Daily Frontier News
Daily Frontier News

নরসিংদীর মাফিয়া ডন পোটনের পেটে ৫০৮ কোটি টাকার সার

 

 

বিশেষ প্রতিনিধি ্ঃ

 

জাহাজ থেকে খালাস হলেও সরকারি গুদামে পৌঁছেনি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) আমদানি করা ৭২ হাজার ৬৮০ টন ইউরিয়া। প্রায় ৫০৮ কোটি টাকার এই সার সরিয়ে নিয়েছে পরিবহন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্স। প্রতিষ্ঠানটির মালিক নরসিংদী-২ আসনের সাবেক এমপি কামরুল আশরাফ খান পোটন। সরকারকে ফাঁকি দিয়ে তিনি এই বিপুল পরিমাণ সার খোলাবাজারে বিক্রি করে টাকা লুটে নিয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।

দশম জাতীয় সংসদের স্বতন্ত্র এমপি কামরুল আশরাফ খান পোটন দেশের সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি। বহু বছর ধরে তিনিসহ হাতেগোনা কয়েকজনের কাছে জিম্মি হয়ে আছে সার ব্যবসা। আমদানি করা সার বন্দর থেকে সরকারি গুদামে সরবরাহে পরিবহন ঠিকাদারির নিয়ন্ত্রণও রয়েছে তাদের হাতেই।

জানা যায়, বিদেশ থেকে জাহাজে করে ব্যাগড ইউরিয়া সার আনার পর বন্দর থেকে সরাসরি গুদামে নিয়ে যাওয়া হয়। আর আমদানি করা বাল্ক ইউরিয়া নেওয়া হয় বিভিন্ন সার কারখানায়। দুই ক্ষেত্রেই সার স্থানান্তরের দায়িত্ব পরিবহন ঠিকাদারের। স্থানীয় পরিবহন চুক্তির ৪(বি) ধারা অনুযায়ী ডেলিভারি চালান ইস্যুর পর ৫০ দিনের মধ্যে বাল্ক ইউরিয়া ও ৪০ দিনের মধ্যে ব্যাগড ইউরিয়া সার সংশ্লিষ্ট গুদাম বা কারখানায় সরবরাহ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সূত্র জানায়, দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে পোটন ট্রেডার্স বিসিআইসির বিভিন্ন কারখানায় উৎপাদিত এবং আমদানি করা সার পরিবহনে ঠিকাদারির কাজ করে আসছে। ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে এ বছর মে মাস পর্যন্ত মোট ৮টি চালানে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯০০ টন সার পরিবহনের দায়িত্ব পেয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিটি চালানেই জাহাজ থেকে নামানো পরিমাণের তুলনায় গুদামে পৌঁছেছে ২৯ শতাংশ কম সার। সব মিলিয়ে ৭২ হাজার ৬৮০ টন সার কম পেয়েছে সরকার, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫০৮ কোটি টাকা।

পোটনের পেটে ৫০৮ কোটি টাকার সার
৩৭শ কোটি টাকা লুটপাটে দায়ী পাঁচ ডেপুটি গভর্নর
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর জাহাজ থেকে ৩১ হাজার ৭৪১ টন সার খালাস করে ২৭ হাজার ৬৩৩ টন গুদামে সরবরাহ করে পোটন ট্রেডার্স। বাকি ৪ হাজার ১০৮ টন সারের হদিস নেই। একই বছরের ২৭ নভেম্বর ৩৩ হাজার টন খালাস করে ২২ হাজার ১৫২ টন সার সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানটি। বাকি ১০ হাজার ৮৪৮ টনের হদিস মেলেনি। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি ২৮ হাজার ৮৯১ টন খালাসের পর গুদামে সার দিয়েছে ১৯ হাজার ৯১ টন। বাকি ৯ হাজার ৮০০ টন সার দেওয়া হয়নি। ১২ জানুয়ারি খালাস করা সারের মধ্যে ২৮ টন সরবরাহ করা হয়নি। ২৬ জানুয়ারি ৩৩ হাজার টন সার জাহাজ থেকে খালাসের পর মাত্র ১৩ হাজার ৯৬৬ টন সরবরাহ করা হয়। বাকি ১৯ হাজার ৩৪ টন সরিয়ে নেওয়া হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২৯ হাজার ৮৬৭ টন সার খালাস হলেও পোটন ট্রেডার্স ৩ হাজার ৬৪৯ টন সার কম সরবরাহ করে। সর্বশেষ ১৫ মে ২৯ হাজার ৮২৮ টন সার খালাসের পর বিসিআইসির গুদামে সরবরাহ লাদেশ

জাহাজ থেকে খালাস হলেও সরকারি গুদামে পৌঁছেনি বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) আমদানি করা ৭২ হাজার ৬৮০ টন ইউরিয়া। প্রায় ৫০৮ কোটি টাকার এই সার সরিয়ে নিয়েছে পরিবহন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান পোটন ট্রেডার্স। প্রতিষ্ঠানটির মালিক নরসিংদী-২ আসনের সাবেক এমপি কামরুল আশরাফ খান পোটন। সরকারকে ফাঁকি দিয়ে তিনি এই বিপুল পরিমাণ সার খোলাবাজারে বিক্রি করে টাকা লুটে নিয়েছেন বলে বিভিন্ন সূত্র জানিয়েছে।

দশম জাতীয় সংসদের স্বতন্ত্র এমপি কামরুল আশরাফ খান পোটন দেশের সার ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ফার্টিলাইজার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএ) সভাপতি। বহু বছর ধরে তিনিসহ হাতেগোনা কয়েকজনের কাছে জিম্মি হয়ে আছে সার ব্যবসা। আমদানি করা সার বন্দর থেকে সরকারি গুদামে সরবরাহে পরিবহন ঠিকাদারির নিয়ন্ত্রণও রয়েছে তাদের হাতেই।

জানা যায়, বিদেশ থেকে জাহাজে করে ব্যাগড ইউরিয়া সার আনার পর বন্দর থেকে সরাসরি গুদামে নিয়ে যাওয়া হয়। আর আমদানি করা বাল্ক ইউরিয়া নেওয়া হয় বিভিন্ন সার কারখানায়। দুই ক্ষেত্রেই সার স্থানান্তরের দায়িত্ব পরিবহন ঠিকাদারের। স্থানীয় পরিবহন চুক্তির ৪(বি) ধারা অনুযায়ী ডেলিভারি চালান ইস্যুর পর ৫০ দিনের মধ্যে বাল্ক ইউরিয়া ও ৪০ দিনের মধ্যে ব্যাগড ইউরিয়া সার সংশ্লিষ্ট গুদাম বা কারখানায় সরবরাহ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।

সূত্র জানায়, দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে পোটন ট্রেডার্স বিসিআইসির বিভিন্ন কারখানায় উৎপাদিত এবং আমদানি করা সার পরিবহনে ঠিকাদারির কাজ করে আসছে। ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে এ বছর মে মাস পর্যন্ত মোট ৮টি চালানে ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯০০ টন সার পরিবহনের দায়িত্ব পেয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিটি চালানেই জাহাজ থেকে নামানো পরিমাণের তুলনায় গুদামে পৌঁছেছে ২৯ শতাংশ কম সার। সব মিলিয়ে ৭২ হাজার ৬৮০ টন সার কম পেয়েছে সরকার, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫০৮ কোটি টাকা।

পোটনের পেটে ৫০৮ কোটি টাকার সার
৩৭শ কোটি টাকা লুটপাটে দায়ী পাঁচ ডেপুটি গভর্নর
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০২১ সালের ২০ নভেম্বর জাহাজ থেকে ৩১ হাজার ৭৪১ টন সার খালাস করে ২৭ হাজার ৬৩৩ টন গুদামে সরবরাহ করে পোটন ট্রেডার্স। বাকি ৪ হাজার ১০৮ টন সারের হদিস নেই। একই বছরের ২৭ নভেম্বর ৩৩ হাজার টন খালাস করে ২২ হাজার ১৫২ টন সার সরবরাহ করে প্রতিষ্ঠানটি। বাকি ১০ হাজার ৮৪৮ টনের হদিস মেলেনি। চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি ২৮ হাজার ৮৯১ টন খালাসের পর গুদামে সার দিয়েছে ১৯ হাজার ৯১ টন। বাকি ৯ হাজার ৮০০ টন সার দেওয়া হয়নি। ১২ জানুয়ারি খালাস করা সারের মধ্যে ২৮ টন সরবরাহ করা হয়নি। ২৬ জানুয়ারি ৩৩ হাজার টন সার জাহাজ থেকে খালাসের পর মাত্র ১৩ হাজার ৯৬৬ টন সরবরাহ করা হয়। বাকি ১৯ হাজার ৩৪ টন সরিয়ে নেওয়া হয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২৯ হাজার ৮৬৭ টন সার খালাস হলেও পোটন ট্রেডার্স ৩ হাজার ৬৪৯ টন সার কম সরবরাহ করে। সর্বশেষ ১৫ মে ২৯ হাজার ৮২৮ টন সার খালাসের পর বিসিআইসির গুদামে সরবরাহ করে ১৭ হাজার ৬৮৯ টন। বাকি ১২ হাজার ১৩৯ টন সরবরাহ করেনি পোটন ট্রেডার্স।

বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও বিপুল পরিমাণ এই সার বিসিআইসির গুদা

Daily Frontier News