তখন নির্ধারিত দুই শর্টে মঙ্গলচন্ডি নিশিকান্ত সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় টীম ২-০ গোলে হেরে যায়। টুর্ণামেন্ট শেষ হলে ক্রীড়া শিক্ষক মুহি উদ্দিন আকন্দ খেলোয়াড়দের সাথে নিয়ে তাজপুরে নামিয়ে দিয়ে তাঁর বাসায় চলে যান।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন,টুর্ণামেন্টে অংশ নিতে কি কি সাথে নিতে হবে তা আমাদের শরীর চর্চার স্যার জানেন। তিনি তদারকি সবকিছু ঠিকটাক করে করে নিয়ে গেলে আমাদের স্কুল এমনভাবে হারতোনা।
মঙ্গলচন্ডি নিশিকান্ত সরকারী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদ হাসান বলেন,নিয়ম অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ডের মূল কপি নেওয়ার কথা কয়েকজন শিক্ষার্থী রেজি: কার্ডের মূল কপি সাথে নেয়নি।এটা থেকে ক্রীড়া শিক্ষক দায় এড়াতে পারেন না। আমি তাঁর বিরুদ্ধে প্রসাশনিক ব্যবস্থা নেব।বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষক মুহি উদ্দিন আকন্দ বলেন, রেজিস্ট্রেশন কার্ড সাথে না নেওয়ায় শিক্ষার্থীরা খেলায় অংশ নিতে পারেনি।এতে আমার আন্তরিকতার অভাব ছিলনা।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা স্বপন কুমার চক্রবর্ত্তী বলেন,শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ডের মূল কপি সাথে নেওয়া নিদের্শনা আগেই বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখানে ক্রীড়া শিক্ষক গাফিলতি করেছেন। এতে ওসমানীনগরের বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে।বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা রায়হান বলেন, আমি বিষয়টি অবগত নয়, না জেনে কিছু বলতে পারবো না।

Daily Frontier News