Daily Frontier News
Daily Frontier News

নাঙ্গলকোটে খন্দকার মোশতাকের বংশধর এখনো উৎজীবিত

 

 

বিশেষ প্রতিনিধিঃ-

 

যুগে যুগে বেইমানের তৎপরতা ছিলো আছে এবং থাকবে, এমনটাই যুগ স্বাক্ষী।
খন্দকার মোশতাক যেমন একটা ঘৃণিত চরিত্রের নাম, তেমন তার অনুসারীরা এখনো প্রকাশ্যদিবালকে হাঁপি মেলে বাঁচতেছে।
তেমনই আরেক চরিত্রের নাম শাহজাহান মজুমদার।
নাঙ্গলকোটের সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান মজুমদারের বিরুদ্ধে ভুমি দস্যুতার অভিযোগ
২০০১ সালে নৌকার প্রার্থীকে জয়নাল আবেদীন ভূইয়াকে ফেল করাতে কোরআন শপথ করেছেন এমন কিছু গোপন তথ্য জানালেন সাবেক উপজেলা আ’লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন মোল্লা। গত কিছু দিন পূর্বে বর্তমান টিভি নামক ফেইসবুক পেইজে এমন সব তথ্য প্রচার করা তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। এনিয়ে নাঙ্গলকোটবাসী শাহজাহান মজুমদারের বিরুদ্ধে ভেতরে ভেতরে ক্ষোভ প্রকাশ করছে। যেকোন সময় আওয়ামী নিবেদিত প্রাণগুলো আন্দোলন সংগ্রামে যাওয়ার উত্তেজনা বিরাজ করছে।
একান্ত সাক্ষাৎকারে মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন মোল্লা বলেন, জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া আমার বন্ধু। তার জন্য, ২০০১ সালে দলীয় মনোনয়নের জন্য আ’লীগের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজি জহিরুল কাইয়ুমের বাসায় যাই। সেখানে গিয়ে দেখি আমাদের বর্তমান উপজেলা আ’লীগের আহবায়ক অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ওখানে বসা আছেন। তখন কাজি জহিরুল কাইয়ুম বলেন আমাকে নির্বাচন করতে। তুমি নির্বাচন করো। তোমার কথা মেডামকে গিয়ে বলি। তখন তিনি বলেন, আমি নির্বাচন করবো না। আবার তিনি একথাও বলেন জয়নাল আবেদীন ভূইয়া এবার নির্বাচনে জয় লাভ করবে না। কেন ফেল করবে এ বিষয়ে তিনি আর কিছু ভেঙে বলেন নি। পরে আমি নাঙ্গলকোট চলে আসি।
অতঃপর শুনি রাজাপাড়ার সালাউদ্দিন ও শাহজাহান মজুমদার তার ঢাকার চকবাজার অফিসে মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন মোল্লা ও এম এ করিম মজুমদারসহ আরো কয়েক জন নেতাকর্মীকে আমন্ত্রণ করেন কোরআন শপথের জন্য।
একোরআন শপথের কথা শুনে মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমীন মোল্লা এবং এমএ করিম মজুমদার তা প্রতাক্ষাণ করেন।
পরে শাহজাহান মজুমদার অন্য কর্মীদের নিয়ে কোরআন শপথ করেন নৌকার প্রার্থী জয়নাল আবেদীন ভূইয়া ফেল করার জন্য। এর পরেই আ’লীগের নৌকার প্রার্থী জয়নাল আবেদীন ফেল করে।
উল্লেখ্য, নাঙ্গলকোট উপজেলা চেয়ারম্যান থাকাকালিন শাহজাহান মজুমদারের বিরুদ্ধে ভুমি দস্যুতার অভিযোগ এনে ২০১৩ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ক্রাইম রিপোর্টাস কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ উথ্যাপন করেন কানাডা প্রবাসী, নাঙ্গলকোট উপজেলার মোশারফ হোসেন চৌধুরী।
ওই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী হোসেনেয়ারা আক্তার চৌধুরী, সন্তান আহসান হাবিব চৌধুরী, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী, আশ্রাফ আলী চৌধুরী প্রমুখ।
এখন ভাববার বিষয় হচ্ছে- মোস্তাকের বংশধর কি আদৌ কোনদিন নিপাত যাবে না? প্রশ্নটি রয়েই গেলো!

Daily Frontier News