ষ্টাফ রিপোর্টারঃ-
. দেশে অতিতের তুলনায় বর্তমানে সারাদেশে সাংবাদিক পরিচয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি , জমি দখল , দোকানপাট দখল , ধর্ষণ , মাদক ব্যবসা , ফোর টুয়েন্টি, দালালি , কন্ট্রাক্ট কিলিং সহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। এই চক্রে বিতর্কিত নারী সদস্যও থাকেন। হঠাৎ করে এই শহরে সাংবাদিকদের প্রতারণার দিক নির্দেশনা স্বরূপ ছড়াকার টিটকারির সুরেই ছন্দ মিলিয়ে লিখেছেন- ‘হঠাৎ করে এই শহরে এলো যে এক সাংবাদিক, কথায় কথায় তোলে ছবি ভাবখানা তার সাংঘাতিক।
. তিলকে সে বানায় তাল নদীকে বানাই সমুদ্র খালকে বানায় নদী ডোবাকে বলে বিল এল এক সাংঘাতিক , তার অপসংবাদিকতায় মানসম্মান হারাচ্ছে সমাজের ভালো মানুষ। চড়ইকে সে পেঁচা বানায় কাককে বানায় চিল। পুলিশ দেখে লুকিয়ে পালায় দিক আর বেদিক । রাজধানীতে ভুয়া প্রেস লিখে করছে চাঁদাবাজি। তারা বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল প্রথম শ্রেণীর পত্রিকার অথবা নিউজ পোর্টালের ষ্টিকার লাগিয়ে দাবিয়ে বেড়ায় ।
. বিভিন্ন পেশার মানুষকে হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করে এতে বিপাকে পড়ছেন পেশাদার সাংবাদিকরা। পান থেকে চুন খসলেই রীতিমত বাহিনী নিয়ে হাজির। বাদী বিবাদীকে বিভিন্নভাবে হুমকি- দিয়ে অথবা ফাফর দিয়ে না হয় মিষ্টি কথায় ভুলিয়ে টু’পাইস কামিয়ে নেয়া ঐ সকল সাংঘাতিকরা। টাকা পকেটে না আসা পর্যন্ত চিল্লা পাল্লা নাটক সাজায় টিকটক করে। মোবাইলে কাঠি লাগিয়ে ছবি তুলে ভিডিও করে।
. পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ
জানিয়েছেন , ভুয়া সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান নেয়া হবে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ভুঁয়া সাংবাদিকদের পুলিশ মাঝে মধ্যেই গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে টেলিভিশন চ্যানেল এবং পত্রিকার জাল পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়। এছাড়া তাদের মোটরবাইকে লাগানো থাকে টেলিভিশন জাতীয় পত্রিকার ষ্টিকার । এরা এমনভাবে টেলিভিশন চ্যানেলের অথবা পত্রিকার ষ্টিকার ক্যামেরায় লাগিয়ে নেয় আসল কিনা নকল বুঝা বড় দায় ।
. ইউটিউব চ্যানেল বের হয়েছে ,আইপি টিভি , নিউজ পোর্টাল কোনটা আসল আর কোনটা নকল বুঝা বড় দায়।এইসব ভুয়া সাংবাদিকদের ঠাটবাট এমন যে তাদেরকে সাধারণ মানুষ সহজে ধরতে পারেন না। এমনকি পেশাদার সাংবাদিকরাও তাদের দেখে মাঝে মধ্যে আতঙ্ক হয়ে যায়। দামি গাড়ি, দামি ক্যামেরা এবং ভালো পোশাক ও শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে , বেশির ভাগই থাকে মাদক সেবী ও ব্যবসায়ী মহিলা সাপ্লায়ার । এরাই প্রকৃত মানুষ হয়রানির দল । তাদের থেকে সাবধান তারা ঢাকা শহরসহ বড় বড় জেলা শহর এমনকি উপজেলায় আনাগোনা করে বেড়াচ্ছে ।
. মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা আদায় করে থাকে। ঢাকার কয়েকজন পেশাদার সাংবাদিক জানান , শুধু পুলিশকে উদ্দ্যোগ নিলেই হবে না , বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম টেলিভিশন চ্যানেল, প্রথম শ্রেণীর পত্রিকা গুলো শক্ত হাতে উদ্দ্যোগ নিতে হবে, পাশাপাশি ইউটিউব নিউজ পোর্টালে প্রচার করতে হবে মানুষ হয়রানির দল থেকে সাবধান হতে হবে ।
