Daily Frontier News
Daily Frontier News

৩০ মিনিটে রোপণ হলো ৩৫ শতাংশ জমি

 

 

মোঃ আব্দুল্লাহ বুড়িচং।।

 

অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, মাত্র আধা লিটার অকটেন পুড়িয়ে এক জন শ্রমিক ৩০ মিনিটে রোপণ করলেন ৩৫ শতাংশ জমি। রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে রোপা আমনধান রোপণ শুরু হলো কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার রামপুর গ্রামে। গ্রামের ১০ জন কৃষক তাদের ১০ বিঘা জমিতে সমলয় চাষাবাদের আওতায় ধান রোপণ করছেন। মেশিনে ধান রোপণ দেখতে আগ্রহ নিয়ে উপস্থিত ছিলেন গ্রামের ৫০ জন কৃষক কৃষাণী। আর কৃষকদের উৎসাহ দিতে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের সাহয্যে ধান রোপণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন সহ উদ্যোগ গ্রহণকারী উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ ও বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বিজ্ঞানীবৃন্দ ও জনপ্রতিনিধিবৃন্দ।
কুমিল্লার গ্রামে গ্রামে রয়েছে শ্রমিক সংকট। অধিকাংশ কৃষককে চাষাবাদের জন্য বাইরের জেলা থেকে আগত কৃষি শ্রমিকের উপর নির্ভর করতে হয়। তাদের জন্য সুফল বয়ে আনবে কৃষির এই যান্ত্রিকীকরণ। এ বছর রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে বুড়িচং উপজেলায় রামপুর ও পাহাড়পুর গ্রামে ১০ বিঘা করে মোট ২০ বিঘা জমিতে রোপা আমনধান রোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিস। বীজ সার সহ কারিগরি সহযোগিতা দিচ্ছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়।
স্থানীয় কৃষক দ্বীল মোহাম্মাদ, রফিকুল ইসলাম ও তোফাজ্জল হোসেন এর সাথে কথা বলে জানা যায়, উপসহকারি কৃষি অফিসার মোছা. সুলতানা ইয়াসমিনের দ্বারা উদ্বুদ্ধ হয়ে তারা প্রথমবারের মতো ট্রেতে ব্রি ধান৯৫ জাতের ধানের চারা তৈরি করেছেন। জমিতে মাত্র ৫ দিন আগে আউশ ধান কাটা হয়েছে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে। খরচ হয়েছে বিঘা প্রতি দুই হাজার দুই শত টাকা। এখন মাঠের সকল জমি রোপণ হবে যন্ত্রের মাধ্যমে। কৃষি বিভাগের পরামর্শে আমন ধান কাটার পর প্রথমবারের মতো পুরো মাঠে সরিষা করার ইচ্ছা তাদের।
কার্যক্রমটির উদ্যোগ গ্রহণ ও সমন্বয়কারী অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, মূলত দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রথমত, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ বিশেষ করে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের ব্যবহারকে জনপ্রিয়করণ। দ্বিতীয়ত, যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ১০-১৫ দিন বাঁচিয়ে শস্য বিন্যাসে নতুন ফসল হিসাবে সরিষার অন্তর্ভুক্তি। তাছাড়া, স্বল্প খরচে চারা রোপণ ও কর্তনের মাধ্যমে কৃষকের বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা অর্থ সাশ্রয় হবে ও শ্রমিক সংকটের দুঃশ্চিন্তা কিছুটা লাঘব হবে। ইতিমধ্যে আউশ ধান কাম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে কাটা হয়েছে, পরবর্তীতে রোপা আমনও কাটা হবে।

Daily Frontier News