আগামী কাল মহররম উপলক্ষে করে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার নির্দেশ সারা ভারতে

ভারত থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম

.     প্রতি বারের মতো এবারও মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষের জন্য পবিত্র মহররম উপলক্ষে কড়া সতর্কতা অবলম্বন এবং ভারতের বিভিন্ন যায়গায় কড়া নিরাপত্তা র ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সরাস্ট্র দপ্তর থেকে। সেই সঙ্গে কথাও ঝামেলা হলে সাথে সাথেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়া নির্দেশ দিয়েছেন ভারত সরকারের পক্ষ থেকে। আগামী কাল পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের সহিত ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে র মধ্যে পালিত হচ্ছে পবিত্র মহররম। এই মহররম উপলক্ষে কথাও তাজিয়া ও প্রক্সি তলোয়ার হাতে খেলা। কথাও লাঠি খেলা শুরু হবে। কিন্তু বিভিন্ন ভাষাভাষী মানুষের ও বিভিন্ন ধর্মীয় মানুষের উপর কথাও এর প্রভাব না পড়ে তা দেখার জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে র সাথে পশ্চিম বাংলায় বিভিন্ন যায়গায় পবিত্র মহররম উপলক্ষে লাঠি হাতে খেলা ও তলোয়ার খেলা এবং কথাও তাজিয়া মিছিল বের হবে। কলকাতা সহ মুর্শিদাবাদ জেলা থেকে শুরু করে দিনাজপুর জেলা হয়ে এর প্রভাব পড়বে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার বিভিন্ন এলাকায়। পবিত্র মহররম উপলক্ষে সকলকেই শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অনুরোধ করেছেন পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে কোথাও কোন ঝামেলা না হয় তা দেখার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা র সুন্দর বন জেলা পুলিশ সুপার ও বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপার এবং ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ সুপার তার প্রতিটি থানা কে আগাম সতর্কতা জারি করেছে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য। ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশ সুপার শ্রী রাহুল গোস্বামী আই পি এস ও এ এস পি মিতুন কুমার দে এবং ডায়মন্ড হারবার মহাকুমা পুলিশ আধিকারিক সাকিব আহমেদ সাহেব এবং মগরাহাট থানা ও উস্তি থানার সার্কেল চীফ অফিসার ইনচার্জ শ্রী রাজু সানোকার ও উস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ জনাব আসাদুল সেখ সহ অন্যান্য পুলিশ অফিসারা, শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। কলকাতার পার্ক স্ট্রিট, রাজাবাজার ও খিদিরপুর ও গাডেনব্রিজ এবং মেটিয়াবুরুজ থেকে শুরু করে ডায়মন্ড হারবার জেলা পুলিশের উস্তি থানার কালবেলা ও মশিদহাটে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। চলেছে পুলিশের উদ্যেগে টহলদারি। তবে এদিন বহু জেলায় রোজা পালন ও মিলাদ মাহফিল ও গরিব মানুষের মধ্যে খাদ্য ও পানীয় পান করার ব্যবস্থা করেছেন কিছু সুন্নি মুসলমানদের জামায়াত।।