বিশেষ প্রতিনিধি।।
ফেনীর পরশুরাম পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মিসফাকুস সামাদ রনিকে (৩৪) এলোপাতাড়ি পিটিয়ে আহত ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভাংচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার হাসপাতাল মোড়ে এঘটনা ঘটেছে। উপজেলা ও জেলা বিএনপি এই হামলা ও ভাংচুরের ঘটনার জন্য ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাকর্মীদেরকে দায়ী করেছেন।
প্রত্যাক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার দুপুর ১টার দিকে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত ১০-১২ জন তরুন লোহার রড ও লাঠিসোটা নিয়ে পরশুরাম হাসপাতাল রোডে রনি টা্ইলস নামে একটি দোকানে ঢুকে পরশুরাম পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মিসফাকুস সামাদ রনির ওপর হামলা করে। হামলাকারীরা রনিকে লোহার রড ও লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ী পিঠিয়ে গুরতর আহত করে। এক পর্যায়ে তারা দোকানে গ্লাস, টাইলসসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাংচুর করে।
এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গিয়ে রনিকে উদ্ধার করে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে পরে একটি বেসরকারী হাসপাতালে স্থানান্তর করেন।
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আবুল খায়ের লিটন অভিযোগ করেন, পৌর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মিসফাকুস সামাদ রনির উপর হামলার ঘটনায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ কর্মীরা জড়িত। তারা তার উপর হামলা চালিয়ে আহত ও তার দোকান ভাঙচুর করেছে।
পরশুরাম উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবদুল হালিম জানান, ছাত্রলীগ, যুবলীগ কর্মীরা যুবদলের নেতা রনিকে এলোপাথাড়ী পিটিয়ে আহত ও তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে। তিনি এই হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় এবং আইন শৃঙ্খলা বাহীনিকে অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি করেন।
অপরদিকে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল আহাদ চৌধুরী জানান, গত বেশ কিছুদিন ধরে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জেরে বিএনপির ও যুবদলের একটি অংশের নেতাকর্মীরা রনির উপর হামলা চালিয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি লোকমূখে হামলার ঘটনা শুনেছেন। তবে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত ক্রমে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ফেনী ১ আসন বিএনপির সাংগঠনিক সমন্বয়ক রফিকুল আলম মজনু,ফেনী জেলা বিএনপির আহবায়ক শেখ ফরিদ বাহার,সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল,ফেনী জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খন্দকার।
Copyright © 2025 Daily Frontier News | Design & Developed By: ZamZam Graphics