সাংবাদিক পরিবেশ কে ভুঁয়া সাংবাদিক চিহ্নিত করে মানুষের মাঝে আস্হা ফিরিয়ে আনতে হবে। দিন দিন সাংবাদিকদের উপর জনগণের আস্থা কমে যাচ্ছে। সাংবাদিকরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ছেন। প্রকৃত মানবাধিকার কর্মীরা কাজ করতে পারবে না ভুঁয়া মানবাধিকার কর্মীতে সয়লাব হয়ে গেছে । বর্তমানে সাংবাদিকতায় কোম্পানীর রিপ্রেজেন্টেটিভ নরসুন্দর, দারোয়ান, ট্রাক ড্রাইভার, সিকিউরিটি মাদক ব্যবসায়ী, একাধিক মার্ডার মামলার আসামি, চায়ের দোকানদার, মোরগের দোকানদার, পানের দোকানদার, কিছু মহিলা বাকিটা বলবো না, বিদেশ ফেরৎ সাংবাদিকতার পেশায় এসেছে, বাংলাদেশে ১২৭০ টি পত্রিকা সবাই জেলা উপজেলা প্রতিনিধি দিচ্ছে । বেশীরভাগ যাচাই বাছাই না করে __কেন কার্ড দেয় সেটা আমি বলবো না, ঠিক তেমনি কিছু মানবাধিকার ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কার্ড দিচ্ছে সেটা আলোচনা করবো না। নতুন আরেকটি যুক্ত হয়েছে শত শত সাংবাদিক সংগঠন বেশিরভাগ সংগঠনগুলো ভুইফোঁড় প্রায় প্রতি জেলায় ১০/১৫ টি প্রেসক্লাব আছে এবং প্রতি জেলায় ৪০/৫০টি বিভিন্ন সংগঠন রয়েছে , ঢাকায় রয়েছে ৫০০ শত-এর উপরে সাংবাদিক সংগঠন ১৫০ টি মানবাধিকার সংগঠন। ঢাকায় প্রেসক্লাব রয়েছে প্রায় ৫০টি , মোড়ে মোড়ে অলিতে গলিতে প্রেস ক্লাব যেমন যাত্রাবাড়ী প্রেসক্লাব, ডেমরা প্রেসক্লাব, মালিবাগ প্রেসক্লাব, বাড্ডা, ঢাকা উত্তর প্রেসক্লাব, উত্তরা প্রেসক্লাব, পূর্বাঞ্চল প্রেসক্লাব, টিকাটুলি প্রেসক্লাব ইত্যাদি । বেশিরভাগ সংগঠনের কোন অফিস নেই রেজুলেশন নেই, কমিটির লোক বল নেই, কোরাম নেই তিন থেকে পাঁচজন তারাই সবকিছু , অনেক জায়গায় শুধু সভাপতি, নয়তো শুধু সাধারণ সম্পাদক আছে বাকি সব হাওয়া , এই কাতারে আমি পড়লে আমাকেও আইনের আওতায় আনা হোক।
(সারাদেশে ভূয়া মানবাধিকার কর্মী এবং ভূয়া সাংবাদিকের দৌরাত্ম্য অতিতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে চরমে পৌঁছেছে
————————————–
ষ্টাফ রিপোর্টারঃ-
অতিতের তুলনায় বর্তমানে সারাদেশে সাংবাদিক পরিচয়ে ছিনতাই, চাঁদাবাজি , জমি দখল , দোকানপাট দখল , ধর্ষণ , মাদক ব্যবসা , ফোর টুয়েন্টি, দালালি , কন্ট্রাক্ট কিলিং সহ নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। এই চক্রে বিতর্কিত নারী সদস্যও থাকেন।
হঠাৎ করে এই শহরে
সাংবাদিকদের প্রতারণার
দিক নির্দেশনা স্বরূপ ছড়াকার টিটকারির সুরেই ছন্দ মিলিয়ে
লিখেছেন- ‘হঠাৎ করে এই শহরে এলো যে এক সাংবাদিক, কথায়
কথায় তোলে ছবি ভাবখানা তার সাংঘাতিক।
তিলকে সে বানায় তাল-
নদীকে বানাই সমুদ্র খালকে বানায় নদী ডোবাকে বলে বিল এল এক সাংঘাতিক , তার অপসংবাদিকতায় মানসম্মান হারাচ্ছে সমাজের ভালো মানুষ ।
চড়ইকে সে পেঁচা বানায় কাককে বানায় চিল। পুলিশ দেখে লুকিয়ে পালায় দিক আর বেদিক ।)
(সংগৃহীত)
Copyright © 2024 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics