জাফর আহমেদ।।
কাগজপত্রে মা-মনি লাইফ কেয়ার হাসপাতাল বন্ধ থাকলেও বাস্তবে এটি চলছে। ডাক্তার মোঃ আব্দুল আলী এই অবৈধ হাসপাতালটি চালায়। প্রতিনিয়ত এই হাসপাতালে রোগীদের সাথে প্রতারণা হচ্ছে। লাকসাম দক্ষিণ বাইপাস জোড়পোল এলাকায় এই হাসপাতালটি অবস্থিত। সিজার অপারেশন সহ সকল ধরনের চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে এই হাসপাতাল।ল্যাব টেকনোলজিষ্ট ও ডাক্তারের সিল সই ছাড়াই পরীক্ষার নিরীক্ষার রিপোর্ট দেওয়া হচ্ছে রোগীদেরকে । কিন্তু ডাক্তার এবং ল্যাব টেকনোলজিস্ট এর স্বাক্ষর ছাড়া কোন রিপোর্ট দেওয়ার নিয়ম নেই। ৩১জুলাই একজন গর্ভবতী মহিলা , ডাক্তার আব্দুল আলীর চিকিৎসা নিতে আসেন। ওই রোগীকে ফেয়ার মেডিকেল সেন্টার এর প্যাডে ডাক্তার আব্দুল আলী ব্যবস্থাপত্র দেন। রোগী ডাক্তার দেখিয়েছে লাকসাম লাইফ কেয়ার হসপিটালে কিন্তু তাকে ব্যবস্থাপত্র দেওয়া হয়েছে ফেয়ার মেডিকেল সেন্টারের প্যাডে। বাস্তবে ফেয়ার মেডিকেল সেন্টার অবস্থিত মনোহরগঞ্জে এটি বর্তমানে বন্ধ রয়েছে ।এই বন্ধ ফেয়ার মেডিকেল সেন্টারের প্যাডে লাকসাম লাইফ কেয়ার হাসপাতালে বসে ডাক্তার আব্দুল আলী প্রতারণা করছে রোগীদের সাথে। তার ব্যবস্থাপত্র অনুযায়ী রোগীকে আলট্রাসনোগ্রাম করা হয় লাকসাম মেটারনিটি ক্লিনিকের প্যাডে কিন্তু এই নামে লাকসামে কোন ক্লিনিক নেই। প্রতারণা এখানেই শেষ নয় , বন্ধ মা-মনি লাইফ কেয়ার হাসপাতাল প্যাডে উক্ত রুগীর আরো কিছু পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হয় কিন্তু এই মা-মনি লাইফ কেয়ার হসপিটাল সম্প্রতিক সময়ে মোবাইল কোর্টের ভয়ে তারা নিজেরাই বন্ধু ঘোষণা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পত্র দিয়েছে । কাগজপত্রে এই হাসপাতালটি বন্ধ দেখা গেলেও বাস্তবে এই হাসপাতালে বসেই ডাক্তার আব্দুল আলী তার বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। উক্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার রিপোর্টে কোন ডাক্তার বা ল্যাব টেকনোলজিস্ট এর সিল সই নেই । ডাক্তার ও ল্যাব টেকনোলজিস্ট এর সিল সই ছাড়া কোন রিপোর্ট সরবরাহ না করার নিয়ম রয়েছে।কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই অনিয়ম করে যাচ্ছে ডাক্তার আব্দুল আলী।১২/১৪ বছর ধরে লাকসামে এই অনিয়ম করছে সে। উক্ত রোগীকে কে ১০ আগস্ট মা-মনি লাইফ কেয়ার হাসপাতালে সিজার অপারেশন করেছে ডাক্তার আব্দুল আলী। নিজেই এনেস্থেশিয়া দিয়ে ওই সিজার অপারেশন করে রোগী ভর্তি রেখেছে মা-মনি লাইফ কেয়ার হসপিটালে। কাগজপত্রে বন্ধ হসপিটালে কিভাবে সিজার অপারেশন সহ নানা ধরনের চিকিৎসা কার্যক্রম চলে এই প্রশ্ন সাধারণ মানুষের। ডাক্তার আব্দুল আলী নিজ কর্মস্থলে না গিয়ে ১২-১৪ বছর যাবত লাকসামে প্রাইভেট প্র্যাকটিস সহ বিভিন্ন ধরনের লাভজনক ব্যবসায় জড়িত রয়েছে। একজন সরকারি কর্মকর্তা সরকারি চাকরি ফাঁকি দিয়ে কিভাবে লাভজনক ব্যবসা সহ নানা ধরনের অপকর্মে জড়িত এই প্রশ্ন লাকসামবাসীর। এ ব্যাপারে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নাজিয়া বিনতে আলম বলেন , আমরা খবর পেয়েছি । যাচাই করে খবরের সত্যতা পাওয়া গেছে । ইনশাআল্লাহ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics