Daily Frontier News
Daily Frontier News

কুমিল্লার শান্তা খুনের আসামি সোহাগ পলাত্বক, মামলার রায় না পেয়ে ভোক্তভোগী শান্তার পরিবার

 

মোঃ মশিউর রহমান, টাংগাইল জেলা প্রতিনিধিঃ-

.     টাংগাইলের কালিহাতী উপজেলায় বিয়ের দাবিতে কুমিল্লার শান্তা, সোহাগের বাড়িতে অবস্থান নেয়। অবশেষে শান্তার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে কালিহাতি থানা পুলিশ। কুমিল্লা জেলার ব্রাক্ষ্মণপাড়া থানার রামনগর গ্রামের মোঃ মোকলেছুর রহমানের মেয়ে শান্তা (২৪)। সোহাগ (২৮) কালিহাতী উপজেলার আউলিয়াবাদ খালুয়াবাড়ি ১২ নং নাগবাড়ি ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের নূর ইসলামের ছেলে। সোহাগ টাংগাইলে সরকারি সা’দত কলেজে অনার্সে পড়ে।

.      এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মৃত শান্তার বোন বিউটি আক্তার (২৬) কালিহাতি থানায় গিয়ে ১।সোহাগ, ২। নাজমা (৪০), ৩।  নুরুল ইসলাম (৬০), ৪। ছফুরা খাতুন (৫৫), ৫। ধানগড়া গ্রামের এবাদতের স্ত্রী আকলিমা আক্তার রেখী (৪৫), ৬। ছাতিহাটি গ্রামের মৃত তজিবর রহমানের ছেলে লিয়াকত আলী দয়াল (৬৫),সহ অজ্ঞাতনামা আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে কালিহাতি থানায় মামলা দায়ের করেন। ২৯ জুলাই, সোমবার মামলার শুনানীর দিন শান্তার বোন বিউটি আক্তার জানায়, এখনো আদালত থেকে মামলার রায় পায়নি শান্তার পরিবার।

.     উক্ত আসামিরা সময়মতো কোর্টে হাজিরা দিচ্ছে অথচ, পুলিশ জানায় ১ নং আসামি সোহাগকে এখনো খোঁজে পাওয়া যায়নি। অন্য আসামিদের এখনো রিমান্ডে নেওয়া হয়নি। আমি আমার বোনের হত্যার সঠিক বিচার চাই, সোহাগের ফাঁসি চাই। ২৯ জুলাই, সোমবার নাগবাড়ি ইউনিয়নের ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোছাঃ ফাতেমা জানায়, ১ নং আসামি সোহাগ নিয়মিত কোর্টে হাজিরা দিচ্ছে, সে দেখেনি কিন্তু তাকে সোহাগের বাড়ির লোকই তাকে দেখাইছে।

.    ঐদিন অজ্ঞাতনামা সেই লোকটি সোহাগকে মামলা চলাকালীন সময় কোর্টে উপস্থিত থাকতে দেখছিলো বলে জানায়। ঐদিন ৬নং ওয়ার্ডের সেলিম ম্যাম্বার জানায়, আসামি তো ধরে না পুলিশেরা, পুলিশ বলে আসামি পায়না। ২৯ জুলাই, সোমবার মামলা শুনানীর দিন ১ নং আসামি সোহাগ কোর্টে আসছিলো অথচ পুলিশ বলে আসামি খোঁজে পায় না।

Daily Frontier News