কুমিল্লা লাকসামের বহুল আলোচিত ভুমিদস্যু, অ¯্র ও মাদক স¤্রাট দেলোয়ার হোসেন সবুজ আবারও আলোচনার শীর্ষে। ৫ বছর আগে র্যাবের হাতে অ¯্র ও মাদকসহ আটক হয়ে সংবাদ শিরোনাম হন শিবির থেকে আগত এই যুবলীগ ক্যাডার। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে পুরুস্কার স্বরূপ তৎকালীন কাউন্সিলর আবদুল আলম দিদার ও যুবলীগের আহবারক অধ্যাপক আবুল খায়েরের আশীর্বাদপুষ্ঠ হয়ে ৬নং ওর্য়াড যুবলীগের সভাপতির আসর অলংকৃত হন। শুরু হয় সবুজের ভূমিদস্যুত ও মাদক ব্যবসার মিশন। নওয়াব বাড়ীর পাশে সবুজের একটি ওয়েলডিং কারখানা আছে। যা পক্ষান্তরে মাদক ব্যবসার গোডাউন হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবহার হয়ে আসছে।
সহযোগী হিসেবে তার সেকেন্ডইন কমান্ড ছিলেন যুবলীগের ওর্য়াড সম্পাদক মোকছেদ আলী। নওয়াব ফয়জুন্নেছার ওয়াকফকৃত সম্পত্তি নিজের নামে জাল দলিল করে বাড়ী নির্মান, নওয়াব বাড়ী মসজিদের পুকুর দখল, চার ঘাটলা পুকুর সহ অসংখ্য বিরোধপূর্ন বাড়ী ও জায়গা তার নিয়ন্ত্রনে চলে আসে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মো: তাজুল ইসলামের নির্দেশ উপেক্ষা করে ৬মাস আগে নওয়াব বাড়ীর পূর্ব দিকের গেট সংলগ্ন বাড়ীটি নির্মান কাজ বন্ধ থাকলেও রহস্যজনক কারনে তার তত্তবধানে নির্মিত হয়। যাতে এখন ভাড়াটিয়া বসবাস শুরু করেছে।
উল্লেখ্য, নওয়াব ফয়জুন্নেছার বাড়ীতে গাড়ি নিয়ে প্রবেশের একটি মাত্র গেইট পূর্ব দিকে অবস্থিত। যা সবুজের পৃষ্ঠপোষতায় ছৈয়দ আলী মিয়া প্রথমত টিন দিয়ে বেস্টনী দেয়। তার পর সবুজের রাজনৈতিকগুরু আবুল খায়ের ও আবদুল আলীম দিদারের পরোক্ষ সহায়তায় রহস্যজনকভাবে পৌরসভার প্লান পাশের মাধ্যমে নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
সাপ্তাহিক সবুজপত্রের সচিত্র অনুসন্ধানী রির্পোটের পর প্রশাসনের নির্দেশে স্থানীয় কাউন্সিলর টিনের বেড়া খুলে গত ৪ ডিসেম্বর গেইটি উন্মুক্ত করে দেন। কিন্তু নওয়াব বাড়ীর সামনে বিষফোঁড়া দাঁড়িয়ে রয়েছে অর্ধ সমাপ্ত নির্মিত ছৈয়দ আলী মিয়ার বাড়ীর অবকাঠামো। যা সরকারের প্রত্নতত্ব অধিদপ্তরের নীতিমালায় পরিপস্থী।
যা ফয়জুন্নেছার স্মৃতিবিজড়িত বাড়ীটিকে যাদুঘরে রূপান্তরের অন্যতম প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
Copyright © 2024 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics