Daily Frontier News
Daily Frontier News

বাড়ির আঙ্গিনায় আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সমাহার

 

 

মোঃ আব্দুল্লাহ বুড়িচং।।

 

ট্রাইকো-কম্পোষ্ট, ভার্মি-কম্পোষ্ট, কোকো পিট দিয়ে ট্রেতে চারা তৈরি, গ্রাফটিং টমেটো চাষ, মালচিং পেপার দিয়ে শসা চাষ, ড্রাগন ফল সহ আধুনিক কৃষি প্রযুক্তির সমন্বিত বাগান রয়েছে বাড়ির আঙ্গিনায়। মাত্র ৮ শতাংশ জমিতে সারা বছরব্যাপী চাষ করছেন ১৭ রকমের শাক-সবজি ও ১২ রকমের ফল। বাগানে রয়েছে হরেক রকমের সৌন্দর্য বর্ধনকারী ফুল। নিজ পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে গত এক বছরে আয় করেছেন ৭৭ হাজার টাকা। প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি আর কৃষি বিভাগের পরামর্শে তাক লাগানো সফলতা দেখিয়েছেন বুড়িচং উপজেলার আরাগ আনন্দ পুর গ্রামের কৃষক মো. ফেরদৌস।
বাগানে গেলে দেখা যায় বিক্রির জন্য শসা সংগ্রহ করছেন ফেরদৌস। জানালেন এই মৌসুমে ১০ হাজার টাকার শসা বিক্রি করেছেন তিনি। ৪০ টাকা প্রতি কেজি শসা বিক্রয় শুরু করেন। বর্তমানে বাজারে খুচরা মূল্য ২০ টাকা প্রতি কেজি হলেও তার কাছ থেকে পাইকার ২০ টাকা প্রতি কেজি নিয়ে যায়। কারণ তার শসা নিরাপদ ও সুস্বাদু। একাই জমিতে রবি মৌসুমে টমেটো চাষ করে আয় করেছেন ২৫ হাজার টাকা। বাগানের ৫ টি বারো মাসি কাগজী লেবু গাছ থেকে বছরে আয় হয় গড়ে ৫ হাজার টাকা। মো. ফেরদৌস বলেন, গতানুগতিক ধারায় কৃষি কাজ না করে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে সর্বদা চেষ্টা করি। যে কোন প্রয়োজনে কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায়ের কাছ থেকে ফোনে বা অফিসে গিয়ে পরামর্শ গ্রহণ করি। তাছাড়া উপসহকারি কৃষি অফিসার নিয়মিত বাগানে আসেন। বাগানে ২০ শতাংশ নতুন জমি যুক্ত করেছি, এখানে পেঁপে ও কলা চাষ করবো। আর শসা উঠে গেলে এই অংশে কৃষি বিভাগের পরামর্শে গ্রীষ্মকালীন টমেটো লাগাবো।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় বলেন, আমার দৃষ্টিতে মো. ফেরদৌস একজন অনুকরণীয় ও প্রগাতিশীল কৃষক। দেড় বছর বছর আগে ট্রাইকো-কম্পোষ্ট তৈরি হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে তার সাথে আমাদের যাত্রা শুরু। শতভাগ সম্ভব না হলেও জৈব কৃষি বাস্তবায়নের চেষ্টা করেন। তবে উৎপাদিত পণ্য শতভাগ নিরাপদ রাখতে তিনি সমর্থ হয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার মোছা. আফরিণা আক্তার জানান, মো. ফেরদৌস ্এর বাগানটি পরিদর্শন করে বেশ ভালো লেগেছে। বুড়িচং এর কৃষকদের হাতে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি পৌঁছে দিতে আমরা চেষ্টা করছি। উনার মতো আগ্রহী ও উদ্যোমী কৃষক প্রতিটি ঘরে ঘরে কাম্য।

Daily Frontier News