Daily Frontier News
Daily Frontier News

বিজয়নগরে ভারপ্রাপ্তের ভরে নুইয়েছে শিক্ষা ব্যবস্হা বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়, শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ বোর্ড গঠনে অনিয়মের অভিযোগ ।

 

 

ফ্রন্টিয়ার.নিউজ রিপোর্টঃ-

.             জেলা ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগর উপজেলায়, বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষক ও স্কুল পরিচালনা পর্ষদের গুটিকতক স্বার্থপর ব্যক্তির স্বার্থ হাশিলের কারণে , ধংব্বসের পথে স্কুলের সু-শিক্ষা ব্যবস্হা । যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন, এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ।।

 

.                সূত্রে জানাজায় বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির আজীবন দাতা সদস্য ও ভূমি দাতা সদস্য অভিযোগ তুলেন। দীর্ঘদিন যাবৎ উক্ত বিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ দুইটি পদ (১)প্রধান শিক্ষক (২) সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ খালি থাকায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান সহ প্রশাসনিক কাজের জটিলতা সৃষ্টি হইতেছে। ইতিমধ্যে ম্যানেজিং কমিটি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে পহেলা জুলাই২০২২ ইং তারিখে “দৈনিক যুগান্তর” পত্রিকায় একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে এবং আগামী ১৯শে জুলাই ২০২২ ইং তারিখ নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করে। এ ব্যাপারে এলাকার সচেতন ব্যক্তি বর্গের মনে সন্দেহের অবতাড়নার জন্ম দিয়াছে। কারণ হিসাবে ফারুক সরকার

.                 বর্তমান ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও তাহাকে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সভা সম্পর্কে অবহিত করা হয় নাই। যাহা অসৎ উদ্দেশ্য প্রণিত এবং স্বজন প্রীতি মূলক।

.                 দীর্ঘদিন যাবৎ গুরুত্বপূর্ণ প্রধান শিক্ষকের পদটি খালি থাকা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে , সহকারী প্রধান শিক্ষক পদের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হইয়াছে, যা দুর্ভিসন্ধি মূলক। প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদ দুইটি এক সাথে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শূন্য পদ পূরণ হওয়া উচিত বলে মনে করেন, এলাকার সুশীল সমাজ । তাহলেই বিদ্যালয়টি ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে।

.                একটি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক পদটি শূন্য থাকলে প্রশাসনিক জটিলতা সহ বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুখীন হয় । তাই অনতিবিলম্বে প্রধান শিক্ষক পদ সহ অন্যান্য পদগুলো পূরণ করা আবশ্যক । বিজয়নগর উপজেলা সদর উপজেলার নির্বাচনী অংশ । অথচ নিয়োগ বোর্ডে সদর উপজেলা হইতে মহা-পরিচালকের প্রতিনিধি না নিয়ে, সরাইল উপজেলার অন্নদা সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় হইতে মহা-পরিচালকের প্রতিনিধি (DG-র প্রতিনিধি) নিয়োগ নেওয়ার হয়েছে । ঐ বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষকের ভাই জনাব মোঃ বুরহান উদ্দিন সরকার বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে আবেদন করেছেন । উক্ত মোঃ বুরহান উদ্দিন সরকারকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দেওয়ার সুদুর প্রসারী পরিকল্পনা করা হইয়াছে । উল্লেখ্য যে, মোঃ বুরহান উদ্দিন সরকার প্রধান শিক্ষক হওয়ার যোগ্যতা না হওয়া পর্যন্ত তাহাকে সহকারী প্রধান শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রদান করে তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেখে তার প্রধান শিক্ষক পদে যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা অর্জন না হওয়া পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক পদটি শূণ্য রাখিবার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদটি শূন্য রেখে বিদ্যালয় পরিচালনা করবেন।

.             অফিস সহায়ক পদ সহ কয়েকটি পদে নিয়োগ বাণিজ্য চলছে । তাই ভুমি দাতা সদস্য হয়েও নিয়োগ কমিটির সভা সম্পর্কে অবগত করানো হয়নি ও নিয়োগ কমিটিতে রাখা হয়নি ।

.           যেহেতু নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভূমি দাতা সদস্য কে কোন ব্যাপারে অবগত করা হয়নি সেহেতু এরূপ আরও অনেক অনিয়ম আছে বলে বিশ্বাস করেন, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সুশীল সমাজ ।

.          উপরোক্ত কারণ সমূহ যথাযথ বিচার বিশ্লেষণ করিয়া এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে বর্তমান নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করত প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদের শূণ্য পদের একই সাথে স্বচ্ছ ভাবে নিয়োগ বোর্ড ও নিয়োগ কমিটি পূর্ণগঠন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে সদয় মর্জি কামনা করেন , স্কুল পরিচালনা পর্ষদ, ভূমি দাতা সদস্য জনাব ফারুক সরকার ।

.                  সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, স্কুল চলা কালে স্কুলের মাঠে গরু-ছাগল ছড়ানো, ক্লাসের সময় শেণী কক্ষে শিক্ষক নেই, এলাকার শিক্ষক হওয়ায় শিক্ষা দেওয়ার মনোযোগ নেই । সব কিছু মিলিয়ে মোট কথা শিক্ষার বেহাল দশা । যেন অভিভাবক শুন্য শিক্ষা অবকাঠামো । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু কিছু ব্যক্তি তাদের স্বার্থের জন্য, আমাদের সংবাদ প্রতিনিধি কে নিউজ না করার জন্য অনুরোধ করেন । কিন্তু শিক্ষা অবকাঠামো বলে কথা ।

.               সাবেক সপ্রাবি শিক্ষক জসিম উদ্দিন মাষ্টারের ছেলে মিনহাজ উদ্দিন (মুন্না) অভিযোগ তুলে বলেন, আমি একজন অভিভাবক, অভিভাবকদের ভোটে নির্বাচিত অভিভাবক প্রতিনিধি সদস্য । কিছু দিন আগে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ বোর্ডে আমাকে অভিভাবক সদস্য হিসাবে রাখা হয়েছিল , কিন্তু পরবর্তীতে ২/১ জন মিলে আমার নামটি নিয়োগ বোর্ড থেকে বাতিল করে , ইকবাল এর নামটি দেয় । যে সময় আমরা বসে ছিলাম তখন পাইনালি লেখা হয় নাই । তবে আমার কাছ থেকে শুধু খালি কাগজে সই নেয় । আমি সই দিয়াছি । আমার সাথে তাহারা বিশ্বাস ঘাতকতা করছে । আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং সুষ্ঠু বিচার চাই ।

.                  স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, জনাব ওয়াহেদুজ্জামান এর নিকট বিভিন্ন প্রশ্ন করলে, তিনি কোনো প্রশ্নের সদউত্তর দিতে পারে নি । প্রশ্ন গুলো হলো (১)নিয়োগ প্রক্রিয়া রেজুলেশন খাতা দেখাবেন কি ? (২) বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক বোরহানউদ্দিন কে কেন ? বাণিজ্য বিভাগের ট্রেনিং না দিয়ে , ইংরেজি শিক্ষক এর ট্রেনিং ও কম্পিউটার এন্ড ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে ? (৩) স্কুল চলাকালীন সময়ে স্কুলের মাঠে কেন গরু-ছাগল ছড়ানো হয় ? (৪) শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ কোন পত্রিকায় , নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিলেন ? দেখাবেন কি ? (৫) বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষক জনাব বোরহান উদ্দিন কে প্রধান শিক্ষক বানানোর জন্য প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেন নাই কেন ? (৬) তিন জন শিক্ষক ও তিন জন কর্মচারী নিয়োগ না দিয়ে, শিক্ষা ব্যবস্থা কে ধ্বংস করছেন বলে মনে করেন কি ? (৭) নিয়োগ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ বোর্ডের স্বজনপ্রীতি ও অসৎ উদ্দেশ্য আছে বলে মনে করেন কি ? (৮) নিয়োগ বোর্ডের সদস্য কেন পরিবর্তন করলেন ? (৯) স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী সংখ্যা কত জন ? (১০) আপনি কি এলাকাবাসীর আধিপত্যের বলয়ে পড়ে গেছেন ? (১১) শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ না দেওয়ায় স্কুলে পাঠ দানে  বাধাগ্রস্ত হচ্ছে কি না ?

.               বিষ্ণু পুর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব মোঃ সহিদ উদ্দিন তিন তিনবারের সভাপতি, ভদ্র, প্রবীণ ও ব্যক্তিত্বশীল । তিনি বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে পাশ কাটিয়ে যান ।

.           বিজয়নগর উপজেলা উচ্চ মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব মোঃ আল মামুন জানান, আমাদের তদন্ত চলমান আছে , তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।

Daily Frontier News