মনোয়ার ইমাম কলকাতা থেকে
পশ্চিম বাংলার পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সহ বিভিন্ন যায়গায় রাস্তার মধ্যে কিছু টাকা বান্ডিল করে ফেলে রাখতেন কিছু প্রতারকদের দল। তাদের লক্ষ্য ছিল পথ চলিত মহিলারা। এমন অভিনবত্ব কায়দায় প্রতারণা করতেন তা বুঝে উঠার আগেই এলাকা থেকে সরে পড়তেন প্রতারণা কারীর দল। এদের কাজ ছিল রাস্তার পাশে কাগজের উপর বান্ডিল করে কিছু উপর ও নীচে রেখে ফেলে রাখতেন। যখন পথচারী মহিলাদের নজরে আসতেন তারা কুড়িয়ে নিলে তাদের পিছনে প্রতারণা কারীর দল চলে আসতো। চলতো দরাদরি কারবার। সেই সুযোগে তারা কুড়িয়ে পাওয়া টাকার ভাগ চাইতেন। নতুবা তাঁরা কুড়িয়ে পাওয়া টাকা সব তাদের দিয়ে দেবেন, তার বিনিময়ে বান্ডিল করা কুড়িয়ে পাওয়া টাকা সব তাদের দিয়ে দেবে। তার বিনিময়ে মহিলাদের কাছ থেকে গায়ের সোনার গহনা দাবি করতেন। মহিলা কুড়িয়ে পাওয়া টাকার বিনিময়ে যখন গহনা দিত তখন টাকার বান্ডিলের ভিতরে কি আছে তা দেখার আগে এলাকা ছেড়ে প্রতারণাকারীরা চলে যেত। যখন টকার বান্ডিল খুলে দেখতেন যে বান্ডিলের ভিতরে সাদা রঙের কাগজ তাঁর উপর তিন চারটা আসল টাকা আছে। এমন কিছু ঘটনার খবর মেদিনীপুর জেলা পুলিশের কাছে পৌঁছে। এদিন এই প্রতারণাকারীদের হাতে নাথে ধরেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ ইমরান মোল্লা এবং এস ডি পি ও সাকিব আহমেদ। তাদের চেষ্টায় ধরা পড়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বারুইপুর বাসিন্দা রাজা হালদার ও কুলপির বাসিন্দা লাল্টু হালদার। ধৃত ব্যক্তিদের কাছ থেকে একটি পিস্তল ও তাজা কার্তুজ এবং মারণাস্ত্র। এই প্রতারণা কান্ডের সাথে যুক্ত থাকার জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কোলাঘাট থানার পুলিশ মোট সাতজন কে গ্রেপ্তার করে।ধৃতদের জেরা করে জানতে পারে লাগ ভেলকি লাগ টাকার খেলা দেখিয়ে মহিলাদের কাছ থেকে সোনা ও গহনা হাতিয়ে নিত তারা। তাদের দল মেদিনীপুর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা ও হাওড়া জেলা এবং হুগলি জেলা এমনকি কলকাতার বুকে এমন ভাবে প্রতারণা করতো। ধৃত ব্যক্তিদের আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের আদালতে তোলা হবে।।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics