Daily Frontier News
Daily Frontier News

সিরাজগঞ্জে ১০ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীর গোপন বিয়ে

তাহছিন নূরী খোকন: শাহজাদপুর প্রতিনিধি।

দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক শেষে চারমাস পুর্বে কোর্ট ম্যারেজ করে ১০ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী গোপনে স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক চালিয়ে গেছে।

বিষয়টি জানাজানির পর স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে কিশোর স্বামীর বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে কিশোরী বধু। ঘটনার পর তাকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছেন শ্বাশুড়ি। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

ঘটনাটি ঘটেছে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া ইউনিয়নের বড় বয়ড়া গ্রামে। স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবি করা কিশোরীর নাম মাহিমা পারভীন। সে পোতাজিয়া বাজার পাড়ার মহির উদ্দিনের মেয়ে। তার স্বামী বড় বয়ড়া গ্রামের মৃত শুকুর আলী ফকিরের ছেলে মো প্রতীক হাসান সাঈম।

তারা দুজনেই পোতাজিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেছে।

বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) সকাল এগারোটায় সরেজমিনে বড় বয়ড়া গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, কিশোরী মেয়েটি প্রতীকদের বাড়ির পাশের রাস্তায় দাড়িয়ে রয়েছে। বহু সংখ্যক মানুষ তাকে ঘিরে আছেন।

এসময় সে জানায়, দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের পর গত ৭ই ফেব্রুয়ারি শাহজাদপুর কোর্টে তারা গোপনে বিয়ে করে। বিয়ের পর গোপনেই তাদের স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক চলতে থাকে। কিন্তু বিষয়টি জানাজানির পর পারিবারিক ভাবে সমস্যা তৈরি হওয়ায় প্রতীক তাকে বাড়ীতে উঠে আসার নির্দেশ দেয়।

প্রতীকের মা পান্না খাতুন এ বিয়ের কথা অস্বীকার করে বলেন, তার ছেলেকে জোর করে কাগজে স্বাক্ষর করানো হয়েছে। এবিষয়ে তিনি একটি মামলা দায়ের করেছেন দাবি করলেও মামলার কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম জানান, আমরা বাল্য বিবাহ নিরুৎসাহিত করি। তবে বিয়ে হয়ে যাবার পর উভয় পরিবারের সমঝোতার ভিত্তিতে সমস্যার সমাধান করাই উত্তম।

Daily Frontier News