Daily Frontier News
Daily Frontier News

কথিত ফেসবুক মুফতি ও তাদের কাফের-মুরতাদ- নাস্তিক ব্লাব্লাব্লা ফতোয়া।

কুফরের ফতোয়া হলো পৃথিবীর সবচেয়ে সঙ্গীন মাসআলা। কাউকে কাফের, মুরতাদ, নাস্তিক ফতোয়া দেওয়া এতটা সহজ ছিলোনা পূর্ববর্তীদের নিকট। যতটা সহজ করে নিয়েছে ফেইসবুকের কথিত মূর্খ আল্লামারা! এখানে আমি শুধু হানাফী মাযহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব ‘ফতোয়ায়ে আলমগীরী’-থেকে একটি উদ্বৃতি পেশ করছি।সেখানে বলা হয়েছে:
إذَا كَانَ فِي الْمَسْأَلَةِ وُجُوهٌ تُوجِبُ الْكُفْرَ ، وَوَجْهٌ وَاحِدٌ يَمْنَعُ ، فَعَلَى الْمُفْتِي أَنْ يَمِيلَ إلَى ذَلِكَ الْوَجْهِ كَذَا فِي الْخُلَاصَةِ فِي الْبَزَّازِيَّةِ إلَّا إذَا صَرَّحَ بِإِرَادَةٍ تُوجِبُ الْكُفْرَ ، فَلَا يَنْفَعُهُ التَّأْوِيلُ حِينَئِذٍ كَذَا فِي الْبَحْرِ الرَّائِقِ ،
, যদি কোন ব্যক্তি অস্পষ্ট কোন কথা বলে, যার নিরানব্বইটি ব্যাখ্যা হল কুফর। কিন্তু একটি ব্যাখ্যা এমন রয়েছে, যা সঠিক। তাহলে মুফতীর জন্য জরুরী হল নিরানব্বইটি বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ঐ একটি ব্যাখ্যা গ্রহণ করে তাকে কাফের ফতোয়া প্রদান থেকে বিরত থাকা। তবে শর্ত হল, ঐ ব্যক্তি তার কোন কথা বা কাজ দ্বারা যদি কোন নির্ধারণ না করে দেয়। (ফতোয়া আলমগীরী, ৩/৩১২)
ফতোয়া আলমগীরীর ইবারত সামনে রাখুন আর বর্তমানে প্রতিদিন কয়েকবার কুফরী ফতোয়া দানকারী মুফতী সাহেবদের প্রতি লক্ষ করুন, একজনের বক্তব্য যেখানে কুফরের লেশ নেই, সেটাকে টেনে একদম ঈমানহারা বানিয়ে ফেলছেন! একজন মানুষকে কখন আপনি নাস্তিক, মুরতাদ, কাফের বলতে পারেন? বিষয়টি লম্বা আলোচনার দাবী রাখে। প্রথমে এ বিষয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের একটি হাদীস শুনুন। তিনি বলেন:
” ثلاث من أصل الإيمان الكف عمن قال لا إله إلا الله ولا نكفره بذنب ولا نخرجه من الإسلام بعمل…..
অর্থাৎ তিন জিনিস হল ঈমানের মূল। সেই লোক সম্পর্কে বিরত থাকা যে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ পড়েছে। কোন গোনাহের কারণে আমরা তাকে কাফের বলবোনা এবং কোন আমলের কারণে ইসলাম থেকে বের করে দিবোনা। (আবু দাউদ, ২৫৩২ শায়খ মুহি উদ্দীন আবদুল হামীদ তাহকীককৃত। সুনানে সাইদ বিন মানসুর, ২৩৬৭, মাকাতাবাতুশ শামেলা)

Daily Frontier News