Daily Frontier News
Daily Frontier News

নাসার প্রথম বাংলাদেশি বিজ্ঞানী রফিক উদ্দিন আহমেদের ইন্তেকাল।

 

সেভ সিলেট পরিবারের শোক প্রকাশ।

নিজস্ব প্রতিনিধি::সেভ সিলেট পরিবারের এডভাইজারি বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসার প্রথম বাংলাদেশি বিজ্ঞানী রফিক উদ্দিন আহমেদ অসুস্থ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন।সেভ সিলেট পরিবারের শুরু হয়েছিলো এই মহান বিজ্ঞানীর সহায়তায়। আমাদের সেভ সিলেট পরিবারের “মিশন এক লক্ষ অসহায় পরিবারকে খাওয়ানোর প্রজেক্টে”র প্রথম ডোনার ছিলেন তিনি! এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় ডোনেশনও বিজ্ঞানী রফিক উদ্দিন আহমেদ দিয়েছেন। যার প্রথম দান দিয়েই এক লক্ষ পরিবারকে খাওয়ানোর প্রজেক্ট শুরু হয়। তিনি কখনো নাম প্রকাশ করতে চাননি। তিনি এমন এক মানুষ যে জীবদ্দশায় লাখো মানুষের উপকার করে গেছেন।কয়েক হাজার মানুষকে আমেরিকায় নেওয়ার তিনি মূল কারিগরও ছিলেন। নাসার বিজ্ঞানী হওয়ায় উনি বাংলাদেশি মানুষদের সাহায্য করেছিলেন আমেরিকায় ৫০ দশক থেকে যেতে। যেকোনো প্রয়োজনে সবার আগে এগিয়ে আসতেন উনি। একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক। বিদেশে থাকলেও দেশের জন্য আজীবন কাজ করে গেছেন।বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় উনার খালাতো ভাই কর্নেল এম.এ.জি ওসমানীর কাছে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ওয়াকিটকি ও বিভিন্ন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম পাঠিয়ে সাহায্য করেন। উনি যেহেতু রাডার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন তাই উনি জানতেন যে যুদ্ধের সময় যোগাযোগ কতোতা গুরুত্বপূর্ণ, তাই উনি এগুলো পৌছে দেন মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে। আমেরিকায় বাংলাদেশিদের নিয়ে জাতিসংঘ ঘেরাও করেন উনি। বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে উনার খুবই আন্তরিক সম্পর্ক ছিলো এবং উনারা নিয়মিতই একে অন্যের সাথে যোগাযোগ রাখতেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তাকে ভীষণ শ্রদ্ধা করতেন।তিনি ছিলেন একমাত্র বাংলাদেশি, যিনি চাঁদের প্রজেক্ট এপ্যোলো ১১ এ রাডার ডিজাইনার হিসেবে কাজ করেছেন এবং নভোচারীদের ট্রেনিংও দিয়েছেন। তিনি সারাজীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন।আমরা সেভ সিলেট পরিবার আজীবন উনার অবদানের কথা স্মরণ রাখব এবং উনার নির্দেশনাসমূহ কাজে লাগিয়ে আগামীতেও এগিয়ে চলবো, ইনশাআল্লাহ।বিজ্ঞানী রফিক উদ্দিন আহমেদ এর মৃত্যুতে সেভ সিলেট পরিবার শোকাহত। আমরা আমাদের অভিভাবক হারিয়েছি, যে ক্ষতি অপূরণীয়।আল্লাহ এই মহৎপ্রাণ মানুষটিকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন। আমিন

Daily Frontier News