বিশেষ প্রতিনিধিঃ-
অনেক চড়াই উৎরাইয়ের পর অবশেষে গতকাল অনুষ্ঠিত হল নাঙ্গলকোট উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। সম্মেলন ভার্চুয়ালে উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সরকারের অর্থ মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অসুস্থতার অজুহাতে তিনি গত ৪বছর এলাকায় আসেননি। সর্বশেষ নিজ নির্বাচনি এলাকার সম্মেলন ভার্চুয়ালি যোগদান নেতাকর্মীরা ভালভাবে গ্রহণ করেনি। দেশের অর্থনীতি, জিডিপি হ্রাস বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার আগা মাথা দর্শকেরা কিছুই বুঝেনি। অন্যান্য নেতাদের বক্তব্য যে বাতাসের, সেটা বুঝতে কারো অসুবিধা হয়নি।অনেকেই মন্তব্য করে বলেন, আগামীতে ভার্চুয়ালে ভোট নেয়ার ব্যবস্থা করলে ভোটাররা অনেক খুশি হবেন।
সিনিয়র নেতারা দর্শক সারিতে ! হাইব্রিড ও জুনিয়র নেতারা মঞ্চে! !
উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সেক্রেটারী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলী হোসেন চৌধুরি ও আওয়ামী লীগ নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান মজুমদার মঞ্চে উঠার ও বক্তৃতার আমন্ত্রণ পাননি ? সেটাও নেতাকর্মীরা ভাল চোখে গ্রহষ করেননি। মঞ্চ দখলে ছিল ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাদের দখলে। তরাই পালাক্রমে সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন। বর্ষীয়ান রাজনীতিবদি রফিকুল হোসেন সম্মেলনে অপাংতেয় ! তাঁকে দেখে হাইব্রিড বা জুনিয়র কোন নেতাই চেয়ার ছাড়েননি। একপর্যায়ে নিজেই প্লাস্টিকের একটা চেয়ার সংগ্রহ করে মঞ্চের এক কোণায় কোনো রকম বসে সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। নেতাকর্মীরা বলেন, বটতলী এলাকা মুজিব নগর নামে পরিচিত। আর এ খ্যাতির পিছনে সবচেয়ে বড় অবদান এ রফিকুল হোসেনের। এছাড়া তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক থেকে শুরু করে সেক্রেটারী ও সভাপতি ছিলেন দীর্ঘ সময় ধরে। সম্মেলনে যারা মঞ্চ দখলে দাবড়িয়েছেন, অথচ সবাই তাঁর কর্মী। একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদের প্রতি বিমাতাসুলভ আচরণ নেতাকর্মীরা ভাল চোখে দেখেনি।
ছাত্রলীগ নেতা রাজ্জাক সুমনের অশালীন বাক্যের বক্তব্য, লজ্জা পেলেন সমাবেশ-
রাজ্জাক সুমন সদ্য বিদায়ী ছাত্রলীগ নেতা। প্রথমতঃ আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তার বক্তব্য রাখার সুয়োগ পাবার কথা না। আর পেয়েছেন বলে অশালীন বক্তব্য নেতাকর্মীরা ভালভাবে গ্রহণ করেননি। তাঁর বক্তব্যে ওবায়েদুল কাদেরে ”খেলা হবে” এর উত্তরে বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানার ডায়ালগ ” আসেন খেলি’র” উত্তর এবং ব্যাখ্যা রাজ্জাক সুমনের মুখে শোভা পায়নি। বক্তব্যে তিনি বলেন, রুমিন ফারহানার সাথে খেললে স্ত্রী’র সাথে ঝগড়া বাঁধবে। বাবার বয়সী লোকদের সামনে এ বক্তব্য বেয়াদপির সামিল মনে করছেন অনেকেই। অনেকেই মন্তব্য করে বলেন, খলিফা পদে নিয়োগ পেয়ে ক্ষমতার দম্ভে চোখে এখন সর্ষের ফুল দেখে। ফলে ধরাকে সরাজ্ঞান করে। এখন আর নিজেকে জুনিয়র ভাবে না। সিনিয়র সিনিয়র ভাব!
যে কারণে কমিটি ঘোষণা হয়নি-
সম্মেলনে উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন কালুকে সভাপতি করা হবে এমনটা নিশ্চিত ছিলেন অনেকেই। ্এছাড়া তিনি তার অনুসারীদের মাঠ দখলে রাখারও নির্দেশ দিয়েছিলেন। শেষতক জেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারী কৌশলে ঘোষণা এড়িয়ে যান। এড়িয়ে যাবার কারণ হিসেবে অনেক নেতাকর্মী মন্তব্য করেন, সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন কালু নিজেইে স্বীকার করেছেন তাঁর বাবা শান্তি কমিটির সদস্য ছিণেন। যাহা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সব নেতাই জানেন। সুতরা তাঁকে সভাপতি করা হলে কমিটি প্রশ্নবিদ্ধ হবে। তাই ঘোষণা থেকে বিরত থাকেন।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics