Daily Frontier News
Daily Frontier News

অসুস্থ ইয়াছিন আহমেদ রানার পাশে দাঁড়ালেন মানবতার ফেরিওয়ালা আকরাম হোসেন বাদশা

 

 

এস.এম দুর্জয়ঃ-

 

গাজীপুরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী,বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপকমিটির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও গরীব অসহায় মানুষের নয়নের মণি,মানবতার ফেরিওয়ালা আকরাম হোসেন বাদশা এক অসহায় ব্রেন টিউমার রোগীর পাশে দাঁড়ালেন।গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়ন এলাকার বাসিন্দা মোঃ গোলাম হোসেনের ছেলে ব্রেন টিউমার আক্রান্ত ইয়াসিন আহমেদ রানার উন্নত চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন আকরাম হোসেন বাদশা।মঙ্গলবার(১৯ জুলাই) তিনি বিকেলে রানার বাড়ি গিয়ে খোজ খবর নেন এবং নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন।রানা ব্রেন টিউমার এবং মাথায় রক্তনালীর ব্লক নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবত অসুস্থতায় ভোগছেন। ইয়াছিন আহমেদ রানার বাবার সম্পদ বলতে সোয়া এক শতাংশের বসত ভিটা। বাবার সামান্য ব্যবসার আয়ে চলে তাদের সংসার।সহায় সম্বল যা ছিলো তা দিয়ে করেছেন ছেলের চিকিৎসা। অর্থাভাবে এখন চিকিৎসা প্রায় বন্ধের পথে। হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে বিছানায় কাতরাচ্ছেন রানা। বিনা চিকিৎসায় তিলতিল করে এগুচ্ছে মৃত্যুর দিকে।দেশের হাসপাতালে চিকিৎসার তেমন সুযোগ নেই।রানার উন্নত চিকিৎসার জন্য যেতে হবে বিদেশের বিশেসায়ীত কোন হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসার খরচ পড়বে প্রায় ৮লাখ টাকার বেশী।আত্মীয় সুভাকাঙ্খীদের মাধ্যমে সংগ্রহ হয়েছে ২লাখ ২৪হাজার টাকা। আর ৬লাখ টাকার সংস্থান হলেই তার চিকিৎসা হবে।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইয়াছিন আহাম্মদ রানার অসুস্থতার বিষয়টি জানতে পারেন গাজীপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন সবুজ এমপির বড় ভাই আকরাম হোসেন বাদশা। তিনি এগিয়ে আসেন অসুস্থ রানার সহায়তায়।তিনি অসুস্থ রানার বাড়িতে যান,সেখানে তিনি অসহায় রানার পরিবারের পাশে দাঁড়ান।রানার চিকিৎসার জন্য নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন এবং উন্নত সুচিকিৎসার আস্বস্ত দেন।এসময় আকরাম হোসেন বাদশা বলেন,
কিছুদিন আগে এক বিশ্বস্ত সূত্রের মাধ্যমে জানতে পারি যে আমাদের শ্রীপুরের কাওরাইদ বাজার এলাকায় মেধাবী শিক্ষার্থী মো. ইয়াছিন আহম্মেদ রানা ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত। অর্থাভাবে তার চিকিৎসা প্রায় বন্ধের দিকেই বলা চলে। এই মুহুর্তে তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা।ইয়াছিন আহাম্মদ রানা ছেলেটা একজন স্বেচ্ছাসেবক। বিগত করোনা মহামারীর সময় জীবনের মায়া ত্যাগ করে সে মানুষের জন্য কাজ করেছে। এই বিষয় টা আমাকে ভাবিয়ে তুলে। যে ছেলেটা মানুষের জন্য কাজ করেছে তার পাশে যদি আমরা না দাঁড়াই তবে এলাকার নতুন প্রজন্মের কাছে যে একটা খারাপ দৃষ্টান্ত উপস্থাপিত হবে তা বলাই বাহুল্য। তারা ভবিষ্যৎ রানা তথা পরোপকারী হওয়ার মন-মানসিকতা, আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে, যা মোটেই কাম্য নয়। এরকম রানাদের দরকার আমাদের, দেশ-জাতির অনেক কিছু প্রাপ্তির সুযোগ রয়েছে এদের থেকে৷যাই হোক,মনঃস্থির করে ফেলি যে এই মুহুর্তে আমার সাধ্যে যা আছে তাই নিয়ে তার পাশে থাকব যাতে তার চিকিৎসা বন্ধ না হয়ে যেনো অন্ততপক্ষে চালু থাকে। এখানে একটা উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো যখন রানার বিষয়ে খোজখবর নিচ্ছিলাম তখন আমার পাশে আমার মেয়ে উপস্থিত ছিলো। তো এক পর্যায়ে সে কৌতূহলবশত জানতে চাইলে আমি সবকিছু বুঝিয়ে বলি। এবং প্রত্যুত্তরে সে আমাকে রীতিমতো হতবাক করে দিয়ে তার পিগি ব্যাংকের জমানো সব টাকা সাথে করে নিয়ে যেতে বলে। বিষয়টা আমার কাছে যেমন বিস্ময়কর ছিলো তার চেয়েও অনেক বেশি ছিলো স্বস্তির।নতুন প্রজন্মকে তো আমরা এভাবেই গড়ে তুলতে চাই মানুষের পাশে থাকার দৃষ্টান্ত উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে। পরিশেষে তিনি আরো বলেন,
আপনারা সবাই অসুস্থ রানার জন্য দোয়া করবেন, সাহায্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে অসুস্থ রানার পাশে দাঁড়ান।আল্লাহ তায়ালা যেন রানাকে দ্রুত সুস্থতা দান করেন।পাশাপাশি সবার জন্য দোয়া করবেন যেনো সবসময় আমরা কাধে কাধ মিলিয়ে মানুষের পাশে থাকতে পারি।আল্লাহতা’আলা আমাদের সবাইকে তাওফিক দান করুন।এসময় উপস্থিত ছিলেন কাওরাইদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসেম,সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন ফকির,শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতা মোঃলুৎফর রহমান মন্ডল,কাওরাইদ ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা কামরুল চৌধুরী সহ দলীয় অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

Daily Frontier News