আব্দুল জাহির মিয়া চুনারুঘাট প্রতিনিধিঃ
২১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার দুপুরে পাচার করার সময় ১১টি গরু ১৯৭১S পিলারের কাছ থেকে আটক করে বিজিবি।এসময় একদল গরু চোর পালিয়ে যায়।
পালিয়ে যাওয়া চোরদের মধ্য নালুয়া বাগানের পর্দুম মির্ধা, উত্তম মুন্ডা, লক্ষণ মুন্ডা, অভিনয় মুন্ডা, বিশ্বজিৎ মুন্ডা, আরো অনেকে ছিল কিন্তু তাদের ধরতে পারা যায় নাই ।গরু রেখে পালিয়ে গেছে। তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছিল তারা সবাই আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের নালুয়া বাগানের বাসিন্দা।
এ ব্যাপারে বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামিউন নবী চৌধুরী বলেন গরু চোর দের আমরা চিহ্নিত করেছি।তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে আমাদের তৎপরতা রয়েছে। এসময় তিনি আরো বলেন সীমান্ত অঞ্চলের একটি মাদক চোরাচালান সিন্ডিকেট এবং গরু চোর সিন্ডিকেটের বড় দল বিজিবির বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে আসছে।
নালুয়া চা বাগানের গরু বিজিবি ধরে নিয়ে গেছে মর্মে যে অপপ্রচার চলছে তা একেবারেই অসত্য মিথ্যা বানোয়াট অপপ্রচারের কাজটি নির্বিঘ্নে করে যাচ্ছেন চোরাচালানি সিন্ডিকেটের সদস্যরা।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামিউনবী চৌধুরী আরও বলেন বিজিবি সব সময় এদেশের মানুষের পক্ষে কাজ করে। করুণা কালীন সময় থেকে যেকোন সংকটের বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড বিজিবি এদেশের অসহায় দরিদ্র মানুষদের কে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে।
দেশের যেকোন সংকটের সময় বিজিবি সব সময় সবার আগে উপস্থিত থেকে নেতৃত্বে সাথে জনগণের পক্ষে কাজ করে।
বিজিবি কখনো জনগণের বিপক্ষে কোনো কাজ করে না। বিজিবি সব সময় মাদক কারবারি চোরাচালানী গরু চোর মানব পাচারকারী দের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
বিজিবির ৫৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামিউন নবী চৌধুরী আরো বলেন অপরাধ করলে যত বড় প্রভাবশালীই হোক না কোনো ছাড় পাবার সুযোগ নেই।
অপরাধীদেরকে আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি করবে বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড বিজিবি।
সামিউন্নবী চৌধুরী হবিগঞ্জ ব্যাটেলিয়ানে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই অঞ্চলে মাদকের বিরুদ্ধে প্রচুর পরিমাণ অভিযান পরিচালনা করেছেন।জব্দ করেছেন বিপুল পরিমাণ মাদক,গ্রেপ্তার করেছেন বহু সংখ্যক চোরাকারবারি তিনি হবিগঞ্জ ব্যাটিলিয়নের যোগদান করার আগ পর্যন্ত এত বিপুল পরিমাণ মাদক এবং চোরাকারবারীকে আর কারও পক্ষে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
সামিউন্নবী চৌধুরী ৫৫বিজিবিতে যোগদান করার পরে উল্লেখযোগ্য অভিযানের এর মধ্যে রয়েছে সাতছড়ি গহীন জঙ্গল থেকে দুই দুইবার বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার এবং পরবর্তীতে সেই অস্ত্র গুলো অত্যন্ত দক্ষতার এবং বিচক্ষণতার সাথে ধ্বংস করতে সক্ষম হয়েছেন।
বাংলাদেশ সীমান্তে চুনারুঘাট মাধবপুর সীমান্ত অঞ্চল একটি মাদক প্রবন এরিয়া হযওয়ায় এই অঞ্চলে রয়েছে মাদক কারবারীদের বড় বড় সিন্ডিকেট,জনাব লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামিউন্নবী চৌধুরী ৫৫ বিজিবিতে যোগদান পর থেকে মাদক কারবারী দের সিন্ডিকেট ভাঙতে শুরু করে।
তারই ধারাবাহিকতায় মাদক কারবারীদের একটি বড় সিন্ডিকেট বিজিবির বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে যে কোন মূল্যে এই মাদক কারবারি সিন্ডিকেট বিজিবির বদনাম করতে চায়।
অথচ বিজিবি সদস্যরা দিনরাত সীমান্তে পাহাড়ি অঞ্চলের দেশের প্রতি ইঞ্চি মাটি পাহারা দিচ্ছে স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের প্রতীক হিসেবে।
তিনি বলেন আপনাদের জানা থাকা উচিত আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত,পাকিস্তান ,পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সীমান্ত অঞ্চলে রোড বা রাস্তা রয়েছে,কিন্তু আমাদের বাংলাদেশের দুর্গম সীমান্ত অঞ্চলে কোন রাস্তা বা সিমান্ত রোড নেই।বিশেষ করে আমাদের হবিগঞ্জ সীমান্ত অঞ্চল পুরোটাই পাহাড়ি অঞ্চল।
যার সুবাদে মাদক কারবারি ভারত থেকে মাদক আনতে সক্ষম হয়,সেই প্রতিকূলতার মধ্যেও ৫৫বিজিবি অধিনায়ক সামিউন্নবী চৌধুরীর নেতৃত্বে মাদকের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী জিরো টলারেন্স নীতিতে রয়েছে ৫৫ ব্যাটালিয়ন বিজিবি।
Copyright © 2023 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics