Daily Frontier News
Daily Frontier News

ট্রান্সপ্লান্টারে কমবে খরচ, বাড়বে সরিষা চাষের সম্ভাবনা

 

 

মোঃ আব্দুল্লাহ বুড়িচং।।

 

যান্ত্রিকীকরণের সুফল, তিন ফসলি জমি চার ফসলিতে
যান্ত্রিকীকরণের সুফলে কমবে ধান রোপণ খরচ ৮৭%
কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণকে উদ্বুদ্ধ করতে ও বছরব্যাপী শস্য বিন্যাসে ১০-১৫ দিন বাঁচিয়ে তিন
ফসলি জমিতে অতিরিক্ত ফসল হিসাবে সরিষাকে যুক্ত করতে বুড়িচং এর বিভিন্ন গ্রামে রাইস
ট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্য চারা রোপণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কৃষি বিভাগ৷ সে উপলক্ষে
সিডর্লিং টুরেতে চারা তৈরিরে উদ্দেশ্যে বীজ বপন চলছে। তাছাড়া পাকা ধানের জমি কাটা হচ্ছে
কম্বাইন হারভেস্টার এর মাধ্যমে।
বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের কৃষকদের এমনই এক কর্মযজ্ঞ
ব্যস্ত থাকতে দেখা গেল৷ স্থানীয় কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম জানান, প্রতি বিঘা জমি রোপণ
করতে শ্রমিক খরচ হয় আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। আর সিডলিং টুরেতে চারা তৈরি করে
রাইসট্রান্সপ্লান্টারের সাহায্য রোপণ করলে বিঘা প্রতি পাঁচ শত থেকে এক হাজার টাকা খরচ
হবে। তার থেকেও বড় কথা প্রয়োজনের সময় শ্রমিক পাওয়া যায় না। অনেক সময় বিভিন্ন কারণে
শ্রমিক মজুরি দ্বিগুণ পর্যন্ত হয়ে যায়। এ সব দুশ্চিন্তা থেকে এবার আমার মুক্ত।
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট কুমিল্লা আঞ্চলিক কার্যালয়ের অর্থায়নে উক্ত
কার্যক্রমটির উদ্যোগ গ্রহণ ও সমন্বয়কারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার বানিন রায় জানান, মূলত
দুটি উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রথমত, কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ বিশেষ করে রাইস
ট্রান্সপ্লান্টারের ব্যবহারকে জনপ্রিয়করণ, দ্বিতীয়ত, যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ১০-১৫ দিন
বাঁচিয়ে শস্য বিন্যাসে নতুন ফসল সরিষার অন্তর্ভুতি৷ তাছাড়া, স্বল্প খরচে চারা রোপণ ও
করতনের মাধ্যমে কৃষকের বিঘা প্রতি ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা অর্থ সাশ্রয় হবে ও শ্রমিক
সংকটের দুঃচিন্তা কিছুটা লাঘব হবে। ইতিমধ্যে আউশ ধান কাম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে
কাটা হচ্ছে, পরবর্তীতে রোপা আমনও কাটা হবে৷
বুড়িচং উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রামপুর ও পাহাড়পুর গ্রামে ১০ বিঘা করে
২০ বিঘা জমিতে উদ্বোধনের সময়
চাষাবাদের আলোকে রাইস ট্রান্সপ্লান্টারের
সাহায্য চারা রোপণ ও কম্বাইন হারভেস্টারের সাহায্য ধান কর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করা
হয়েছে।

Daily Frontier News