মাধবপুর থেকে ফিরেঃ-
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এস এফ এম শাহজাহানের (৫০) বিরুদ্ধে জাল দলিল তৈরী করে অন্যের জমি হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই ঘটনায় ৫ নং আন্দিউড়া ইউনিয়নের মির নগর গ্রামের দুর্জন দাসের ছেলে মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বাদি হয়ে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসাইনের আদালতে ৪ জুলাই ২০২২ তারিখে পেনাল কোডের ৪৬৫/৪২০/৪৬৭/৪৬৮ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এফ আই আর রূপে গন্যে করে তদন্ত করার জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১৫৬(৩) ধারার অধীনে ওসি মাধবপুর থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আদালতের নির্দেশে মাধবপুর থানা গত ৬ জুলাই ২০২২ তারিখে পেনাল কোডের ৪২০/৪৬৫/৪৬৭/৪৬৮ ধারা মামলা রেকর্ড করে। মামলার এজহার সুত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাকশাইর মৌজার যে এল নং ৬৯ এস এ খতিয়ান নং ১২৬ এস,এ,দাগ নং ৮১ মোট মোয়াজি ৬৮ শতক ও এস এ খতিয়ান নং ২৭২ এস এ দাগ নং ৮৬ ইহাতে মোট মোয়াজি ২৭ শতক জমি ১২ ডিসেম্বর ১৯৭৩ ইং তারিখে জালিয়াতির মাধ্যমে নিজ নামে দলিল করে নেয় ও চেয়ারম্যান।পরবর্তীতে জমির মালিক খাজনা দিতে উপ-সহকারী ভূমি কর্মকর্তার কার্যালয়ে গেলে জমিটি এস,এফ,এম শাহজাহানের নামে রেকর্ড থাকায় খাজনা নিতে অনীহা প্রকাশ করায় তল্লাশি করে ১৯ জুন ২০২২ তারিখে জমির সমস্ত কাগজ পত্র উত্তোলন করে দেখতে পায় জমিটি গত ১২ ডিসেম্বর ১৯৭৩ সালে এস,এফ,এম শাহজাহান ভুয়া মালিক সাজিয়ে অন্যের মাধ্যমে জমিটি নিজ নামে দলিল করে নেয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার বাদী মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন,আমি ভাবতেও পারিনি একজন ফেরেস্তার মত মানুষ এমন জালিয়াতির আশ্রয় নিতে পারে। নিরুপায় হয়ে আমি উপযুক্ত প্রমান সহ আদালতে মামলা দিয়েছি। আশাকরি আমি ন্যায় বিচারের মাধ্যমে আমার জমি ফেরত পার।
মামলার ব্যাপারে কথা বলতে বিবাদী এস,এফ,এম শাহজাহানের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিক বার কল করেও তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয় নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক বলেন, মামলা রেকর্ড হয়েছে। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics