খন্দকার আব্দুল্লাহ।।
ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারী উপজেলার রূপাপাত ইউনিয়নে দেউলী মৌজার দরিসহ গেলেই চোখে পড়বে ছোট ছোট সাদা রঙের ঢিবি। দেখতে সুন্দর হলেও মাটি, ইট ও কাঠের গুঁড়া দিয়ে বানানো এসব ঢিবি মূলত বন উজাড়ের মাধ্যম।স্থানীয়রা এটিকে চুলা বা চুল্লি বলেই চেনে। নির্বিচারে কেটে আনা মণকে মণ গাছ এসব চুল্লিতে পুড়িয়ে বানানো হয় কয়লা। আর নির্গত ধোঁয়ার কুন্ডলী দূষণ ছড়াচ্ছে পরিবেশে। পাশাপাশি হুমকিতে পড়ছে কৃষি জমি জনজীবন ও জৈববৈচিত্র্য।এই কয়লা তৈরি কারখানা বা চুল্লির মালিকের সাথে কথা বললে তিনি পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র, সহ কোন ধরনের কাগজপত্র দেখাতে পারেন না। তাকে গাছ পোড়ানোর ব্যাপারে প্রশ্ন করলে সে বলে, বোয়ালমারী থেকে প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক বোঝাই গাছ মাগুরা-কুষ্টিয়া-যশোর ইত্যাদি জায়গায় যাচ্ছে তাতে কিছু না আমরা বোয়ামারীতে গাছ পোড়াচ্ছি সেটাই আমাদের অপরাধ।কারখানা মালিক জানায় মোঃ আউব আরো বলেন, ফরিদপুরে বিভিন্ন ভাটায় কাঁঠ খরি পুড়ায় তাতে কনো প্রকার স্যামসা নেই। সাংবাদিক ও প্রশাসন কে ম্যানেজ করে আমরা ব্যবসা করি। জানাগেছে কারখানার মূল মালিক আউব যার বাড়ি খুলনা। এসব চুল্লির মালিকরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় প্রতিবাদ করার সাহস পায় না কেউই। তবে বন বিভাগের পক্ষ থেকে লাকাবাসিদেরএসব এসব চুল্লি ভেঙে ফেলার অনুরোধ করেন। বোয়ালমারী উপজেলা নির্বাহীঅফিসার রেজাউল করিম এর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়টি সম্পর্কে জানতাম না। যেহেতু আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারলাম দ্রত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics