Daily Frontier News
Daily Frontier News

জাসদ নেতা এড. হাবিবুর রহমান শওকত, দুঃসাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে স্মরণ ও শ্রদ্ধা

 

 

ফ্রন্টিয়ার.নিউজ রিপোর্টঃ-

 
_______________
দুঃসাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, জাসদ নেতা এড. হাবিবুর রহমান শওকতের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যকরী কমিটি আজ ৩রা আগস্ট ২০২২ইং বিকাল ৫টায় নগরীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কর্নেল তাহের মিলনায়তনে প্রয়াত নেতা প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে তাহাকে স্মরণ ও তাহার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে।

 

সংগ্রামী জীবন  ।।

,                এড. হাবিবুর রহমান শওকত একজন বিরল দুঃসাহসী বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি ১৯৭১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের স্নাতক ৩য় বর্ষের ছাত্র থাকাকালীন অবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন । তিনি ৩রা জুন ১৯৭১ সালে তারিখে ‘বিলোনিয়া ব্রীজ’ ঐতিহাসিক যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। তিনি পরবর্তীতে প্রশিক্ষণ নিয়ে ২নং সেক্টরে যুদ্ধ শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি জেনারেল ওসমানীর কাছে নিজের এলাকায় যুদ্ধ করার অনুমতি প্রার্থনা করেন । জে. ওসমানীর নির্দেশে ৯নং সেক্টরের পটুখালী-গলাচিপা সাব-সেক্টরের ডেপুটি কমান্ডার হিসাবে দায়িত্ব পান। তিনি ১৮ই নভেম্বর ১৯৭১সালে সাগরপারের যুদ্ধখ্যাত পানপট্টি সম্মুখ যুদ্ধসহ পটুয়াখালী হানাদার মুক্ত করার যুদ্ধে দুঃসাহসী ও বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। এড. হাবিবুর রহমান শওকত ‘তৃণমূলে যুদ্ধাপরাধীদের চিহ্নতকরণে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ নির্যাতিত-ধর্ষিত পরিবারের সদস্যদের গণশুনানী করেন’। তার এই পদক্ষেপ ‘তৃণমূলে যুদ্ধাপরাধী চিহ্নিতকরণে পটুয়াখালী মডেল’ হিসাবে পরিচিতি পায়। তার উদ্যোগে এই গণশুনানীতে চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদের তালিকা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে প্রেরণ করা হলে আদালত তদন্ত করে যুদ্ধাপরাধীদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা দায়ের-তদন্ত-বিচার করেন । বিচারে ৮ জন যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি হয়।

 

,               ১৬ই ডিসেম্বরের পর এড. হাবিবুর রহমান শওকত পটুয়াখালী ট্রেজারি থেকে লুট হয়ে যাওয়া ৩৫ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার করে জেলা প্রশাসকের নিকট জমা দেন। উক্ত জেলা প্রশাসক ও কতিপয় অফিসারের যোগসাজসে এই স্বর্ণ আত্মসাৎ করলে তিনি দুর্নীতির মামলা করেন। মামলায় উক্ত জেলা প্রশাসকের সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত সহ ৭ বছর দন্ড হয়। এড. হাবিবর রহমান শওকত ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই জাসদের সাথে যুক্ত ছিলেন। তিনি পটুয়াখালী জেলা জাসদের সভাপতি, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সহ-সভাপতি সহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন । জাসদের নির্বাচনী প্রতীক মশাল মামলার প্রধান কৌশলী ছিলেন করোনায় প্রয়াত জাসদের আরেক অভিভাবক এড. ইদ্রিসুর রহমান। সেই মামলায় জাসদের পক্ষে পেপারবুক তৈরি করেছিলেন এড. হাবিবুর রহমান শওকত। কুখ্যাত খুনি ওসি রফিক কর্তৃক বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের স্বীকার চাঞ্চল্যকর ছাত্রনেতা মোমিন হত্যা মামলার প্রধান কৌশলী ছিলেন এড. হাবিবুর রহমান শওকত।

,                 স্বাধীনতা পরবর্তীকাল থেকে তিনি নির্যাতিত-অনির্বাচিত-সামরিক স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধের বিচার আন্দোলন, তেল-গ্যাস-বন্দর-বিদ্যুৎ-সুন্দরবন-জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন।

 

Daily Frontier News