মোঃ আব্দুল্লাহ প্রতিনিধি।।
রোপা আমনের ভরা মৌসুমে মাঠে মাঠে চলছে রোপা আমনধান রোপন । শেষ চাষের সময় কৃষকরা প্রয়োগ করে নিচ্ছেন নানা জাতের সার। তবে ফসফেট সারের মধ্যে কৃষকের আগ্রহ বেড়েছে টিএসপি এর পরিবর্তে ডিএপি সারে। কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার কৃষকদের মাঝে ডিএপি সারের ব্যাপারে এমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে।
বাকশিমূল ইউনিয়নের এক সার বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানালেন, সারাদিনে টিএসপি বিক্রি করেছেন মাত্র ১৫ কেজি। আর ডিএপি বিক্রি করেছেন ৩০০ কেজি। গত বছরও কৃষকদের মাঝে এমন মনোভাব দেখি নাই। ষোলনল ইউনিয়নের অপর একজন সার ডিলারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানালেন, এলকায় এখনও পুরোপুরি সারের টান শুরু হয় নাই। তবে গত স্কিমে অনেক ডিএপি বিক্রি করছি। হিসাব বের করে দেখালেন, গত ২০২১-২২ অর্থবছরের তিনি ডিএপি বিক্রি করেছেন ১৪৩.১ মেট্রিক টন, যা তার আগের অর্থবছর ২০২০-২১ এ ছিল ১২১.৩৫ মেট্রিক টন। অর্থাৎ, ডিএপি এর বিক্রি বেড়েছে ১০% এর সামান্য বেশি। টিএসপি এর ক্ষেত্রে ঠিক উল্টো চিত্র, ব্যবহার কমেছে ১৬%। ২০২০-২১ অর্থবছরে যেখানে বিক্রি ছিল ১৬১.৮ মেট্রিক টন, ২০২১-২২ সালে তা কমে দাড়ায় ১৩৫.৭ মেট্রিক টন। আরো কয়েকজন সার ডিলাদের সাথে কথা বলে এমনটাই ধারণা পাওয়া যায়।
এতবারপুর গ্রামের কৃষক নাজির মিয়া জানান, দাম কম বলে আমরা ড্যাপ সার কিনতে চাইতাম না। সবাই মনে করতো এইটা কাজ করে কম, তাই দামও কম। তবে কৃষি বিভাগের মাধ্যমে জানতে পারছি ড্যাপ সারে ইউরিয়া আছে। এখন মাইট্টা না দিয়া জমিতে ড্যাপ সার দেই।
অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ বানিন রায় জানান, আমরা কৃষকদের প্রতিনিয়ন বোঝাতে চেষ্টা করছি যে এক কেজি ডিএপি সার ব্যবহার করলে চারশ গ্রাম ইউরিয়া কম ব্যবহার করতে হয়। গত রবি মৌসুম থেকে আমরা কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। বর্তমান রোপা আমন মৌসুমে আগ্রহটা সুস্পষ্ট। সেই সাথে কৃষকদের বেশি সার ব্যবহারের প্রচলিত ধ্যান ধারণা থেকে পরিমিত সার ব্যবহারে আগ্রহী করতে আমরা কাজ করছি।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics