বেনাপোল প্রতিনিধিঃ
একটি চাকরি ও বাসস্থানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট প্রতিবন্ধী তরিকুল ইসলাম(২৫) আকুল আবেদন জানিয়েছেন।তরিকুল পুটখালী ইউনিয়ানের ৯নং ওয়ার্ড দক্ষিণ বারপোতা গ্রামের হাসেম আলীর পুত্র এবং তিনি এম এম কলেজের ডিগ্রী বিএ শেষ বর্ষের একজন ছাত্র।
তরিকুল জন্মগত ভাবে প্রতিবন্ধী, দুই পায়ে তিনি সঠিক ভাবে ভর দিয়ে দাড়াতে পারেন না। তরিকুলের পিতা স্টোক করে প্যারালাইজড হয়ে গত ৬ বছর যাবৎ বাড়িতেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন। তার ২ ভাই এবং ১ বোনের মধ্যে সে ২য়। বড় ভাই বিয়ে করে বউ নিয়ে আলাদা সংসার করে এবং ছোট বোন ৯ম শ্রেণীতে লেখাপড়া করে। বাড়িতে মাথা গোজার ঠাই হিসাবে আছে ভাঙাচোরা একটি মাত্র ঘর।
তরিকুলের মা রওসনারা বেগম গ্রামে লোকের বাড়িতে কাজ করে বহু কষ্টে তার সন্তানকে বিএ শেষবর্ষ পর্যন্ত লেখাপড়া করিয়েছেন কিন্তু বর্তমানে তার বয়স হয়ে যাওয়ায় এবং খরচ বেড়ে যাওয়ায় তার সন্তানদের লেখাপড়া খরচ চালানো আর সম্ভব হচ্ছেনা। এছাড়াও তার সন্তান প্রতিবন্ধী হওয়ায় তিনি তার ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কিত।
তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেওয়ার পর থেকেই বুঝে আসছি আমি যেমন সমাজের বোঝা তেমনি পরিবারেরও বোঝা কারণ পরিবারের এত অভাব অনাটনের মধ্যেও আমি একজন ছেলে হয়ে পরিবারের জন্য কিছু করতে পারছিনা। একটা চাকুরীর আশায় কত দপ্তরেই না ঘুরেছি কিন্তু প্রতিবন্ধী হওয়ায় সবাই আমাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। এখন আমার বেঁচে থাকার শেষ ভরসা প্রধানমন্ত্রী মমতাময়ী জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমি সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই, আমার বেঁচে থাকার জন্য একটি চাকুরী আর মাথা গোজার ঠায় হিসাবে একটি ঘর দিয়ে আমাকে এ পৃথিবীতে টিকে থাকার সুযোগ দেওয়ার জন্য।
পুটখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য সুফিয়া খাতুন বলেন, প্রতিবন্ধী তরিকুলের ইসলামের বাড়ি আমার বাড়ির পাশেই। তার পিতা অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই তার মা লোকের বাড়িতে কাজ করে এবং সরকারী কিছু অনুদানে সংসার চালায়। তাদের থাকার মত একটা ঘরও নেই। আমিও চাই দেশরত্ন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত দিয়ে এই পরিবারটির একটা ব্যবস্থা হোক।
তরিকুলের সাথে যোগাযোগের মোবাইল নাঃ ০১৭৯৪৫৩৩৭৮৪।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics