Daily Frontier News
Daily Frontier News

সরকারি কোষাগারে সম্পুর্ণ ইজারামূল্য পরিশোধের পরও বঞ্চিত প্রকৃত মৎসজীবি সমিতি

 

 

সিলেট প্রতিনিধি , (চাউলধনি হাওর) বিশ্বনাথ থেকে ফিরে:

 

বিশ্বনাথ উপজেলার চাউলধনী হাওর গ্রুপ জলমহাল ১৪২৪বাংলা থেকে ১৪২৯ বাংলা পর্যন্ত ৬ বৎসর সময়ের জন্য উন্নয়ন স্কিমে ইজারা নেন দশঘর মৎস্যজিবী সমবায় সমিতি লিঃ বিশ্বনাথ। সর্বশেষ ১৪২৮ এবং ১৪২৯ বাংলাসনের প্রায় ৩২ লাখ ৩৫ হাজার ৭৮৮টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়েও প্রতিপক্ষের জবর দখল মাছ চুরি ও প্রাননাশের হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতা ও ক্ষয়ক্ষতির সম্মূখীন হচ্ছেন দশঘর মৎস্য জীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সদস্যরা। এ ঘটনায় সমিতির অন্তবর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আরকান আলী বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ৮ সেপ্টেম্বর একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন।

এতে তিনি উল্লেখ করেন সিলেট জেলা জলমহল ব্যবস্থাপনা কমিটির সুপারিশের আলোকে, ভুমি মন্ত্রনালয়ের ৯/১০/২০১৭ইং তারিখের ৩১.০০.০০০০.০৫০.৬৮.০২৪.১৭-৫১৮ নং স্মারকে সমিতির অনুকূলে ১৪২৪-১৪২৯ সন মেয়াদে ১৭৮.৯৮ একর জলমহালটি সমিতিকে ইজারা প্রদান করা হয়।

বিধি অনুয়ায়ী সকল কাগজপত্র সম্পাদন শেষে রাম পাশা/দশঘর ভুমি অফিস সমিতিকে জলমহলটি আনুষ্ঠানিকভাবে দখল বুঝিয়ে দেন। দখল পাওয়ার পর জলমহালে গিয়ে দেখা যায় কিছু ব্যক্তি জলমহালের খাস ভুমিতে গভীর ও অগভীর পুকুর খনন করার জলমহালটি ভরাট হয়ে যায়।

এ অবস্থায় চরম ঝুঁকি ও ক্ষয়ক্ষতির সম্মূখীন হন ইজারাদাররা। এ অবস্থায় জবরদখলকারীদের বাধা প্রদান করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সমিতির সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সহ নানা হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন।

তাদের বেপরোয়া আচরণ ও জলমহাল জোরপূর্বক নিয়ন্ত্রনে নিয়ে যাওয়ায় বৈধ ইজারাদার জলমহাল থেকে মৎস্য আহরণ করতে পারছেন না। প্রতিপক্ষের ভয়ে তারা এখন বিপুল অর্থে ইজারা নেওয়া জলমহালে কোন কাজকর্ম করতে পারছেন না।

সরকারী খাস ভুমিতে পুকুর খনন করে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণ করছেন স্থানীয় পাড়ুয়া গ্রামের বাবুল মিয়া, মিরের গাঁওয়ের মো. আবুল কালাম, দশ পাইকার গ্রামের গিয়াস উদ্দিন, মৌলভীগাঁয়ের জাহিদুল হক, উজাইজুরী গ্রামের মাহফুজুর রহমান, ছমির উদ্দিন, জাহিদুল হক, মৌলভীগাঁয়ের সামছুদ্দিন, দশঘর নোঁওাগাঁও এর ধন মিয়া, কুতুবুর রহমান, উত্তর দৌলতপুর গ্রামের রুশন আলী, আদু, হোসেন, আলী সহ ১৫০ থেকে ২০০ জন।

এখানে উল্লেখ্য যে, উপরোক্ত ব্যক্তিরা জলমহাল থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা মাছ বিক্রি করে ফেলেছে এবং জলমহালের বিভিন্ন গর্ত সাবলীজ দিয়েছেন। কিন্তু আমাদের মৎস্য আহরনে বাধা প্রদান করছেন।

এ বিষয়ে চাউলধনী হাওর ও কৃষক বাচাঁও আন্দোলন কমিটির আহবায়ক আবুল কালাম জনান, আমরা কোন জলমহালে হস্থক্ষেপ করছিনা আমরা আমাদের মালিকানাধীন জলাশয় থেকে মৎস্য আহরণ করি।

কিন্তু এজারাদাররা তাদের জলমহাল রেখে আমাদের মালিকানাধীন জমিতে জলাশয়ে মাছ ধরতে বাধা দেয় ও নানা অপপ্রচার চালায়।
বিশ্বনাথ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, আমরা বৈধ ইজারাদারদের সহযোগিতা করবো। তাছাড়া সংশ্লিষ্ট দফতর উদ্যোগ নিলে আমরা পুলিশ পাঠাবো।

Daily Frontier News